Better Life With Steem | | The Diary Game | | 28 December, 2024

in hive-120823 •  last month 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

the Diary Game_20241230_020621_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে দুপুর ১২:০০টা নাগাদ ঘুম ভেঙেছে। আসলে আপনারা হয়তো ভাবতেছেন, এত দেরিতে ঘুম থেকে উঠার কারণ কি। রাতে ডিউটি থেকে আসার পর, অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি যার কারণেই সকালবেলা উঠতে দেরি হয়। আর বিশেষ করে বিকেল ডিউটি থাকলে আরও উঠতে ইচ্ছে করে না।

IMG_20241228_122449.jpg

ঘুম থেকে উঠেই জানালা খুলে দেখি অনেক রোদ উঠেছে। রোদের তাপমাত্রা দেখে একটুও মনে হয় না শীতের দিন। যাইহোক, পরে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। অনেকদিন থেকেই সকালবেলা তেমন একটা খাওয়া হয়না।

আমি জানি, এটা খুব বাজে অভ্যাস। অনেক রাত জাগা এবং সকালবেলা নাস্তা না করা অনেক বাজে একটা অভ্যাস। কিন্তু ব্যাচেলর লাইফে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চাইলেও কেন জানি তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারি না। বলতে গেলে এটা অভ্যাস হয়ে গেছে।

IMG_20241228_151628.jpg

গতকালকে আমার বিকেল ৩:০০টার সময় ডিউটি ছিল। কিছুক্ষণ ফোন চালানোর পর তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। পরে রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। গতকালকেও আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তার কারণ হলো- আমার একাই পুরো ল্যাব সামলাতে হবে। যাইহোক, অফিসে পৌঁছে আগে দুপুরে খাবার খেয়েছি।

এরপর প্রতিদিনের মতোই নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আল্লাহতালার কাছে অনেক শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে আজকে পর্যন্ত যে অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তা আমার কাছে অনেক বড় একটি পাওয়া। কারণ আমার এই নিজের প্রফেশনটাকে আমি অনেক সম্মান করি।

IMG_20241228_154459.jpg

সেদিন দুপুরবেলা কাজের চাপ একটু কমই ছিল। তবে দুপুরবেলা চাপ না থাকলে বিকেলের দিকে ভালোই চাপ হয়েছিল। আসলে "ল্যাবএইডের" মত প্রতিষ্ঠানে একা কাজ করা অনেক সাধ্যজনক ব্যাপার। আমার অবশ্য এভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে ভালই লাগে।

সন্ধ্যার দিকে কাজের ফাঁকে চা খেয়েছিলাম। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব সময় দুই বেলা চা নাস্তার ব্যবস্থা থাকে। আর আপনারা তো জানেন, আমার চা অনেক পছন্দের একটি জিনিস। সেই মেস লাইফ থেকেই আমার চা খাওয়ার অভ্যাস।

IMG_20241228_175038.jpg

আরেকটা বিষয়, গতকালকে কাজের ব্যস্ততার কারণে তেমন একটা ছবিও তুলতে পারিনি। আপনারা কম বেশি অনেকেই আমার এই প্রফেশনটাকে চিনে থাকেন। কারণ আমাদের প্রত্যেকেরই কমবেশি হসপিটাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রকমের টেস্ট করতে হয়।

IMG_20241228_185754.jpg

আর টেস্ট গুলো মূলত আমরা টেকনোলজিস্টরা করে থাকি। তাই অনেকটা দায়িত্ব নিয়ে আমাদেরকে টেস্টের রিপোর্ট করতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ সারাদিন কাজ করে ভালোভাবেই সব রিপোর্ট দিতে পেরেছি। এটা আমার জীবনে সবথেকে একটা বড় পাওয়া। কারণ এই দায়িত্ব থেকেই জীবনে অনেক বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।

আর হ্যাঁ! দেখতে দেখতেই ২০২৪ সাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোন দিক দিয়ে এই বছর শুরু হলো আবার শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। দোয়া করি, সবার আগামী জীবন অনেক ভালো কাটুক। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দরভাবে লেখা এবং আপনার কাজের প্রতি আপনার উত্সাহ ও দায়িত্ববোধ সত্যিই প্রশংসনীয়। ব্যাচেলর লাইফে কাজের চাপ এবং অভ্যাসের মধ্যে সময় ম্যানেজমেন্টে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে, তা আপনি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন।

আপনার পেশাগত জীবনের প্রতি সম্মান ও আন্তরিকতা আমাকে খুব প্রভাবিত করেছে। আশা করি আগামী বছর আরও সফলতা ও শান্তি নিয়ে আসবে আপনার জীবনে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আমি প্রথমেই বলতে চাই, আমি সব কাজ বুঝিয়া করতে পছন্দ করি। সেটা বাসায় হোক এবং আমার কর্মরত জায়গায় হোক। আর আমাদের এই প্রফেশনের কাজগুলো খুব ধৈর্য সহকারে করতে হয়।
আর সব থেকে আমার গর্বের বিষয় হলো আমার প্রফেশনকে আমি অনেক সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি।

আপনার জন্যও আগামী দিনের অনেক শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।

Loading...

রাতে এমনিতে দেরি করে ঘুমালে সকালে উঠতে এমনি দেরি হয় তাহলে উপর আপনার ডিউটি ছিল বিকালে।। সত্যি কথা বলতে চাকরি জীবনে অনেক কিছু বোঝা যায় জীবন সম্পর্কে দায়িত্ব সম্পর্কে।। আশা করি আপনি অনেক কিছুই বুঝেছেন জীবন সম্পর্কে যেটা আমি এখন বুঝতে পারিনি।।

একদম ঠিক বলেছেন রাতে দেরিতে ঘুমালে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয়। আর বিশেষ করে, শীতের দিন তো একদমই কষ্ট হয়।
চাকরি জীবন মানে আমার কাছে একটা বন্দি কারাগার মনে হয়। এখানে চাইলেও নিজের ইচ্ছাগুলো প্রকাশ করা যায় না।
অনেক সময় দায়িত্ব নিতে না চাইলেও দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।