আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। আমি আগেই বলেছিলাম, এভাবে দৈনিক ঘুম থেকে উঠা একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। তারপরও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কারণ আপনারা সবাই জানেন, ব্যাচেলর ছেলেদের ঘুমাতে দেরি হয়। কিন্তু ডিউটি যেহেতু আছে, সেক্ষেত্রে ঘুম থেকে তো উঠতেই হবে।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। আর হ্যাঁ! আমরা যে নতুন বাসায় এসেছি, সেখানে থেকে রুমের সামনে অনেক সুন্দর পরিবেশ দেখা যায়। পরে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। প্রতিদিন যাওয়ার সময় এক পরিচিত রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। যেটা চাঁদপুর শহরের সবার পরিচিত একটা জায়গা। চাঁদপুরের এই মোড়টার নাম হচ্ছে চিত্ত লেখার মোড়।
আলহামদুলিল্লাহ সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছে গিয়েছি। অফিসে ঢোকার পর সর্বপ্রথম রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর দিতে হয়। পরে সবার সাথে কথা বলে তিনতলায় আমাদের প্যাথোলজি রুমে চলে গিয়েছি। তারপর নিজের কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। তবে হ্যাঁ! নিজেকে এরকম ব্যস্ত রাখতে পেরে খুবই ভালো লাগে।
সব থেকে বড় কথা হল, নতুন কিছু শিখাই হচ্ছে আমার মূল উদ্দেশ্য। কাজ করার ফাঁকে খালা সকালের চা নাস্তা দিয়ে গেছিল। পরে বড় ভাইসহ একসঙ্গে নাস্তা সেরেছি। আজকে অফিসে আসার সময় নাস্তা করার সুযোগ হয়নি। কারণ বাসা থেকে বের হতে একটু দেরি হয়ে গেছিল। যাইহোক, মোটামুটি দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছি। প্রতিদিন অবশ্য আমার ২টা পর্যন্তই কাজ করার রুটিন। পরে কাজ শেষ করে খাওয়ার জন্য রুমে চলে এসেছি।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, রুমে এসে খাওয়ার মত তেমন কিছুই নেই। নতুন বাসায় আসার পর রান্না করার তেমন সুযোগ নেই। এজন্য আপাতত ২-৩দিন আমাদেরকে বাইরে খেতে হবে। পরে বাসায় এসে বন্ধু সহ বাইরে খেতে গিয়েছি। হোটেলে খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে ঘুমিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে থেকে বড় ভাইসহ আজকে আমাদের বিল্ডিং এর ছাদে উঠেছি।
আমাদের বিল্ডিংটা ছয় তলা। ছাদের উপর থেকে মোটামুটি সব কিছুই দেখা যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে আবারো ল্যাবে গিয়েছিলাম। ল্যাবে যাওয়ার পর আবারো নিজের কাজে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। তবে আজকে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে, কারণ আমাদের সবার একটা ডিউটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। সামনের সপ্তাহ থেকে সঠিক সময় নিয়মতি ডিউটি করতে পারব।
ল্যাবের সব কাজ শেষ করে মোটামুটি ৯টা নাগাদ বের হয়েছি। বের হওয়ার পর বন্ধু সহ রাতের খাবার হোটেলে খেয়েছি। আর বাসায় যাওয়ার পথে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়েছিলাম। গত কয়েকদিন থেকে শরীরটা একটু খারাপ যাচ্ছে। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। তারপর রুমে এসে প্রতিদিনের মতো পোস্ট লিখতে বসেছি।
আমাদের কোম্পানিতে ঢুকতে হলে আপনাদের মত সর্বপ্রথম আগে রেজিস্ট্রেশন খাতায় নাম উঠাতে হয় তারপর ভেতরে প্রবেশ করতে দেন। আবার যখন বের হই তখন নামের ওইখানে একটা টিক ছিল উঠিয়ে দেয়। এটা কোম্পানির একটি নিয়ম যাতে করে কোন দুর্ঘটনা হলে কয়টা লোক ভিতরে আছে এবং কয়টা লোক বাহির হয়েছে গণনায় আসে বলা সরি এটাও একটি সেফটি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মনে হয় ব্যাচেলারদের সকালে উঠতে আসলে ইচ্ছা করে না বিশেষ করে শীতের দিনে।। যেহেতু আপনি একজন চাকরিজীবী মানুষ তাই সঠিক সময়ে ওটা আপনার দায়িত্ব।। নতুন বাসায় উঠেছেন তাই খাওয়া দাওয়া একটু সমস্যা বাইরে খেতে হচ্ছে আসলে আমরা যেখানেই কর্ম করি না কেন খাওয়া-দাওয়া টা সঠিক ভাবে না করতে পারলে যেন মন ভরে না। দায়িত্ব নিয়ে ডিউটিতে যেয়ে কাজ করেছেন এছাড়াও রাতে বাইরে খাবার খেয়ে বাসায় এসেছে সব মিলিয়ে সুন্দরভাবে দেখতে পাইতে পড়েছেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit