আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। কিন্তু আমি কেন জানি আগের মতো ভালো থাকতে পারিনা। তারপরও ভালো বন্ধু নিয়ে মানুষের জীবন। আজকে আপনাদের মাঝে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
প্রতিদিনের মতো আজকেও সকালে ঘুম থেকে উঠেছি। কিন্তু আজকে মোবাইলের এ্যালার্মের আগেই একজন ডেকেছিল। পরে ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে গিয়ে কাজ করেছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে সকালবেলা কাজের চাপ ছিল।
কারণ সকালবেলা যে ডাক্তার রোগী দেখেন তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল ওনার কে যেন মারা গেছে। আমি যেন রিপোর্টগুলো তাড়াতাড়ি দিয়ে দেই। আমিও বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি রিপোর্টগুলো ডেলিভারি দিয়েছি। পরে আমাদের হসপিটালের কাজ শেষ করে আমাদের পাশের প্রতিষ্ঠানের এক ল্যাবে গিয়েছিলাম।আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিকেই নতুন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে। তাই নতুন ল্যাব দেখার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।
আমার সহকারীরা সকাল ১০টার দিকে আসার পর আমি রুমে এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো আজকে বাইরে গিয়ে নাস্তা করতে পারি নি। কারণ ল্যাবে কাজের চাপ অনেক ছিল। তাই বাইরে থেকেই চা নাস্তা নিয়ে এসে ল্যাবে বসেই খেয়েছিলাম।
পরে প্রতিদিনের মতোই একটানা দুপুর পর্যন্ত কাজ করেছি। শুক্রবার না হওয়ার সত্বেও মাঝে মাঝেই অন্যান্য দিনেও এরকম কাজের প্রেসার হয়। আর গত পোস্টে হয়তো বলেছি আমার এক সহকারী আপুর বাবা অসুস্থ এজন্য তিনি ছুটিতে আছে। আর সহকারীরা ছুটিতে থাকলে কাজের চাপ একটু তো বেশি হবেই এটা স্বাভাবিক।
দুপুরে খাওয়ার সময় হলে বড় ভাইয়ের জন্য বাইরে থেকে খাবার আনতে গিয়েছিলাম। দুপুরে আমার খাবার সব সময় একজন খালা হসপিটালে দিয়ে যায়। আর বড় ভাইয়ের জন্য বাইরে থেকে নিয়ে আসি। পরে বড় ভাই সহ দুপুরের খাবার একসঙ্গেই খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই শুয়ে রেস্ট করেছি।
আজকে দুপুরের দিকে কাজের চাপ ছিল না। তাই মোটামুটি বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেস্ট করেছি। আবারো ল্যাবে গিয়ে কাজ শুরু করেছি। বিকেলে একজন গাইনি ডাক্তার থাকে ওনার অনেক রোগী হয়। কাজের মাঝে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছিল বুঝতেই পারিনি। এর মাঝে পাশের প্রতিষ্ঠানের পরিচিত ভাই একটা Electrolyte টেস্ট করার জন্য আমাকে বলেছিল। পরে বড় ভাইয়ের টেস্ট করিয়ে দিয়েছি।
সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজ শেষ করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডেন্টালের চেম্বারে গিয়েছি। সেখানে ডেন্টালের বড় ভাইয়ের সাথে বসে বেশ ভালই গল্প করেছিলাম। এর মাঝে বাসা থেকে ফোন দিয়েছিল পরে মা এবং আপুর সঙ্গে কথা বলেছি। হসপিটাল থেকে বের হয়ে প্রতিদিনের মতো লঞ্চঘাটে গিয়ে বসেছিলাম।
আমার মনে হয় এদিকে আসার পর লঞ্চঘাট না থাকলে বাইরে বের হওয়ার মত কোন জায়গায় ছিল না। লঞ্চঘাট থেকে আবারো হোটেলে গিয়ে আমার পছন্দের সেই ডিম খিচুড়ি খেয়ে হসপিটালে এসেছি। পরে প্রতিদিনের মতই পোস্ট লিখতে বসেছি।