আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ১০:০০টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাইরে প্রচন্ড রোদ উঠেছে। চাঁদপুরে আসার পর তেমন একটা শীতের প্রভাব পেলাম না। মাঝখানে হাতে গোনা কয়েকদিন হালকা কুয়াশা ছিল। তাছাড়া প্রতিদিনই অনেক রোদ উঠে।
যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। এরপর বাসা থেকে মা ফোন দিয়েছিল। পরে মা এবং আপুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলাম। আমি সব সময় রাতের বেলা বাসায় কথা বলি। কিন্তু গতকালকে সকালবেলা মা ফোন দিয়েছিল।
বাইরে থাকলে, বাসায় যখন কথা বলি এর মতো শান্তি আর কোথাও খুঁজে পাই না।গতকালকে আমার ডিউটি ছিল দুপুর ১২টার সময়। বাসায় কথা বলা শেষ করে তাড়াতাড়ি গোসল করে রেডি হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ রেডি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
অফিসে যাওয়ার পথে বাইরে নাস্তা খেয়েছি। কারণ ঘুম থেকে উঠে বাসায় কিছু খাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে সকালবেলা ভাজাপোড়া খেলে গ্যাস হবে এটা আমিও জানি। কিন্তু কিছুই করার নেই। নাস্তা খেয়েই অফিসে গিয়েছি। অফিসে যাওয়ার পর ল্যাবে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
গতকালকে ল্যাবে দুইজনের ডিউটি ছিল। একদম সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ভাই আর আমি ছিলাম। সব সময় সিনিয়র মানুষদের সাথে কাজ করলে অনেক অভিজ্ঞতা নেয়া যায়। এর মাঝে বিকেল শিফটের সাইন্টিফিক অফিসার ভাই ফোন দিছিল।
আর হ্যাঁ! আমাদের এখানে কিছু টেস্ট আছে যেগুলো এখানে হয় না। সেই টেস্টগুলো আমরা প্যাকেট করে আমাদের ল্যাবএইডের ধানমন্ডি হেড অফিসে পাঠিয়ে দেই। গত পরশুদিন নাকি সফটওয়্যারে স্যাম্পল ডেলিভারি দেওয়া হয়নি। পরে ভাই আমাকে সফটওয়্যারে চেক দিতে বলেছিল। পরে দেখলাম ভাই গত পরশুদিনই স্যাম্পল সব ডেলিভারি দিয়েছে।
দুপুরে খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে আবারো নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে গতকালকে একটু কাজের চাপ কমই ছিল। মোটামুটি বিকেল ৫টার দিকে আমার রংপুরের এক বন্ধু ফোন দিয়েছিল। ফোন দিয়ে বলল সে নাকি চাঁদপুরে এসেছে। আমি তো কথাটা শুনেই অবাক হয়ে গেছিলাম।
বন্ধুর মামা নাকি চাঁদপুরে থাকে, তার মামার কাছে এসেছে। পরে সে বলল আমার সাথে দেখা করার জন্য আসতেছে। মোটামুটি ৬:০০টার দিকে বন্ধ এসেছিল। এরপর বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাইরে আড্ডা দিয়েছি। অনেকদিন পর কলেজের বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালই লেগেছিল।
সর্বপ্রথম আমরা বাইরে গিয়ে বার্গার খেয়েছিলাম। আমি কখনো ভাবি নি তার সাথে এভাবে হঠাৎ দেখা হবে। আমাদের বাসায় রাতে থাকতে বলেছিলাম কিন্তু সে নাকি সকালে চলে যাবে। পরে মোটামুটি রাত ৮:০০টা পর্যন্ত বন্ধুর সাথে ছিলাম।
পরে আবারো ল্যাবে এসে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করেছি। এরপর বাসার তিনজন ভাইসহ একসঙ্গে বাসার উদ্দেশ্যে চলে গিয়েছে। এই পর্যন্তই ছিল।
ভাই, আপনার দিনটি খুবই সুন্দর এবং সৃজনশীল ছিল। বন্ধুর সাথে আড্ডা, নতুন অভিজ্ঞতা, এবং কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সত্যিই প্রশংসনীয়। যেভাবে আপনি কাজের চাপ সামলে খুশি মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছেন, তা একান্তই বিশেষ। আশা করি ভবিষ্যতে এমন আনন্দময় দিনগুলো আরও আসবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য, আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সর্ব প্রথম কথা হচ্ছে, চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করার মাঝে একটা অন্যরকম তৃপ্তি খুঁজে পাই। নিয়ে কাজ করলে নিজের ভেতর একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। আসলেই যে কোন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার পর, সেটা পরিপূর্ণভাবে করতে পারলে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আমার কাজগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
আপনার জন্যও সব সময় শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা একদম সঠিক বলেছেন বাহিরে থাকলে যদি বাসায় কথা বলা যায় অনেক বেশি ভালো লাগে।। আর হ্যাঁ বাইরে থাকলে আপন মানুষের মর্ম খুব ভালোভাবে বোঝা যায়।। আজকের ডিউটি বারোটায় থাকায় সকালে ওঠার তেমন তারা ছিল না ছোট সময় ডিউটিতে গিয়েছিলেম এবং দায়িত্ব নিয়ে ডিউটি করেছেন।। সব মিলিয়ে সুন্দর একটা দিন উপভোগ করেছেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় ভাই, আমার মনে হয় যারা বাড়ির বাইরে থাকে প্রত্যেকেই পরিবারের মানুষের সঙ্গে কথা বললে সব থেকে বেশি আনন্দ পায়।
আর বাইরে থাকলে নিজের পরিবারের মানুষের কথা কতটা মনে পড়ে তা বোঝা যায়।
বিকেল ডিউটি থাকলে আমার কোন চাপ থাকে না। নিজের মত রেডি হয়ে অফিসে যেতে পারি।
ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit