আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই। ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে কলেজে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হই। অল্প কিছুক্ষণ পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তার দিকে চলে আসি। আজকে আমার কলেজ একটা অনুষ্ঠান আছে তার জন্য একটু তাড়াতাড়ি কলেজের দিকে যাই। অল্প কিছুক্ষণ পরেই একটা গাড়ি পেয়ে যায় সেই গাড়িতে করে সোজা কলেজের দিকে চলে যাই।
কলেজের সামনে গাড়ি থেকে নেমে গাড়িওয়ালা কে তার ভালো টাকা পরিশোধ করে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমার এক বন্ধুকে কল দেই জিজ্ঞেস করি সে কোথায়। সে বলে আমরা সবাই আলম মামার দোকানে বসা। আমরা কলেজে গেলে আমাদের কলেজের পাশে একটা দোকান আছে চায়ের দোকান। সবাই সেই দোকানে বসে সেই দোকানদারের নাম হচ্ছে আলম আমরা সবাই তাকে মামা মামা করে ডাকি। তো সে দোকানে গিয়ে আমি রং চা নিলাম পান করার জন্য।
কিছুক্ষণ সেখানে বসে সবার সাথে কথাবার্তা বলে দোকান থেকে সবাই বের হলাম। তারপর সবাই একসাথে কলেজের মধ্যে চলে আসে। কলেজে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। আজকে ১৪ ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস। আমি এই প্রথম শুনেছি এই দিবসের কথা। এর আগে আর কখনোই এই দিবসের কথা শুনিনি। তো সেখানে গিয়ে বসে পড়লাম। বেশ অনেকটা সময় অনুষ্ঠান চলতে থাকলো।
অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে একদম দুপুর হয়ে যায়। অনুষ্ঠান শেষ করে সেখান থেকে বাড়ির দিকে চলে আসি। বাড়ির দিকে চলে আসি আমাদের ব্যাডমিন্টন মাঠ হল রাস্তার পাশে। গাড়ি থেকে নেমেই দেখতে পাই সেখানে আমার খালাতো ভাই ও এক এলাকার বন্ধু বসে আছে। তো তাদের কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললাম। তারপর সেখান থেকে চলে আসলাম বাড়ির দিকে।
বাড়িতে এসে গামছা লুঙ্গি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম। গোসল করার জন্য চলে গেলাম ঘাট পারে। ঠান্ডার মধ্যে গোসল করে তাড়াতাড়ি ঘরের ছাদে উঠে পরলাম। আমাদের ছাদ এখন পুরো শুকিয়ে গেছে ও ঢালাই করাও সম্পন্ন হয়েছে। তো সেখানে চেয়ার নিয়ে বেশ অনেকটা সময় রোদ্রে বসে ছিলাম।
তারপর খাওয়া দাওয়া করতে নিচে চলে আসলাম। তো খুব সুন্দর ভাবে খাওয়া দাওয়া করে রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ ফেসবুকে ভিডিও দেখতে থাকলাম। তারপরে হালকা হালকা ঘুম পাচ্ছিল তার জন্য একটা গান ছেড়ে চোখটা বুঝলাম। ওই চোখ বুঝাই একদম ঘুমিয়ে গেলাম। সেই ঘুম ভাঙ্গে একদম সন্ধ্যার পরে।
তারপর রুম থেকে বেরিয়ে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হই। তারপর এক কাপ কফি ও সাথে কিছু বিস্কুট নেই খাওয়ার জন্য। কফি খেয়ে বেশ অনেকটা ঘুম কেটে যায় আবারও শরীরে সতেজ ফিরে আসে। সাথে বিস্কুট খেয়ে হালকা ক্ষুধাটাও কমে যায়। তারপর রুমের মধ্যে গিয়ে আবার কিছুক্ষণ ফোন দেখতে থাকি।
আমার দুই বন্ধু কল দিয়ে আমাকে বাহিরে বের করে। বলে ব্যাড নিয়ে ব্যাডমিন্টন মাঠে আসছে। আমি তাদের কথা শুনে তাড়াতাড়ি ব্যাড নিয়ে ব্যাডমিন্টন মাঠে চলে আসি। অনেক তাড়াতাড়ি তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে। তো আমরা এসে ব্যাডমিন্টনের লাইট না জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে বসে থাকি গাড়ির ভিতর।
তারপর কয়েকজন এলাকার ভাইরা আসে তাদেরকে নিয়ে ব্যাডমিন্টন মাঠ প্রস্তুত করি। মাঠে লাইট জ্বালিয়ে নেট টানিয়ে নেই খুব সুন্দর ভাবে ব্যাডমিন্টন খেলতে শুরু করে দেয়। বেশ অনেকটা সময় সবার সাথে ব্যাডমিন্টন খেলতে থাকি বেশ ভালই লাগে ব্যাডমিন্টন খেলতে। আজকে কালকের থেকে একটু ঠান্ডা কম লাগতেছিল। তাই ব্যাডমিন্টন খেলেও বেশ ভালো লাগলো।