Better Life with Steem|| The Diary Game||17 November 2024||

in hive-120823 •  21 hours ago  (edited)

" হ্যালো স্টিমের বন্ধুরা "

IMG_20241117_185743_972.jpg

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।

🌸 সকাল বেলা 🌸

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হইনি। কালকে ও বিদ্যুৎ ছিল না আজকেও বিদ্যুৎ নেই। ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে দেখি ফোনে চার্জ আছে মাত্র ১০%। ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকাটা বড্ড কষ্টকর আমার কাছে। মনে হয় কেউ আমার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছে ফোন না থাকলে। আমার ফোনে এমবি না থাকুক কারো সাথে কোন যোগাযোগ না থাকলে। কখনো একটা কল না আসুক। তাও আমার ফোন আমার কাছেই থাকুক এটা আমার ভালো লাগে। তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে রুমে এসে বসি।

IMG_20241117_115837_820.jpg

তো এখন কোথায় চার্জ দিব কি করব বুঝে পাচ্ছিলাম না। তারপর শুনি স্টেডিয়ামে কারেন্ট আছে। চলে যায় সেখানে মাল্টিফিলাক নিয়ে। সাথে আরো অনেক মানুষ যায় সেখানে। তাড়াতাড়ি করে একটা স্থানে গিয়ে মাল্টিপ্লাগ লাগিয়ে ফোন চার্জে দিয়ে শুরু করি। তারপর সেখানেই বসে থাকি বেশ অনেকটা সময়। প্রথমে সবাই ক্লাসে চলে গিয়েছিল ফোন চার্জে রেখে আমি ও আমার এক সহপাঠী যাই নাই। আমরা সেখানে বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম।

IMG_20241117_122357_586.jpg

শুয়ে থাকতে থাকতে ছোটখাটো একটা ঘুম দিয়ে দিয়েছি আমি। অনেক মানুষ চলে এসেছে তাই কথা শুনে ঘুম ভেঙে যায়।তারপর সবাই একসাথে বসে সেখানে আড্ডা দিতে শুরু করে দেই। মোটামুটি ভালোই চার্জ হয়েছিল ফোন। এখান থেকে ফুল চার্জ করে তারপর ফোন নিয়ে বের হব। যেই কথা সেই কাজ সেখানে বসে সবার সাথে আড্ডা দিতে শুরু করে দেই। কেটে যায় দিনের আড্ডা সময়টা। অনেক মানুষ ফোন চার্জ দিছে তার জন্য ভোল্টেজ মনে হয় কম নিতে ছিল ফোনে।

🌸 দুপুর বেলা বিকাল বেলা 🌸

আরো বিশেষ করে এখানে মনে হয় কারেন্টের সাইড লাইন আনা। তাই অনেকটা সময় লাগলো ফোনে ফুল চার্জ হতে। সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার পরে সেখান থেকে ফোন নিয়ে চলে গেলাম রুমে। রুমে গিয়ে কাপড় চোপড় নিয়ে চলে আসলাম। স্টেডিয়ামে এসে গোসল করলাম। আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ লাইনে সমস্যা হয়েছে তার জন্য বিদ্যুৎ আসতেছে না। সুন্দর ভাবে গোসল করে চলে গেলাম রুমের ভিতর।

IMG_20241117_142510_574.jpg

তারপর সবাইকে নিয়ে একটা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতে চলে গেলাম। কারণ আমাদের যে খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্বে আছে তার হোটেলে চলে গেলাম। কারণ এখানে কারেন্ট নেই বলে খাবার পানীয় আসে নাই। তাই তার হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। তার জন্য সবাইকে নিয়ে একসাথে বেরিয়ে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করে আসলাম। রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ি । মোটামুটি কাদের একটা ঘুম দিয়ে দেই আমি।

IMG_20241117_164935_649.jpg

আছে পুরো দিনেও আমি ক্লাসে গেলাম না। তার জন্য পরে আমাকে মনে হয় স্যারের কাছে একটু বকা শুনতে হতে পারে। থাক এটা কোন ব্যাপার না পড়া যদি দিতে পারি তাহলে আর বকা শুনতে হবে না আমার। তো ঘুম থেকে উঠে কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে বের হয় বাহিরে মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সবাই একসাথে সেখানে চলে যাই বেশ মজা করি সেখানে গিয়ে।

🌸 সন্ধ্যা বেলা রাত্র 🌸

তার মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যায় বুঝতেই পারিনি। তবে ভালোই কাটে সময়টা আমাদের সবার সেখানে। সবাই মিলে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করি আড্ডা দেই ভালোই কাটাই আমরা সময়টা। এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে করতে আমাদের সবারই মোটামুটি একটু ক্ষুধা লেগে যায়। আমরা একটা জায়গায় বসে হালকা কিছু খাবার খাই।

IMG_20241117_185743_972.jpg

তারপর আমাদের এক বড় ভাইয়ের সাথে আমাদের দেখা হয়ে যায়। তাকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করি বেশ অনেকটা সময়। তারপর আস্তে আস্তে করে সেখান থেকে চলে আসি হোস্টেলের দিকে। হোস্টেলে এসে কিছুক্ষণ হোস্টেলের বাহিরে সময় কাটাই। তারপরে চলে যাই খাবার খাওয়ার জন্য সেই হোটেলে। সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে সবাই মিলে একসাথে রুমে চলে আসি। রুমে এসে অন্ধকারে যে যার মত বিছানা গুছিয়ে শুয়ে যাই।

তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে বর্তমানে সময়ে মোবাইল বন্ধ থাকলে মনে হয় অনেক আপন জন মানুষ একজন বন্ধ আছে। মোবাইল এক মুহুর্ত অন্য কোথাও রাখার মতো অবস্থা এখন নাই। বিদ্যুৎ না থাকার জন্য মোবাইল ১০% চার্জ ছিলো আপনার। আসলে বিদ্যুতের সমস্যা আমার এখানেও আছে আজ কয়েক দিন ধরে আমিও এই সমস্যায় ভুগছি। যাইহোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

কোন জায়গায় এক মুহূর্ত থাকা আসলেই অনেকটাই কষ্টকর এখান থেকে দশ বছর পিছনে তাকালে ফোন হাতে থাকলে মুরব্বিরা বলতো লাশ সাহেবের বেটা আসছে ফোন দেখতে দেখতে আর এখন এই ফোন সবার হাতে হাতেই পৌঁছে গেছে ফোন করা মানুষ অনেকটাই অচল এক বেলা খেতে না পারলেও সমস্যা নাই তবে ফনে চার্জ না থাকলে মাথায় আর কাজ করে না।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি থেকে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।