Better Life with Steem|| The Diary Game||24 June 2024||

in hive-120823 •  3 months ago 

" হ্যালো স্টিমের বন্ধুরা "

1000006442.jpg

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।

🥀সকাল বেলা🥀

1000006311.jpg

তো প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে। হালকা কিছু নাস্তা করে বাসা থেকে বের হই। তারপরে একটু সামনে যেতেই আমার সহপাঠী ও আমার সাথে যুক্ত হয়। একসাথে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য। তো সে আমাকে বলে আজকে একটু লেট হবে। আমার সাথে চল একসাথে কোচিংয়ে ঢুকবো আনে। আমি বললাম কোথায় যাবা। সে বলল আমি একটু আমার নানার দোকানে যাব চল তুই আমার সাথে। তো আমরা একটা গাড়িতে উঠি।

1000006318.jpg

বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে সেই খানে পৌঁছাতে পৌঁছতে। তো সেখানে যাই গিয়ে সে তার নানার দোকানের মধ্যে চলে যায়। আমি বাহিরে ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকি। তারপরে সে তার কাজ করে চলে আসে সেখান থেকে। আমরা যে গাড়ি করে সেখানে গিয়েছিলাম। ওই একই গাড়ি করে আবার সেখান থেকে ফেরত আসলাম।

1000006319.jpg

তো ফেরত এসে আমি আর কোচিং এ গেলাম না। সে কোচিংয়ে চলে গেল। আমি একটু একটা দোকানে গিয়ে বসলাম। হঠাৎ করেই আকাশে বজ্রপাত শুরু হলো। দুটো বজ্রপাত হয়েই বৃষ্টি নেমে গেল। বেশ অনেক জোরে বৃষ্টি পড়ছিল। সকালবেলা হালকা আবহাওয়া খারাপ হলেও বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা ছিল না তাও আবার এমন ভাবে। যাক অনেকটা গরম কমে যাবে আজকে বৃষ্টি আসার কারণে।

1000006320.jpg

এইতো দোকানে যেহেতু বসা ছিলাম। তাই একটা চা দেওয়ার জন্য বলি দোকান আলা ভাইকে। সে আমাকে একটা চা দেয়। আমি বৃষ্টির মধ্যে খুব আনন্দ সহকারে চা পান করি। ভালই লাগতেছিল বৃষ্টিতে চা পান করতে।

1000006321.jpg

তো চা খাওয়া শেষ করে সেখানেই বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকি। আস্তে আস্তে বৃষ্টি কমে যায়। আমি সেখান থেকে বের হয়ে চলে যাই কলেজের মধ্যে। তো আমি বৃষ্টিতে ওই দোকানে আটকা পড়ে যাই আর ওরা সবাই কলেজের মধ্যে এসে বসে পড়ে। তো আজকে কলেজে অন্য গ্রুপের পরীক্ষা ছিল। তাই আমরা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই কলেজ থেকে বের হয়ে যাই।

1000006335.jpg

কলেজ থেকে বের হয়ে একটা গাড়ি নেই। তারপরে চলে যাই বিদ্যুৎ অফিসের দিকে। বিদ্যুৎ অফিসের দিকে গিয়ে দেখি প্রচন্ড ভিড় আজকে। তাও যখন বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এসেছি তাই সেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেই যেতে হবে। তার জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি সবাই এসেছে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে। তাই একে একে সবাই পরিশোধ করে যাচ্ছে। বেশ অনেকক্ষণ পরে আমার সিরিয়াল আসলো। অবশেষে অনেকক্ষণ পরে আমি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারি।

🥀দুপুর বেলা+বিকাল বেলা🥀

1000006366.jpg

তো সেখান থেকে বাড়ি আসতে আসতে আমার অনেক সময় লেগে যায়। কারণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিল পরিশোধ করতে হয়। তো বাড়ি এসে জামা কাপড় চেঞ্জ করে। পাখা চালিয়ে শুয়ে পরি। তারপরে উঠানে দেখি বেশ অনেকগুলো ডাল পালা পড়ে আছে। তো আব্বু সেই ডালপালা গুলো কাটার জন্য নেমেছে। সাথে আমার ছোট ভাই ও সেই ডাল পালা কাটতে নেমে পড়েছে। তাই আমি আর বসে থাকতে পারি না। আমিও সেগুলো কাটতে নেমে পড়ি। বেশ অনেক সময় পড়ে সেগুলো কাটা ও সাজিয়ে রাখা শেষ হয়।

1000006375.jpg

তারপরে আমি গোসল করতে চলে যাই। গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে সাইকেল নিয়ে বের হই। সাইকেল নিয়ে একা একা গান শুনি আর এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করি। ভালই লাগতেছিল তখন সময়টা কারণ সাইকেলের সাথে গান দুটো ভালোই লাগলো।

1000006380.jpg

তো তারপর গুরাগুরি করতে করতে দোকানের দিকে চলে যাই। গিয়ে দেখি দু তিনজন বসে আছে ফুটবল খেলতে যাবে তার জন্য। তো সেখানে গিয়ে তাদের সাথে অল্প কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলি।

1000006381.jpg

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই চলে আসে ফুটবল খেলার জন্য। তারপরে আমিও তাদের সাথে চলে যাই ফুটবল মাঠে। সেখানে গিয়ে বেশ অনেক আনন্দ করে ফুটবল খেললাম আজকে। আজকে একটু বেশিই ভালো লেগেছে কারণ যারা ফুটবল খেলতে পারে না তারা সবাই খেলতে এসেছে তাই। তো খেলার মাঠে যেখানেই বল যায় সেখানে সবাই একত্র হয়ে যায়। এই খেলা দেখে বেশ হাসি পায় । তো সবার সাথে এরকমের হাসি-ঠাট্টা করে আজকে খেলাধুলা করলাম।

🥀সন্ধ্যা বেলা+রাত্র🥀

1000006402.jpg

তো খেলা শেষ করে বাড়িতে এসে গোসল করে একটু বসে থাকি। তারপরে আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে যায় কি খাব কি খাব শুধু ভাবি। বাসায় বিস্কিট ছিল আম ছিল সব ছোট ভাই ও বোন মিলে খেয়ে ফেলেছে। তাই সন্ধ্যায় খাওয়ার জন্য বাসায় কোন খাবার ছিল না। আর আম্মু অসুস্থ তাই আমিও তাকে কিছু খাওয়া তৈরি করার জন্য বলতে পারি না। তাই একা একাই পিঠা বানানোর জন্য চলে গেলাম।

1000006407.jpg

বেশ অনেক সময় লাগে কারণ আজকে আমি অন্য রকমের পিঠা বানানোর চিন্তা করেছিলাম। এখন আমি সব ঠিকভাবে গুছিয়ে যখন নিয়েছি তখন আম্মু আমার কাছে চলে আসে। এসে বলে কি করতেছ আমি বললাম কিছু তেজপাতা পিঠা বানাতে চাইছিলাম। তো সে আমার সাথে সাহায্য করে দিল। বেশ অনেক গুলো পিঠা তৈরি করলাম। তারপরে সেগুলো নিয়ে সবাই কে দিলাম। সবাই খেলো আমিও খেলাম। তো যখনই খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পড়তে বসতে যাব। হুট করে বিদ্যুৎ চলে গেল। তাই আর এই গরমে পড়তে বসা হলো না। তাই ঘরের সামনে ফোন নিয়ে বসে থাকি বেশ অনেক সময়। বিদ্যুৎ এখন পর্যন্ত আসেনি। তাই বেশ অনেক সময় হয়ে গেছে পড়ালেখা তো আর আজ হলো না। কারেন্ট আসলে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে যাব। তার জন্য এখনই পোস্ট লেখতে বসে গেলাম।

তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার সারাদিনের কাজকর্ম নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপনা করেছেন, যেটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল, এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

প্রতি দিনের মতোই বন্ধুদের সাথে কোচিং এ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপনার এক বন্ধুর কাজের জন্য আপনি সহ এক জায়গায় গিয়েছেন। সেখান থেকে ফেরত আসার পর আর কোচিংয়ে যাননি। সত্যিই বৃষ্টির সময় লাল চা খেতে একদম অন্যরকম ফিল হয়।
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল না দিলেও চলে। অনলাইনে তো দিয়ে দিলে হয়।

যাইহোক ভাই, আপনার হাতের রান্না করা পিঠা খুব খেতে ইচ্ছে করে। আপনার রান্না করা পিঠার ছবি দেখলেই মনে হয় খেতে বেশ ভালোই হয়েছে। ।

সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।