আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অনেক তাড়াতাড়ি। কারণ আজকে আমাদের সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হবে যেখানে আমরা এতদিন প্রশিক্ষণ করেছি। আজকে আমাদের সার্টিফিকেট দিবে তার জন্য সেখানে যেতে হবে। তো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া করে নেই। খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে বসতেই আমার বন্ধু এসে পড়ে।তারপর আমিও আমার বন্ধু একসাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমরা কিছুদূর হাঁটার পরে একটা গাড়িতে উঠে পড়ি। সেই গাড়িতে করে আমরা প্রথমে কলেজ রোড আসি। তারপর আরেকটা গাড়িতে উঠে সেখান থেকে পায়রাগঞ্জ চলে আসি। পায়রাগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে ওপারে পার হয়ে আরেকটা গাড়িতে উঠে পড়ি। সেই গাড়িতে করে চলে আসি আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে।
সেখানে এসে দাঁড়াতেই দেখতে পাই অল্প কয়েকজন সহপাঠীরা এসে পড়েছে। তো সেখানে দাঁড়িয়ে সবার সাথে সাক্ষাৎ করি। বেশ ভালো লাগে সবাইকে দেখে জানি না আর কবে দেখা হয় এদের সবার সাথে। তারপর সবাই মিলে আমাদের মধ্যে ঢুকে স্যারদের সাথে দেখা করি। তারপর স্যারের সাথে দেখা করে আমিও আমার এক সভাপতি বাইরে বের হই।
বাইরে বের হয়ে একটা গাড়ি নিয়ে চলে যাই মিষ্টির দোকানে। আমরা বিদায় নিবো স্যারদের মিষ্টিমুখ করাবো না এটা কি হয়। সেখানে গিয়ে ৫০ পিস মিষ্টি নেই আমরা। তারপর দোকানের বিল পরিশোধ করে মিষ্টি হাতে নিয়ে বাইরে বের হই। বাইরে বের হয়ে আরেকটা গাড়ি নিয়ে চলে আসি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দিকে। তারপর সেখানে গিয়ে সেগুলো আমাদের ট্রেডে রেখে দেই।
তারপর সবাই মিলে আমরা একটা রুমে গিয়ে বসি। সেখানে বসে স্যারে আমাদের বেশ অনেকটা সময় খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলে। আমরাও সবাই খুব মনোযোগ সহকারে স্যারের কথাগুলো শুনতে থাকি। তারপর বেশ অনেকটা সময় কেটে যায় আমাদের সবার সার্টিফিকেট দিতে দিতে। সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে হয়েছে শুধু একটা কাগজ বের করে নিতে হবে আমাদের অন্য কম্পিউটারের দোকান থেকে।
তো কিছুক্ষণ পরে আমাদের সমাবেশ শেষ হয়ে যায়। তারপর আমরা আমাদের ট্রেনে চলে আসি স্যারে আমাদেরও মিষ্টি মুখ করায়। আমাদের এক ছোট ভাই আমাদের সবাইকে মিষ্টি এনে এনে দিয়ে দেয় সামনে যে যার মত হাত দিয়ে একটা একটা নিয়ে নেয়। তারপর আমরা স্যার আমাদের ট্রেডার্স স্যারের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বাইরে বের হয়ে যায় সবাই।
বাইরে বের হয়ে আমরা সবাই আমাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে নেই। ছবি তুলে একে অপরের সাথে কথাবার্তা বলে বিদায় নেয়। বিদায় সময়টায় খুব খারাপ লাগতেছিল। কিন্তু কিছু করার নাই আর এমন মনে হয় কারো সাথেই দেখা হবে না। তো সবাই একে একে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়।
তারপর আমিও আমার কিছু সহপাঠী বুদ্ধি করি আজকে আমরা যাব না। আজকে আমরা স্টেডিয়ামের মধ্যে থাকবো। তো স্টেডিয়ামের মধ্যে গিয়ে কথাবার্তা বলে স্টেডিয়াম থেকে বাইরে বের হয়ে খাওয়া দাওয়া করার জন্য। আমরা পাঁচ জনে একটা হোটেলে চলে যাই সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করি। সেখানে খাওয়া-দাওয়া আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। এভাবে আর কবে একসাথে খাওয়া দাওয়া করব সেটা কেউই জানি না। আর কারো সাথে দেখা হবে কি হবে না সেটাও জানিনা।
তো খাওয়া দাওয়া করে সেখান থেকে বের হই এদিক ওদিক ঘুরা ঘুরি করি। খুব জনপ্রিয় একটা নাম শুনেছিলাম আমি। মিঠাপুকুর নামে একটা জায়গা আছে খুব জনপ্রিয় আমি শুনেছি। কিন্তু কখনো যায়নি তার জন্য সেখানে যাওয়ার কৌতূহল জেগে উঠলো আমার। আমার সহপাঠীরা বলল জায়গাটা তেমন একটা ভালো না কোন কিছুই নেই শুধু একটা পুকুর। তো সেখানে গিয়ে দেখতে পাই সত্যিই একটা পুকুর ছাড়া আর কিছুই নেই। তো আমি খুব হতাশ হয়ে গেলাম শুধু শুধুই এতটা দূর এসে সময় নষ্ট করলাম।
তারপর সেখান থেকে চলে আসি আমরা স্টেডিয়ামের দিকে। স্টেডিয়ামের দিকে এসে আমিও আমার এক বড় ভাই যাই আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে। আর অন্য সহপাঠীদের স্টেডিয়ামের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়। বন্ধুর সাথে দেখা করে বন্ধুকে সাথে নিয়ে আমরা গাড়িতে করে কিছুদূর ঘুরাঘুরি করি। অল্প কিছুক্ষণ পরে সন্ধ্যা হয়ে যায় তো বন্ধুকে বন্ধুর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আমরা স্টেডিয়ামে চলে আসি।
স্টুডিয়ামে এসে সবাইকে নিয়ে বাইরে বের হই কিছুক্ষণ পরে। তারপর আমরা এদিক ওদিক হাঁটাহাঁটি করি কিছুক্ষণ। অল্প কিছুক্ষণ পর আমরা একটা দোকানে গিয়ে হালকা কিছু নাস্তা করি। নাস্তা করে দোকান থেকে বেরিয়ে আবারো অন্যদিকে হাঁটা শুরু করি। তারপর আমি বললাম চলো এখন রাত্র হয়ে গেছে আমরা মেলার দিকে যাই।
তো আমার কথা শুনে সবাই মেলার দিকে হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে মেলার সামনে চলে। তারপর টিকিট কিনে সবাই মিলে একসাথে মেলার মধ্যে প্রবেশ করি। আজকে আমাদের পটুয়াখালীর শেষ রাত আর মনে হয় এমন ভাবে সবাই মিলে একসাথে রাত কাটানো হবে না। তাই আজকে আমরা মোটামুটি সবগুলো রাইট ও জায়গায় টিকিট কিনে ঘোরাঘুরি করলাম। তো দশটার দিকে আমরা মেলা থেকে বাইরে বের হই। তারপর বাইরে একটা হোটেলে গিয়ে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করি তারপর স্টেডিয়ামে চলে আসি।
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you 😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজ আপনি জীবনে নতুন একটা ধাপ অতিক্রম করেছেন। প্রতিটা ধাপ অতিক্রম করার মধ্যে এক অন্য রকম আনন্দ পাওয়া যায়। আপনি এতদিন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন আর আজ সেখানে থেকে সার্টিফিকেট দিবে এটা আপনার জন্য অনেক বড় অর্জন। এভাবেই জীবনের প্রতিটা লক্ষ্য অর্জন করুন এই আশা রাখি। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছে মনে হয় আপনার এই দিনটা আজকে মনে রাখার মতন একটা দিন,, বেশ সারাটা দিনই অনেক আনন্দ কেটেছে আপনার স্যারদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া বন্ধুদের সাথে দুপুরে খাবার খাওয়া, দিন শেষে বিকেল বেলা আবার অনেক সুন্দর জায়গায় ঘুরে বেড়ানো,, এমন জায়গায় ঘুরতে কিন্তু কোন অনিয়া হয় না বেশ ভালই লাগে।।
যাইহোক আপনার এই দিনটা শুভ হোক সে প্রার্থনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য। এটা ঠিক যে এই দিনের কথা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। সহকারীদের ছেড়ে আবারও একা হয়ে গেলাম আমরা সবাই। তাই প্রতিটা মুহূর্তেই সবার কথা সবার মনে পড়বে আবার কিছুদিন পর সব আগের মত হয়ে যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনের প্রথম যে কোন অর্জনই অনেক বড় ব্যাপার। আপনাকে প্রথমেই অভিনন্দন জানাই। আশা করি এ ট্রেনিং থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আপনার পরবরতী জবনে অনেক বেশি সহায়ক হবে, আপনার জীবনের উত্তরত্তোর সাফল্য কামনা করছি। শভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit