আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকালবেলা ঘুম ভেঙে যায় সাতটার দিকে। তো আমি উঠে দেখি আমার সহপাঠীরা কেউই এখনো ঘুম থেকে উঠে নেই। তারপর আমি হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে একটা দোকানের দিকে চলে যাই। একটা দোকানে গিয়ে এক কাপ দুধ চা খাই সাথে এক পিস কেক। সুন্দরভাবে খাওয়া দাওয়া করে আবারও স্টেডিয়ামের দিকে এসে করি।
আমি এসে আমার সহপাঠীদের অনেক ডাকা ডাকি করে ঘুম থেকে উঠাই। অল্প কিছুক্ষণ ডাকা ডাকি করার পর তারা সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়ে। তো তারপর তারা যে যার মত বাইরের দিকে যায় আমি কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে বসে থাকি। অল্প কিছুক্ষণ পর সবাই আবারো রুমে চলে আসে। রুমে এসে যে যার ব্যাগ জামা কাপড় গুছিয়ে নেয়। তারপর সবাই মিলে বাইরে বের হই যে যার বাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য।
বাইরে বের হয়ে সবাই একসাথে কিছু কথাবার্তা বলে বিদায় নেই। সবাই এক এক অঞ্চলে চলে যাবে আবার কারো সাথে যে দেখা হবে তার কোন ঠিক নেই। তো সবাই সাথে খুব সুন্দর ভাবে কথাবার্তা বলে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ি। সেই গাড়িতে করে সোজা চৌরাস্তায় চলে আসি। তারপর অন্য একটা গাড়িতে করে পায়েরগঞ্জ চলে আসি। পায়রাগঞ্জ এসে ট্রলার উঠে পড়ি ওপারে পার হওয়ার জন্য।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ওপারে পার হয়ে যায়। তারপর ওপারে উঠে আরেকটা গাড়িতে করে সুবিদখালী আমার নিজ শহরে চলে আসি। তারপর সেখান থেকে আর বাড়ির দিকে না গিয়ে প্রথমে কলেজের দিকে যাই। কলেজে গিয়ে দেখতে পাই আমার সব বন্ধুরাই কলেজে আসে। সবার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাই তারপর কলেজ থেকে বের হই।
চলে যাই একটা টেইলারের দোকানে সেখানে আমার কিছু কাপড় ছিল। সেগুলো নিতে সেই দোকানে চলে যায়। তো সেই দোকান থেকে সেই কাপড় গুলো নিয়ে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করে বাড়ির দিকে রওনা হয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়িতে চলে আসি বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে বসে থাকি।
তো অল্প কিছুক্ষণ পর গোসল করার জন্য বাইরের দিকে বের হয়। তারপর আম্মুর সাথে বসে বসে বেশ অনেকটা সময় কথাবার্তা বলি। তো আম্মু বলে গোসল যখন করতেই যাবি। তাহলে কবরস্থানের ইটে একটু পানি দিয়ে আয়। আমি বললাম আচ্ছা তো আমি একটা বালতি ও মগ নিয়ে চলে যায় সেখানে। খুব সুন্দর করে সেই ইট গুলোতে পানি দিয়ে দেই। আমাদের এখানের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। খুব সুন্দর ভাবে দেওয়াল তৈরি হয়েছে।
তারপর সেখান থেকে চলে আসি কাজ শেষ হওয়ার পরে। এসে গোসল করে নেই গোসল করে একটু রোদে গিয়ে দাঁড়াই। তারপর খাওয়া দাওয়া করতে ঘরে চলে আসি। ঘরে এসে খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিছানায় গিয়ে শুয়ে বিশ্রাম নেই।
তারপর আমাকে আমার দাদি আপু ডাক দেয়। সে বলেই আজ কোথায় জানি যাওয়ার কথা ছিল। আমি বললাম হাঁ মনে আছে তো চলো প্রস্তুত হও সেখানে যাব এখনি। তারপর আপু আর আমি দুজনে প্রস্তুত হয়ে বাইরে গিয়ে দাঁড়াই। আমি আগেই একটা গাড়িওয়ালা কে কল দিয়ে বাড়ির সামনে আসতে বলেছিলাম। তার জন্য বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি।
অল্প কিছুক্ষণ পর সে চলে আসেন তারপর আমরা রহনা হই মির্জাগঞ্জ দরবার শরীফে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সেখানে চলে যাই। তারপর দাদি আপুকে নামাজের ঘরে গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে আসি। আর তো আমি আর সেই গাড়িওয়ালা ভাই দুজনে মিলে এদিক-ওদিক হাটাহাটি ও ঘোরাঘুরি করতে থাকে।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে নদীর দিকে চলে যাই। নদীর দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। তাই আমরা দুজনে হাঁটতে হাঁটতে সেখানে চলে যাই সেখানে গিয়ে পল্টনের উপরে কিছুক্ষণ দাঁড়াই আমরা। তারপর আবারো হাটতে হাঁটতে গাড়ির দিকে চলে আসি। কিছুক্ষণ গাড়ির মধ্যে বসে থাকি আমরা দুজনে। অল্প কিছুক্ষণ সময় লাগে দাদী আপুর নামাজের স্থান থেকে বের হতে।
তো আমাদের বাড়ি আসতে আসতে অল্প কিছুক্ষণ সময় লাগে। আমরা সোজা গাড়িতে করে বাড়ির সামনে চলে আসি। তারপর গাড়িওয়ালা ভাইকে তার ভাড়া টাকা পরিশোধ করে দেয়। সে খুব হাসিমুখে সেই টাকা হাতে নেয়। জিনিসটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। কারণ মানুষের হাসি সব থেকে মূল্যবান।
কোন জায়গায় যদি কোন ঝগড়া হয় সেখানেও হাসি দিয়ে সমাধান করা যায়। সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পিছনে খুব কিচিরমিচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। পিছনে গিয়ে দেখি শালিক পাখি খুব ডাকাডাকি করতেছে। একসাথে মনে হয় ৫০-৬০টার উপরে শালিক পাখি হবে। সবগুলো একডাল থেকে অন্য ডালে গিয়ে বসতেছে ও ডাকাডাকি করতাছে। আমার ছবিতে একটাও দেখা যায় না। কিন্তু কাছে থেকে দাঁড়িয়ে নিজের চোখ দিয়ে দেখা যায়।
তো কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলাম তারপর সেখান থেকে ঘরে চলে আসি। ঘরে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে কাটিয়ে দেই ফোন দেখে। অল্প কিছুক্ষণ পরে আম্মু ডাক দেয় নাস্তা করার জন্য। রুম থেকে বেরিয়ে নাস্তা করতে চলে যাই। নাস্তা করে কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে বসে থাকি আবারও এসে।তারপর ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে চলে যাই ব্যাডমিন্টন খেলতে। অল্প কিছুক্ষণ সময় লাগে সেখানে যেতে আমার। গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি এক গ্রুপ খেলা শেষ হয় তারপর আমি খেলতে নেমে যাই। তো অল্প কিছুক্ষণ ব্যাডমিন্টন খেলে বাড়ির দিকে চলে আসি।
বাড়ির দিকে আসার কারণ হচ্ছে আজকে আমাকে একটা ঘরে দাওয়াত দিছে। দাওয়াত ছিল আমার বাড়ির মধ্যে অন্য আরেকটা ঘরে। এক বাড়িতে অনেকগুলো ঘর থাকে সেই আমাদের ঘরের পাশের ঘরে আমার দাওয়াত ছিল। তো সেখানে যাই খুব সুন্দর ভাবে খাওয়া দাওয়া করি। সবার সাথে খুব সুন্দর ভাবে কথাবার্তা বলি। তারপর ঘরে চলে আসি ঘরে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ি।
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার আজকেও কর্মকান্ড গুলো এতো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনি বাড়িতে গিয়েছেন। বাড়িতে যেয়ে আম্মুর সাথে কথা বার্তা বলে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দাদি এবং আপুর সাথে দরবারে ঘুরতে গেছেন সেখানে অনেকটা সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আসলে আমাদের সকলেরই ঘুরতে খুব ভালো লাগে। সেটা যেকোনো জায়গা হতে পারে। ঘোরার ভিতর একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। অনেকদিন পর বাড়িতে আসলে সবার সাথে কমবেশি কথাবার্তা বলা হয়। সবাই জিজ্ঞেস করে কেমন আছি এতদিন কি করছি ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit