আসসালামু-আলাইকুম সবাইকে, আমি @sumon247
আছি 🇧🇩 #Bangladesh এর রাজধানী ঢাকা থেকে।
আজ - ১৬ই আষাঢ় | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বর্ষাকাল
প্রথমেই আমি ধন্যবাদ জানাই @jakaria121 কে উৎসব ভিত্তিক এত সুন্দর একটি কনটেস্ট এই কমিউনিটিতে আয়োজন করার জন্য। মূলত, বাংলা ভাষায় নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে লিখা সম্ভব হয় যার জন্য আমি বাংলা ভাষায় লিখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি এবং আজকের এই কনটেস্ট আয়োজনের সম্পূর্ণ পোস্ট আমি বাংলায় করছি! যাইহোক, দেরি না করে শুরু করা যাক!
সারাবিশ্ব জুড়ে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে ঈদ। বছরে দুটি ঈদ উদযাপন করা হয় - একটি ঈদ-উল ফিতর, এবং অন্যটি হচ্ছে ঈদ-উল আযহা, যাকে কোরবানির ঈদও বলা হয়। যাইহোক, গত ২-৩ দিন ধরে আমাদের মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ চলছে।
ঈদের আনন্দ কেমন হয়? ছোটবেলার ঈদ কেমন ছিল? |
---|
আমার মতে, ঈদের দিন যে আনন্দধারা প্রবাহিত হয় তা অফুরন্ত পুণ্যময়তা দ্বারা পরিপূর্ণ। দুই ঈদের ভিন্নরকম আনন্দ। ঈদের দিন নতুন জামা-কাপড় পরিধান করা, ঈদগাহে গিয়ে নামাজ পড়া, কোলাকুলি সৌহার্দ্য, ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অন্যরকম এক অনুভূতি। ঈদের সময় পরিবারের সাথে সুন্দর সময় কাটানো এবং সকলের চাহিদা পূরণ করা আমার একটি স্পেশাল দ্বায়িত্ব।
প্রায় সকলেরই ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি অনেক। এখন বুঝি, ঈদের আসল আনন্দ তো ছোটবেলাতেই। ছোটবেলায় আমরা অনেকেই ঈদের নতুন জামা ও জুতা লুকিয়ে রাখতাম। কেউ যেন দেখে না ফেলে। এছাড়াও, ঈদে কখন মেহমান বাসায় আসবে এবং কখন সেলামি পাব এমন উত্তেজনায় বুঁদ হয়ে থাকতাম সর্বদা। অন্য সকলের মতো আমারও ছোটবেলার ঈদ কেটেছে বেশ আনন্দ হৈ-হুল্লোড় করে। তবে বড় হওয়ার পর থেকে সেলামি দিয়ে বেশি আনন্দ পাই আমি। এখন ঈদ মানেই শুধু ব্যস্ততা।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আপনার ভূমিকা কী? |
---|
আমাদের আনন্দ উৎসবের দিন হলো - ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। আমি মনে করি, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাঝেই প্রকৃত সুখ। পরিবারের সকলের জন্য কেনাকাটা করা, কার কি লাগবে জিজ্ঞেস করা, সমাজের দরিদ্রের মাঝে দান করা, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে দাওয়াত দেয়া এবং ঈদকে কেন্দ্র করে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি কখনো একাকী সম্ভব নয়। সুতরাং, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এই বিষয়গুলো অবশ্যই প্রয়োজন।
ঈদের মাধ্যমে কি শিখেছেন? |
---|
মূলত, ঈদের মাধ্যমে আমি শিখতে পেরেছি - ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে অবশ্যই দিনটিকে উদযাপন করতে হবে। পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি, যার নতুন জামা-কাপড় নেই যদি সম্ভব হয় তাহলে তাকে নতুন জামা-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া। অভাবীদের একবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা। এছাড়াও, অন্তত ঈদকে কেন্দ্র করে একসাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ।
আজকের কনটেস্ট পোস্টে, আমি আমার তিনজন বন্ধুকে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি - @toufiq777 @reinamia এবং @goodybest