খুশির মুহুর্ত পেতে হলে সবসময় দূরে ঘুরতে যাওয়া জরুরি নয়

in hive-120823 •  2 years ago 

IMG_20220916_004332.jpg
(প্রিয় বান্ধবীর সাথে কাটানো সময়)

প্রিয়,
পাঠকগণ,

আশাকরি আপনার প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন আর আজকের দিনটা নিশ্চয়ই খুব ভালো কাটিয়েছেন।

আজকে আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো, আমার প্রতি দিনের জীবনযাত্রার মধ্যে থেকে নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিয়ে, আমি সেই সময়টা কিভাবে কাটাই সেই বিষয়ে। আমাদের বাড়ি থেকে স্টেশনের দুরত্ব খুব বেশি হলে ১০ মিনিটের হাটা পথ। আর আমার বান্ধবীর বাড়ি থেকে সেই দুরত্ব আরও কম। মানে আমাদের বাড়িতে যেতে হলে আমার বান্ধবীর বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে হয়।

প্রায় দিনই আমি এবং আমার প্রিয় বান্ধবী সোমা, যার কথা আমি আপনাদের সাথে আগেই শেয়ার করেছি, সন্ধ্যাবেলা নিজেদের জন্য একটু সময় বার করে হাটতে বেড়োই। মাঝে মধ্যে আমরা হেটে ফেরার পথে স্টেশনেও যেতাম। কিন্তু স্টেশনে আসাটা কখন যেন অভ্যাস হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।

IMG_20220916_004316.jpg
(আমাদের আড্ডার জায়গা)

প্রায় দিনই সন্ধ্যা ৬টা বাজলে হয় আমি না হলে সোমা ফোন করে। আমি সোমাকে বলি, আমি ৭টায় বেরোবো, ও যেন ৭টায় রাস্তার সামনে এসে দাড়ায়। কারন ওর বাড়ির সামনে দিয়েই আমরা প্রতিদিন যাই। যথারীতি ২জনেই তৈরি হয়ে একসাথে বেরিয়ে পরি। যেখানে আমরা যাই সেই জায়গাটি হল স্টেশনের উপরে একটি মহিলার চায়ের দোকান। যাকে আমরা বলি বৌদির চায়ের দোকান। ওখানে আমরা ছাড়াও অনেক মেয়েরা আসে। ওদের সকলের সাথেও আমাদের এখন পরিচয় হয়ে গেছে।

প্রায় দিনের মতোই আজকেও আমরা দুজনেই স্টেশনে গিয়েছিলাম। আর দোকানে যেতে না যেতেই বৌদি বললো,-আমি তোদের কথাই ভাবছিলাম কখন তোরা আসবি। তারপর আমিও হেসে বললাম, -তুমি মনে করছিলে, তাই আমরা চলে আসলাম।

তারপর একটু মজা করলাম,একটু আড্ডা মারলাম, তখনই বৌদি বলে উঠলো,-কিরে তোরা কি আজ চা খাবি না নাকি? তারপর সোমা বললো ,- বানাও, তবে চিনি ছাড়া। হ্যাঁ, আজকাল চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস করছি আমরা দুজন।

IMG_20220916_004255.jpg
(গালর্স গ্যাং - এই বোনগুলো টিউশনি থেকে ফিরছিলো)

তারপর আমরা দুজনে চা খেতে খেতে বৌদির সাথে আড্ডা মারছিলাম, কারন তখন দোকানে অন্য কোনো লোকজন ছিলো না। কিছুক্ষন বাদে আমাদের পরিচিত কতগুলো মেয়ের সাথে দেখা হলো।ওরা সকলে টিউশনি পড়ে বাড়িতে ফিরছিলো। আমাদের দেখে ওরা দাড়ালো।ওদের চা খেতে বললাম ,কিন্তু ওরা কেউ খেলো না। ওরা সবাই মিলে ছবি তুলছিলো। তাই আমি আর কেনো পিছনে থাকবো, আমি ঔ বোনেদের সাথে যোগদান করলাম।

আজ অনেক গল্প, অনেক আড্ডা হলো। বেশ কিছুক্ষণ মজা করার পর ওরা সবাই চলে গেলো। তারপর আমি আর সোমাও বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। ফেরার পথে সোমাও বাড়িতে ঢুকে গেলো। আর তারপর আমিও বাড়ি চলে এলাম।

IMG_20220916_004347.jpg
(ভালো সময় কাটালাম সবার সাথে)

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন। মেয়ে হয়েও আমরা কেনো চায়ের দোকানে যাই? কিন্তু বিশ্বাস করুন এতে খারাপ ভাবার কিছু নেই।আসলে ভালো মন্দ সবটাই নিজের উপরে। আমি নিজে ঠিক থাকলে সবকিছু ঠিক থাকবে। আর ঔ দোকানের বৌদিটার কথা ভেবেও সত্যি খারাপ লাগে আমাদের। আমরা কিছু কিনলে ওনার ও কিছু টাকা আয় হয়। নিজেরা নিজেদের মতো করে একটু সময় কাটাতে পারি।

দেখুন জীবনে লড়াই, দুঃখ, কষ্ট সব থাকবে। এর মধ্যে থেকেই ভালো থাকার পথ নিজেকেই খুজে বের করতে হবে। আমি অন্তত তাই বিশ্বাস করি। তাই নিজের মতো করে আমি আমার ভালো থাকার উপায় বের করি।আপনারও নিজেদের মতো করে ভালো থাকুন। নিজে ভালো থাকলে দেখবেন, সবাইকে ভালো রাখতে পারবেন।

সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। শুভ রাত্রি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

@tipu curate

কি ভালো রে। ভাবছি আমি পরের বার তোদের বাড়ি গেলে, তোদের সাথে গিয়ে এই চায়ের দোকানে আড্ডা দেবো @swetab97। অবশ্য আমার বন্ধু/বান্ধবীদের সাথে গেলে আড্ডাটা জমতো😊।

ঠিক আছে @sampabiswas দিদি, আমি তোকেও একদিন নিয়ে যাবো আমার আর সোমার সাথে। আশাকরি তোরও ভালো লাগবে।

ওকে তাহলে আমাদের একদিন ওখানে যাওয়ার প্ল্যান করতে হবে কি বলিস @swetab97 😊।

খুব ভালো, এমনি করেই সারাজীবন চেষ্টা করবে সবার সাথে যোগাযোগ রেখে যেতে, এই প্ল্যাটফর্ম এ আমি অনেক কেই আনতে চাই তার অন্যতম কারণ যোগাযোগটা অটুট থাকে, অনেক সময় নানা কারণে আমরা প্রিয়জনদের হারিয়ে ফেলি, বিশেষ করে আমার ছোটোবেলায় মোবাইল ছিল না তাই স্কুলের কোনো বান্ধবীর সাথে আজ যোগাযোগ নেই। যদি এখন মত পরিস্থিতি হতো সত্যি হয়তো আজও যোগাযোগ থাকতো। যদি কেউ কাজ করতে সত্যি ইচ্ছুক থাকে এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে চায় তাহলে এই প্ল্যাটফর্ম এ তাদের কে নিয়ে এসো। ভালো লাগবে একসাথে কাজ করতে যেমন তোমার দিদির সাথে আজও আমি কাজ করে যাচ্ছি। এটা একটা ভালো যোগাযোগ মাধ্যম অনেক কিছু শেখা যায় আবার সমান ভাবে যোগাযোগ রাখা যায় সারাজীবন।

ঠিকই বলেছেন @sduttaskitchen ম্যাম, মোবাইল ফোন তখন থাকলে আপনার মতো অনেকেই তাদের স্কুল কলেজের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারতো।আমি চেষ্টা করবো আমার বান্ধবীদের মধ্যে কেউ যদি কাজটি করতে ইচ্ছুক হয় আমি আপনাকে জানাবো। ভালো থাকবেন ম্যাম।

আমি নিজেও একজন আড্ডা প্রিয় মানুষ, আড্ডা দিতে না পারলে দিনটি ঠিক ভাবে শেষ হলো না বলে মনে হয়। শুভ কামনা তোমাদের তোমাকে ও তোমাদের বন্ধু মহলকে আমার পক্ষ থেকে।

ধন্যবাদ @pulook স্যার। আপনার লেখায় আমি অনেক সময় পরেছি আপনার বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর কথা। আপনারাও নিজেদের মধ্যে অনেক ভালো সময় কাটান। ভালো থাকবেন। আপনার দিনটা শুভ হোক।