Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। ভালো শুধু শারীরিকভাবে নয় বরং মানসিকভাবেও সুস্থ থাকার প্রয়োজন রয়েছে ভালো ভাবে বাঁচার জন্য। তবে মানসিক শান্তি যেন দিন দিন দুরে সরে যাচ্ছে।
ছোটবেলা থেকে বুঝতে শেখার পর মানুষের কতই না শখ থাকে, কত ইচ্ছে থাকে আর হাজারো পরিকল্পনা থাকে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে। সেটা স্বাভাবিকভাবে আমারও ছিলো তবে এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে সকল পরিকল্পনা যেন চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু কথা কাউকে বলে বুঝানো যায় না, তবে আপনাদের সাথে শেয়ার করে অনেকটাই হালকা হতে পারি।
আজ আপনাদের সাথে আমার পুরানো কিছু ছবি শেয়ার করবো। যে ছবিগুলো হয়ত অনেক বছরের পুরানো তবে সেই মুহুর্তগুলো আমার চোখের সামনে এখন জ্বলজ্বল করে। এই ছবিটা ২০১৮ সালের। তখন আমি সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছি। এই প্রথমবার বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় থাকা শুরু করি। আমি বটিয়াঘাটা কলেজে পড়তাম আর সেজন্য সেখানে বাসা ভাড়া করেই থাকতে হতো।
নতুন পরিবেশ আর নতুন বন্ধু বান্ধবদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হতো। সেই সময়টা সারা দিন কলেজ ও ব্যাচ শেষ করে বিকাল বেলা হয়তো বা খেলাধুলা করতাম না হয় নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতাম। পাশেই বটিয়াঘাটা নদী ছিলো আর নদীর পাড়ে বসে সময় কাটাতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাই সকলের সাথে সেখানে গিয়ে আড্ডা দিতাম। যে মুহুর্তটা সত্যি অনেক বেশি মিস করি এখন।
ছবিটা বন্ধুর কাছ থেকে নিয়েছিলাম |
---|
এই ছবিটা ২০১৯ সালের। সেদিন আমার দাদার বিয়ে ছিলো। বিয়েতে বর যাত্রী যাওয়ার আনন্দটা কেমন সেটা হয়ত আপনারা সকলেই জানেন। সেদিন সকলে মিলে দাদার বিয়েতে যাচ্ছিলাম সেজন্য ভালো লাগাটা তো অবশ্যই কাজ করছিলো তবে সেই সাথে মনের মধ্যে একটা ভয়ও ছিলো। ভয় পাওয়ার কারন? নদীর সৌন্দর্য আমার ভীষণ ভালো লাগে তবে সেই সাথে ভয়ও করে। বিয়েতে যেতে হচ্ছিলো নদী পথে, টলারে করে। টলারে আকার খুব বেশি বড় ছিলো এমনটা নয় তবে যাওয়ার পথে অনেক বড় নদী পার হতে হবে আর সেই নদীতে ভীষণ তুফান হয় এটা ভেবেই ভয় লাগছিলো।
তবে এই ছবিটা যখন তুলেছিলো তখন আমি অন্য দিকে তাকিয়ে অন্য মনস্ক ছিলাম এবং জানতাম না যে ছবি উঠাচ্ছে। তবে পরবর্তীতে বন্ধুর ফোনে এই ছবিটা দেখেছিলাম এবং তার কাছ থেকে নিয়েছিলাম। যদিও যাওয়ার পথে নদীতে হালকা তুফান উঠেছিলো তবে তাতে বিপদে পড়তে হয় নি।
জীবনের প্রতিটা ধাপে আমরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার অর্জন করি। বটিয়াঘাটা কলেজ থেকে HSC পাস করার পর এডমিশনের জন্য খুলনাতে থেকে ব্যাচ করা শুরু করেছিলাম। এটা করোনার সময় কালীনের কথা বলছি।
পুরাতন বন্ধুদের ছেড়ে আবারও নতুন করে আবারও বন্ধুত্বের দিকে হাত বাড়ানোর মুহুর্ত। তখন আমরা একসাথে ৪ জন থাকতাম । সবাই মিলে বন্ধুদের সাথে খুলনার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম। এখন যেমন তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না কিন্তু তখন ঘোরার ভীষণ শখ ছিলো।
সেদিন সবাই মিলে খুলনা রেলস্টেশনে এবং খুলনার সাত নং ঘাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে করোনার কারনে সকল ব্যাচ বন্দ হয়ে গিয়েছিলো তাই সবাই বাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাই বাড়িতে আসার আগে সেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে অনেক বেশি মিস করি আগের সময়গুলো। সব কিছু ফিরে পেলেও পার করে আসা সময়গুলো কখনও ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
সত্যিই দাদা, ফেলে আসা দিনগুলো আমরা সবাই মিস করে থাকি! বাংলায় একটা কথা আছে না, যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ, আগের সোনালী দিনগুলো , হয়তো আমরা কেউ ফিরে পাবো না! শুধু স্মৃতিগুলি রয়ে যাবে। এত সুন্দর পুরনো একটা স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা। আমি আপনার জন্য দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা, ভবিষ্যতে যেন মঙ্গল কিছু বয়ে আনে আপনার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফেলে আসা সময় এখন অতীতে রুপ নিয়েছে। হাজার চেষ্টা করেও তা ফিরিয়ে অসম্ভব।
কতইনা সুন্দর ছিলো সেই সময়গুলো।মনে পরলেই চোকে জল আসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit