বিগত কয়েকদিন শীত ছিলো না বললেই চলে। তবে আবারও শীত যেন নতুন করে পড়তে শুরু করেছে। ভেবেছিলাম এবছরের মতো বোধহয় লেপ কম্বল ত্যাগ করার সময় এসে গেছে তবে সেটা আর হলো না।
বিগত দিন সন্ধ্যার দিকে একদমই শীত ছিলো না তখন শুধুমাত্র একটা কাথা গায়ে জড়িয়ে ঘুমিয়েছিলাম রাতে। তবে মাঝ রাতে শীতে যেন কুচড়ে আসছিলাম। কোনো উপায় না পেয়ে আবারও লেপ কম্বল গায় জড়িয়ে নিলাম।
সকালে বরাবরের মতো কিছুটা দেরি করেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। রাতের বেলায় অনেক শীত পড়লেও সকালে বেশ রোদ উঠছিলো। তাই সকালে শীত অনেকটা কম ছিলো।
আজ সকালে উঠানে হাঁটাহাটি করছিলাম তখন একটা জিনিস দেখে খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। কয়েক মাস আগে আমি খুলনা থেকে ড্রাগন গাছের চারা এনে লাগিয়েছিলাম সেটা আপনাদের সাথে শেয়ারও করেছিলাম।
ড্রাইন গাছের ডালপালাগুলোও অনেক বড় হয়েছে আগের থেকে । তবে আজ দেখি গাছের একটা ডাল ভেঙে গিয়েছে। গাছের ডালের উপর অন্য গাছের একটা ডাল ভেঙে পড়ার কারনে এমনটা হয়েছে।
তাই ভাবলাম ড্রাগন গাছের ডালগুলো কেটে অন্যত্র রোপণ করলে সেখান থেকে আবারও নতুন করে আরও অনেকগুলো গাছ হবে। আমাদের বাড়ির পাশের অনেককেই দেখেছি ড্রাগন গাছের কলম কেটে অন্যত্র লাগাতে। আজ আমিও সেটাই করবো বলে ঠিক করলাম।
তার জন্য প্রথমে কাঁচি সাহায্যে গাছের লম্বা ডাল থেকে ছোট ছোট অংশে কেটে নিলাম। সাবধানের সাথে এই কাজটা করতে হবে।
তারপর যে স্থানে গাছটি রোপন করবো সেখানে গর্ত খুঁচে জৈব সার ও ঝুরো মাটি একসাথে মিশিয়ে রাখলাম। তারপর ড্রাগন গাছ থেকে কাটা অংশটি ওখানে রোপন করে গাছের গোড়ায় জৈব সার অর্থাৎ শুকনো গোবর ও মাটি দিয়ে দিলাম।
তবে সব থেকে ভালো হয় যদি ড্রাগন গাছের গোড়ায় লাল বালি দেওয়া যায়। লাল বালি দিলে ড্রাগন গাছ থেকে দ্রুত শিকড় বের হয়। তবে বাড়িতে লাল বালি ছিলো না। তাই শুকনো গোবর ব্যবহার করেছি এটাও খুব উপকারী যেকোনো গাছের জন্য।
তারপর গাছের গোঁড়ায় জল দিলাম। এখন থেকে পরবর্তী কয়েকদিন নিয়মিত গাছের গোঁড়ায় জল দিতে হবে। জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া কোনো প্রাণীই বাঁচতে পারে না সে হোক বা মানুষ অথবা গাছপালা।
ড্রাগন গাছে ফল আসবে কিনা জানি না তবে কেন জানি ড্রাগন গাছের প্রতি একটা অন্য রকম আকর্ষণ কাজ করছে। ফলের আশায় নয় বরং ভালো লাগা থেকে। নতুন করে যে গাছগুলো লাগানো হয়েছে সেগুলো যদি ভালো ভাবে বেড়ে ওঠে তাহলে সেটা আপনাদের অবশ্যই জানাবো।
গাছের জীবনটাও অনেকটা লড়াই করার মতোন। শত প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে পার করে সারাটা জীবন। বৃক্ষ নিজের ফল নিজে ভোগ করতে পারে না অথচ মানুষ লালসা নিয়েই বেঁচে থাকে আজীবন!
এটা ঠিক বলছেন। শীত যেন মাঝে মাঝে প্রকোপ হচ্ছে। আজকে তো আমাদের এলাকাতে শীত যেন খুবই বেশি পরতেছে। আজকে বিকেলে বাইরে বের হয়ে যেন মনে হচ্ছিল শীতে আমি হাটতে পারতেছি না।
আমার অনেক ইচ্ছা ড্রাগন গাছ লাগানোর। কিন্তু বাসায় থাকি না বলে লাগানো হয় না।লাগালে সঠিক পরিচর্যা কেউ করতে পারবে না। যার জন্য আর লাগানো হয়ে ওঠে না।
ড্রাগন গাছ লাগানো সম্পর্কে জেনে ভালো লাগল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ড্রাগন গাছের প্রতি আপনার ভালোবাসা ও যত্ন সত্যিই প্রশংসনীয়। গাছের একটি ডাল ভেঙে গেলেও আপনি হতাশ না হয়ে সেটিকে নতুন ভাবে রোপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা প্রকৃত প্রকৃতিপ্রেমির পরিচয়। নিয়মিত যত্ন নিলে ইনশাল্লাহ নতুন চারা ভালো ভাবে বেড়ে উঠবে। আপনার গাছের এই নতুন অধ্যায়ের গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ড্রাগন গাছের প্রতি ভালোবাসা এবং যত্ন সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আরেকটি বিষয় নতুন জানতে পারলাম ড্রাগন গাছের গোড়াতে লাল বালি দিলে খুব দ্রুত ভাবে শিকড় ছড়ায়। এত সুন্দর একটা বিষয়বস্তু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ড্রাগন গাছ রোপন করেছিলেন সেটা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন কিন্তু আজকে গিয়ে দেখতে পেলেন সে গাছের পাতা একেবারে ভেঙে গেছে আসলে এটা খুবই দুঃখের একটা বিষয় আপনি আবারও সেগুলো রোপন করে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো আপনি ঠিকই বলেছেন এখন থেকে প্রতিনিয়ত গাছে পানি দিতে হবে তাহলেই কিন্তু তারা আবার সতেজ হয়ে উঠবে দোয়া করি আপনার গাছ যেন সতেজ হয়ে ওঠে এবং আপনাকে ফলন দেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit