Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। জীবনে অনেক সময় এমন কিছু পরিস্থিতি আসে যখন নিজের পরিকল্পনামাফিক কিছুই হয় না। জীবনে সঠিক পরিকল্পনা করা অবশ্যই উচিত, তবে যখন জীবনের গতি কোনো ধরাবাঁধা পরিকল্পনার বাইরে চলে যায় তখন সত্যি ভীষণ রকম ভাবে অসহায় লাগে নিজের কাছে।
প্রকৃত পক্ষে আমরা কোনো পরিকল্পনাই করি না, শুধুমাত্র ঈশ্বরের পরিকল্পনায় সামিল হই। তাই তার ইচ্ছার বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে রাস্তায় হাঁটতে গিয়েছিলাম। রোদে কিছু সময় না হাঁটলে যেন সকালের শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। রাস্তার পাশের শীমের ফুলগুলো দেখলে ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারি না। তাই বিগত দিনের মতো আজও কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম।
বিড়ালের যখন গাছে চড়তে মন চায় |
---|
বাড়িতে এসে কিছু সময় পর খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া শেষ করে উঠানে দাঁড়িয়ে ছিলাম কারন খাওয়ার পর ভীষণ শীত লাগে। এমনিতেই আমার শীত কিছুটা বেশি।
আমার বাড়িতে পোষা দুইটা বিড়াল আছে এটা আগেই আপনাদের বলেছিলাম। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ লক্ষ্য করলাম, বিড়াল দুটো এক দৌড়ে গাছের ডালে উঠে গেলো। গাছে উঠে দুজনে ডাল দিয়ে একটু হেঁটে বেড়াচ্ছে। সেই সুযোগে আমি কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
আমি যখন ছবি তুলছি তখন দু'জনেই আমার দিকে তাকালো হয়ত আমাকে ইশারায় ছবি তোলার অনুমতি দিলো। যদিও এরা বিড়াল হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে তবে তারপরও এরা মানুষের থেকেও সুখি। যদিও ওদের মনের কথা আমরা বুঝতে পারি না ।
তবে ওদের যখন যেটা মনে হচ্ছে সেটাই করছে। সারাদিন দু'জনে মিলে মারামারি আর ঘুরে ঘুরে দিন পার করছে। ওদের কে দেখে নিজের মনকে কিছুটা শান্ত করার চেষ্টা করি।
নিরীহ মুখ |
---|
গ্রামের প্রতিটা বাড়িতেই গরু পালন করা হয়। আমাদের বাড়িতেও রয়েছে তবে আমার কাছে বড় গরুর থেকে ছোট বাছুরকে বেশি ভালো লাগে। গরুগুলো নিজ নিজ জায়গায় বাঁধা ছিলো এবং ওদের মতো ওদের খাবার খেয়েই যাচ্ছে।
আমি কাছে দিয়ে ওর গায়ে হাত বুলিয়ে দিলাম। আমি ওর কাছে গেলে ও আমাকে ওর মাথা দিয়ে ঠেলা দিতে থাকে, ইশারায় গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে বলে। আমি গাছ থেকে আমের পাতা ছিঁড়ে ওকে খেতে দিলাম। পৃথিবীতে এই প্রাণীগুলোই অল্পে সন্তুষ্ট হয়। প্রতিটা দিনের কিছুটা সময় ওদের সাথে কাটাতে আমার বেশ ভালোই লাগে।
বর্তমান সময়ে দিনের বেলায় যতই ঘুম আসুক না কেন তারপরও ঘুমাচ্ছিনা কারন শীতের বেলা খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। আর তাছাড়া ঘুম থেকে উঠলে খুব খারাপ লাগে। বিকাল বেলা সবাই মিলে রাস্তায় গিয়েছিলাম হাঁটতে। কদিন আগেই আপনাদের সাথে সবুজ ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছিলাম আর এখন সেটা সোনালী রূপ ধারন করেছে। আমাদেরও হয়ত কাল থেকে ফসল কাঁটার কাজ শুরু হয়ে যাবে।
আজ একাদশীর ব্রত আর এদিন অনেকেই ব্রত পালন করেন। প্রতি একাদশী ব্রতের দিন আমাদের গ্রামের মন্দিরে নাম কীর্তন করা হয় সন্ধ্যার সময়। মন্দিরটা আমাদের বাড়ির পাশেই যেটা আপনাদের আগেও বলেছিলাম। পুরানো মন্দিরটি এবছর নতুন করে তৈরি করা হয়েছে তাই মন্দিরের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। নাম কীর্তনের সময় আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আর এভাবেই আমি আমার দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম।
গ্রামের জীবন যাপন সত্যিই একটি অসাধারণ অনেক সাদামাটা যা ঢাকা শহরের থেকে পুরাই ভিন্ন দাদা, গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো আসলেই খুবই সুন্দর। ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা চারদিকে তাকালে শুধু সবুজ শ্যামল আর পাখির কিচির মিচির যা মনকে করে আরো সতেজ ও ফুরফুরা। আপনার সাথে আমি একমত দাদা অল্পতেই সন্তুষ্ট হয় পশুপাখি কিন্তু মানুষ অল্পতে সন্তুষ্ট হয় না! মানুষকে যত দিবেন তত চায়। আপনার পোস্টগুলো আমি যখনই পড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কেননা আপনি গ্রামের পরিবেশ ও গ্রামের সুন্দর দৃশ্যগুলো তুলে ধরেন। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই মন ছুয়ে গেল ভাইয়া।আপনার লেখা সত্যিই অসাধারণ! আপনার প্রতিদিনের জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে, মনে হলো যেন আমি নিজেই সবটা উপভোগ করলাম। শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি, শীমের ফুল, বিড়ালদের দুষ্টুমি, গরুর প্রতি আপনার মমতাসবকিছু এত সহজ-সরল ও হৃদয়ছোঁয়া।
গ্রামের পরিবেশের এই সরলতা এবং প্রাণীর প্রতি আপনার ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। ছোট ছোট মুহূর্তের মধ্যে এত সুখ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টা আমাদের জীবনকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। ধানক্ষেতের সোনালী রূপ মনকে শান্তি দেয়।
আপনার এই গল্পগুলো শুধু আনন্দই দেয় না, বরং জীবনের গভীর অর্থও উপলব্ধি করায়। এমন সুন্দর লেখা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি, সামনে আরও এমন মধুর অভিজ্ঞতা জানতে পারব। আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit