Hello Everyone,,,
আশা করি সকালে ভালো আছেন। এতদিন শীত কিছুটা কম পড়লেও বিগত দিন থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি শীত পড়ছে। আজ সকালে শীতল বাতাস বইছিলো আর এমন অবস্থায় ভাবছিলাম কিভাবে স্নান করতে হবে।
অনেক চেষ্টা করেও সকাল সকাল বিছানা ছাড়তে পারছি না। ঘুম ভেঙে যাচ্ছে অনেক সকালে তবে কোনো ভাবেই যেন কম্বলের ভিতর থেকে বাইরে আসতে মন চায় না। বারবার মায়ের ডাকে বাধ্য হয়ে উঠতে হয়।
কম্বল ছেড়ে বাইরে গিয়ে দেখি ভীষণ শীত তাই তাড়াতাড়ি শীতের কাপড় পরে নিলাম। অনেকে রয়েছে শীতের কাপড় গায়ে পরেই রাতে ঘুমাতে যায় তবে আমার কাছে অস্বস্তি লাগে। সকাল থেকে বাতাস বইছিলো এজন্য শীত বেশি লাগছিলো তাই রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
আপনারা জানেন যে, এখন জমি থেকে ফসল বাড়িতে আনার পালা। বাড়িতে ফসল উঠবে এটা ভাবতে যতটা আনন্দের ঠিক ততটাই পরিশ্রমের। ফসল রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সবটাই অনেক বেশি পরিশ্রমের কাজ।
বাড়ির উঠানে ফসল তুলতে হবে তাই আগে থেকে উঠান প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফসল তোলার আগে গাড়ি দিয়ে উঠান সমান করতে হয় এটা হয়ত সকলেই জানেন। কাল থেকেই আমাদের ধান কাটার কাজ শুরু হবে, লোকজনও ঠিক করা হয়ে গেছে। তাই বাড়িতে কাজের অনেক চাপ রয়েছে।
যেখানে ধান সারা বছরের জন্য মজুত করে রাখা হয় গ্রাম্য ভাষায় সেটাকে ধানের গোলা বলে। সারাবছর ধানের গোলায় ধান থাকে এবং প্রয়োজনমতো সেখান থেকে বের করা হয়।
বিগত বছরের অনেক ধান থেকে গিয়েছে তাই সেগুলো বের করে ফেলতে হবে। যদিও কয়েকদিন আগে কিছু ধান বের করেছিলাম তবে এখনও রয়ে গিয়েছে তাই আজ সেগুলো বের করে বস্তায় আলাদা করে রাখতে হবে। এগুলো অনেক সময় সাপেক্ষ কাজ তাই শেষ করতে করতে বেলা প্রায় শেষ এবং শরীরের এনার্জিও শেষ। যাই হোক, নিজেদের কাজ তো করতেই হবে!
সারাদিন বাড়ি থেকে কোথাও যাইনি তাই বিকালে একটু হাঁটতে বের হলাম। দোকানে গিয়ে সবার সাথে গল্প করছিলাম তখন একটা লোক লাউ বিক্রি করতে যাচ্ছিলো। অন্য একজন দাম শুনতেই বললো, প্রতি পিস ২০ টাকা। বাজারে গেলে হয়তো দাম এর চাইতে বেশি তাই লোকটা এখান থেকে কিনে নিলো।
আপনাদের এখানে কেমন শীত পড়ছে জানি না তবে আমাদের এখানে সূর্যের আলো কমতেই ভীষণ ঠান্ডা চেপে ধরছে আমাদের। তাই শীতের পোশাক পরেই রাস্তায় গিয়েছিলাম।
সন্ধ্যা নামতেই বাড়িতে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পরই দেখলাম সবাই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করলো তবে বিগত কয়েকদিন ধরে আমার শরীর তেমন ভালো যাচ্ছে না তাই খেলতে যাচ্ছি না। আজও ব্যাটমিন্টন খেলবো তবে মাঠে গিয়ে কয়েক মিনিট ওদের খেলা দেখে আবারও বাড়ি চলে আসলাম। এভাবেই আমি আমার কার্যক্রম শেষ করলাম।
দাদা প্রথমে জানাই আপনাকে ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম।বাড়ি উঠান সমান করার জন্য ,গাড়ি দিয়ে সমান করতে হয়।এটা আমার প্রথম দেখা, আগেই বাড়ির উঠান সমান করতো মানুষ। এখন প্রযুক্তি চলে আসছে খুব সহজে করা যায়, সময় কম লাগে। আপনার একটি কথা পোস্টের ভিতরে পড়ে খুব হাসি পেল। আবার শীতের ভিতরে সত্যি, একটি কষ্টের ব্যাপার কম্বল ছেড়ে বের হতে মন চায় না। কি আর করবেন দাদা জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হবে।
যাই-হোক, দাদা কষ্ট করেন ঘরে নতুন ফসল উঠান। এরপর তো আনন্দই আর আমি যতটুকু জানি এরপর আপনারা এক দুই মাস ফ্রি থাকেন।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit