সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে রোদের প্রখরতা বেড়ে যাচ্ছে। সকাল সকাল উঠতেই পারছি না কোনো ভাবে। ঘুমের আড়মোড়া ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে। যাই হোক, ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
![]() |
---|
তারপর রাস্তায় কিছুসময় হাঁটতে বেরোলাম। রাস্তার পাশে অনেকগুলো রাজহাঁস ছিলো। এই রাজহাঁসের সাথে আমার ছোটবেলার একটা স্মৃতি রয়েছে। ছোটবেলায় রাজহাঁসকে অনেক বেশি ভয় পেতাম। বিশেষ করে এর লম্বা গলা দেখলে ভয় লাগতো।
অনেক রাজহাঁস দেখবেন কিছুটা হিংস্র প্রকৃতির হয়ে থাকে। ওদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কামড়াতে আসে আর ছোটবেলায় এটাকেই সব থেকে বেশি ভয় লাগতো। একদিন রাজহাঁসের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন ছুটে আমাকে কামড়াতে আসছিলো আর তখন আমি দৌড়ে মায়ের কোলে উঠি কারন মা তখন পাশেই ছিলো।
![]() |
---|
আমাদের এখানে কয়েকশ বিঘার একটা বড় ঘের রয়েছে। তবে এই ঘেরটা কোনো একজনের নয়। এই ঘেরের ভিতর যাদের জায়গা রয়েছে সকলেই এর অংশীদার। ওখানে আমাদেরও জমি রয়েছে। বছরের এই সময়ে ঘেরের জল সেচ দিয়ে মাছ ধরা হয়। তাই এবছরও ধরছে। আসলে মাছ ধরে সেগুলো বিক্রি করে অংশীদারদের মধ্যে ভাগ করা হয়।
বাবা গিয়েছিলো কিছু মাছ আনতে এবং সেখান থেকে অনেক মাছ নিয়ে এসেছে। বড় ছোটো সব রকমের মাছ রয়েছে। বেশি করে মাছ নিয়ে এসেছে কারন ফ্রিজে রেখে দেবে। তবে এখান থেকে যে আমরা ফ্রিতে মাছ নিয়ে আসছি তেমনটা নয়। আমরা যে মাছ নিয়ে এসেছি এগুলোর টাকা আমাদের লভ্যাংশের থেকে কেটে রাখা হবে, এই নিয়ম সবার জন্যেই প্রযোজ্য।
দুপুরে স্নান করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। তখন দাদা ফোন দিয়ে বললো যে পাশের গ্রামে ফুটবল খেলা রয়েছে সেটা দেখতে যেতে হবে। অনেক দিন খেলাধুলার বাইরে রয়েছি, খেলা দেখতেও যাওয়া হয় না কোথাও। তাই ভাবলাম একটু ঘুরে আসি তাহলে মনটা ভালো হবে।
![]() |
---|
এটা হচ্ছে খলসিবুনিয়া জি.পি.বি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এখানকার সাথে যে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেটা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক দিন পরই আসলাম বলা চলে কারন এদিকে প্রয়োজন ছাড়া তেমন আসা হয় না।
এখন স্কুলের চিত্রই পাল্টে গিয়েছে। আমি যখন পড়তাম তখন ক্লাস হতো পিছনের বিল্ডিং এ। এই বিল্ডিং টা নতুন করেছে বছরখানেক হচ্ছে। কত বন্ধুত্ব আর তাদের সাথে কাটানো সময়গুলো জীবনে দাগ কেটে রয়েছে সবই হয়েছে এই স্কুল থেকে।
![]() |
---|
আমাদের স্কুলের খেলার মাঠ আগে অনেক বড় ছিলো। তবে স্কুলের নতুন বিল্ডিং করার পর মাঠ অনেকটা ছোট হয়েছে গেছে যেটা খেলাধুলার জন্য অনেক অসুবিধা হয়ে দাড়িয়েছে। তবে কিছু করার নেই, নতুন স্কুল তৈরি করতে হলে মাঠ ছোটো করা ছাড়া উপায় ছিলো না।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
কিছুক্ষণ বাদেই ফুটবল ম্যাচ শুরু হলো। মাঠ ছোটো হওয়ায় ১১ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে অসুবিধা হবে তাই একেক দলে ৯ জন খেলোয়াড় নিয়ে ম্যাচ শুরু হলো। খেলা হচ্ছে আমাদের গ্রাম বনাম খলসিবুনিয়া গ্রামের মধ্যে। প্রথমার্ধে আমাদের গ্রামের দল ১ গোলে পিছিয়ে পড়ে। ভালো খেলা নির্ভর করে প্রাকটিসের উপর।
আমাদের গ্রামে খেলার উপযুক্ত মাঠ না থাকায় কেউ সেভাবে খেলার সুযোগ পায় না। ২০ মিনিট করে মোট ৪০ মিনিটের খেলা ছিলো। সময় শেষ হয়ে গেলেও আমাদের দল আর গোল শোধ করতে পারেনি তাই ১ গোলে হেরেই বাড়ি ফেরে সবাই। আমরা তো দর্শক ছিলাম তাই ম্যাচ শেষ হতেই বাড়িতে চলে আসলাম।
ঘেরের এমন মাছের স্বাদ অন্যরকম কেননা এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই বড় হয় আরো অনেক জলাশয়ের ভেতরে মাছ বাড়লে সে মাছের স্বাদও বৃদ্ধি পায়।
কোরাল মাছ আমার অনেক প্রিয় এই মাছগুলো খেতে আমার কাছে অনেক স্বাদ লাগে আমি ইলিশ মাছের চাইতে পছন্দ করি কোরাল মাছ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদেরকে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit