Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। সময়ের পালাক্রমে গরমের পর এবার শীত পড়তে শুরু করেছে। এখন হয়ত কনকনে ঠান্ডা পড়ছে না তবে বেশ ভালোই শীত পড়ছে।
শীতের সময় সারা শরীর কেমন জানি টান পড়তে থাকে যেটা আমার কাছে বেশ খারাপ লাগে। অনেকের তো শীতের সময় হাত পা ফেটে যায়। একারনে তারা অনেক ধরনের ক্রিম, এমনকি ঔষধও খেয়ে থাকে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে এই হাত পা ফাটা বেশি চোখে পড়ে। তাই প্রথম থেকে যদি সচেতন হওয়া যায় তাহলে হয়ত কিছুটা কম থাকে এসব সমস্যা।
শীত এখনও পুরোপুরি আসে নি তারপরও সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করছে না তবে ইচ্ছা না থাকার পরও উঠতে হচ্ছে। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়েছিলাম এবং কিছু সময় রোদে দাঁড়িয়েছিলেন। শীতের সকালে রোদটা বেশ উপভোগ্য মনে হয় আমার কাছে।
শীতের দিনে রোদের চেয়ে হয়ত ভালো কিছু হতেই পারে না। শীতের সময় স্নান সেরে এসেই রোদ পোহানোটা অভ্যাসে পরিনত হয়ে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। সকালে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ির সামনের বাগানে ফুটে থাকা মোরগফুগুলোর কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম।
মোরগফুলগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে তবে এই ফুলের নাম কেন মোরগফুল রাখা হয়েছে সেটা আমার মনে অবশ্যই প্রশ্ন আসে! সবুজ পাতা আর ডাল পালার মধ্যে লাল রঙ্গের ফুলগুলো সত্যি অসাধারণ লাগে।
সকালে মায়ের রান্না হলে খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। আজ বাড়িতে কিছু কাজ ছিলো। মাঠের ফসল অনেকটাই পরিপক্ব হয়েছে, কয়েকদিন পর ফসল কেটে বাড়িতে আনতে হবে। এমনকি এখনও অনেক জায়গায় ফসল কাটার কাজ শুরু হয়েছে।
তাই ফসল কেটে বাড়িতে আনার আগে ধানের গোলা থেকে বিগতবছরের ধানগুলো বের করতে হবে। যেখানে ধান রাখা হয় গ্রামবাংলায় সেটা ধানের গোলা বলে পরিচিত।
নতুন ধান রাখতে হবে এজন্য বিগত বছরের ধানগুলো বের করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে। এজন্য সকালে খাওয়ার পর ধান গুলো বের করার কাজ করছিলাম। ধানের গোলায় অনেক ধান রয়েছে তাই সব গুলো আজ বের করা সম্ভব নয় এজন্য অর্ধেকটা বের করবো বলে ঠিক করলাম। ধান বের করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো। এজন্য একবারে স্নান সেরে নিলাম।
বাদাম |
---|
বাবা খুলনা থেকে কাঁচা বাদাম কিনে এনেছিলো। এক কেজি কাঁচা বাদামের দাম ১৪০ টাকা নিয়েছিলো। আজ মা বাড়িতে সেগুলো ভেজেছে। বাড়িতে বাদাম সকলেই খুব পছন্দ করে তাই বেশি করে কিনে এনেছে বাবা। খুচরা দোকান থেকে ১০০ গ্রাম বাদাম কিনতে গেলে ৩০/৩৫ টাকা দাম নেয় তাই প্যাকেট ধরে বেশি পরিমানে কিনে এনেছে। মায়ের ভেজে রাখা বাদাম থেকে কয়েকটা নিয়ে আমি বসে বসে খেলাম।
দুপুরে স্নান করার পর যেন দিনের অন্ত হতে খুব বেশি সময় বাকি থাকে না। শীতের সকালে হতে না হতেই যেন সন্ধ্যা নেমে আসে। তাই দুপুরে এখন ঘুমানোর সময় পাচ্ছি না। তাই বিকালে হাঁটতে গিয়েছিলাম রাস্তায়। ৩০ মিনিটের মতো হাঁটাহাটির পর প্রায় সন্ধ্যা নেমে আসলো। চারপাশ যেন হঠাৎ ধোয়াসা হয়ে গেলো এবং বেশ ঠান্ডা লাগছিলো। আপনি যত বড় শক্তিমান হোন না কেন শীতের সাথে পাঙ্গা নেওয়া সম্ভব নয়। যদিও এখনও তেমন শীত পড়েনি তবুও বাড়িতে চলে আসলাম কারন হালকা ঠান্ডা লাগলে আমার সর্দি শুরু হয়ে যাচ্ছে। বাড়িতে এসে শীতের পোশাক পরলাম। আর এভাবেই একটা দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম।