Better Life With Steem || The Diary game || 19th June 2024

in hive-120823 •  14 days ago 
20240619_000714_0000.jpg

Hello Everyone,,,

নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও বেশ ভালো আছি। সকলে ঈদের আনন্দ কেমন উপভোগ করলেন পরিবারের সাথে? আমিও ছুটি পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছিলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার নতুন একটা দিনে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চলেছি।

সকালবেলা
IMG_20240619_131346_498.jpg

বিগত অনেক পোস্টেই আপনাদের সাথে বলেছি যে অনেক দিন যাবত আমাদের এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে না এবং একারণে প্রচন্ড গরম পড়ছে। তবে আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আকাশে ভীষণ মেঘ করেছে। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করলাম যেন বৃষ্টি দিয়ে আমাদের এই কাঠফাটা গরমের থেকে রক্ষা করে। এর পরই বাইরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলাম, রোদের কারনে তো অন্য দিন বাইরে বের হওয়া যায় না তাই আজ মেঘের আড়ালে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিলো।

শহরে থাকলে আমার একটুও ভালো লাগে না, মন টিকতে চায় না বাসায়। গ্রামের প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর মতো সুন্দর মুহুর্ত আর হয় না। মায়ের রান্না শেষ হলে সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। মায়ের হাতের এত সুন্দর সুন্দর খাবার খেয়ে বাসায় গিয়ে নিজের হাতের রান্না খেতেই ইচ্ছে করে না।

IMG_20240619_131346_693.jpg

খেয়ে উঠে বাড়িতে বসে ছিলাম তখন ফিসফিস করে বৃষ্টি পড়লো। মা বাড়িতে ছিলো না তাই বাইরে শুকাতে দেওয়া কাপড় চোপড়গুলো ঘরে তুলে আনলাম। একটু পরই শুরু হলো মুশলধারে বৃষ্টি। এমন বৃষ্টি কত দিন দেখি না তার ঠিক নেই। তবে সমস্যা হলো বৃষ্টির সাথে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো ভীষণ যেটায় আমি ভীষণ ভয় পাই।

অনেক দিন পর বৃষ্টি হচ্ছে ভাবলাম একটু ভিজে শরীর মন দুটোই ঠান্ডা করবো তবে সেটা আর হলো না কারন একটানা জোরে জোরে বিদুৎ চমকাচ্ছিলো এজন্য মা বাইরে বেরোতে বারন করলো। আর মা যেহেতু বারন করছে তাই আমার সেটা করা উচিত নয়।

জীবনে যতবার বাবা মায়ের অবাধ্য হয়েছি কোনো না কোনো বিপদে পড়ছি তাই এখন আর সেই দুঃসাহস দেখাই না। মা আরও বললো এখন হঠাৎ করে বৃষ্টিতে ভিজতে শরীর খারাপ হতে পারে তাই বৃষ্টিতে ভেজার আশা ত্যাগ করে বারান্দায় বসেই বৃষ্টি উপভোগ করলাম।

একটানা ৩ ঘন্টা যাবত বৃষ্টি হওয়ার পর থামলো তবে বৃষ্টি থামলেও বিদুৎ চমকানো থামেনি। পরবর্তীতে শুনেছি যে আমার বাড়ির পাশেই বাজ পড়েছে একটা গাছে এবং গাছটা সাথে সাথে পুড়ে গিয়েছে।

দুপুরবেলা
IMG_20240619_131346_764.jpg

বৃষ্টি হলে আমাদের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় কাদা হয়ে যায় এজন্য বাবা ইট কিনেছে তবে সময়ের অভাবে বাবা এখনও সেগুলোকে রাস্তায় দিতে পারে নি। আমি ভাবলাম আমি যেহেতু বাড়ি আছি তাই দুজনে মিলে আজ ইটগুলো রাস্তায় দিবো তাহলে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার কিছু সময় পর বাবা আর আমি ইটগুলো রাস্তায় দিয়ে দিলাম। আমাদের এই রাস্তার জন্য ইটের বাজেট হয়েছিলো অনেক আগে তবে এলাকার মেম্বার সেগুলো আত্মসাৎ করেছে।

এখনকার সময়ে বেশিভাগ উন্নয়নমূলক কাজের টাকা দিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে যেটা সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়াচ্ছে। সত্যি কথা বলতে দেশের উন্নয়নের জন্য যত টাকা বাজেট করা হয় তার অর্ধেকও উন্নয়নের কাজে লাগানো হয় না।

বিকালবেলা
IMG_20240619_131346_277.jpg
IMG_20240619_131346_302.jpg

আজ বাড়ির পাশে একটা নিমন্ত্রণ রয়েছে। এক কাকুর বাবা মারা গিয়েছিলো কয়েকদিন আগে তাই খাওয়া দাওয়ার নিমন্ত্রণ। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারনে সব কিছু যেন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে আর তাছাড়া বৃষ্টির মধ্যে এত মানুষের রান্না করাটা অনেক কষ্টের। তবুও গ্রামের মানুষজন সাহায্য করে সব কিছু রান্না শেষ করেছে।

প্রথমে ভাবছিলাম এত বৃষ্টির মধ্যে নিমন্ত্রণ খেতে যাবো না কিন্তু বাড়ির পাশের একটা বন্ধুর ফোন পেয়ে তার সাথে চলে গেলাম। ভাবলাম যাই, বৃষ্টির মধ্যে নিমন্ত্রণ খাওয়ার নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিবো আজ। উপরে তাবু টানিয়ে বেশ সুন্দরভাবে সব কিছুর আয়োজন করেছে।

তবে এমন বিরূপ পরিবেশে কাজ করতে এখানকার সকল মানুষের অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। যাই হোক, খাওয়া দাওয়া শেষ করে অন্য দের সুযোগ করে দিয়ে আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। আর এভাবেই আমি আমার আরেকটা দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম। ভালো থাকবেন।

END
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে কে থাকতে চায় বলেন সবাইতো তার মাতৃভূমিতে থাকে কিন্তু জীবন জীবিকার নির্বাহী কিংবা লেখা হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদেরকে মাতৃভূমি ত্যাগ করতে হয়। তো প্রতিদিন মতন আপনি যে পোস্টটি আমাদের মাঝে যে পোস্টটি করেছেন সেটা অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

একদমই তাই নিজের বাড়ি ছেড়ে কেউ থাকতে চায় না।তবে নিজস্ব কাজের ক্ষেত্রে বাবা মাকে ছেড়ে বাড়ির বাইরে থাকতেই হয়। আমার বিশেষ করে মা বাবাকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয়, সত্যি খুব খাটাপ লাগে তবে কোনো উপায় নেই। আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রাম ছেড়ে কেউ শহরে থাকতে চায় না। আমার শ্বশুরমশাই ও শহরের বাড়িতে একদমই থাকতে চাই না উনি বরাবরই গ্রামে ফিরতে চেয়েছেন। কিন্তু আমাদের জন্য পারিনি। মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ অন্য কারো রান্নায় পাওয়া যায় না। আমাদের এখানেও এখন বৃষ্টি হচ্ছে ।তবে গ্রামে বৃষ্টি হলে রাস্তা,ঘাট সত্যি খুব কাদা হয়ে যায়। আমিও যখন বৃষ্টির মধ্যে বাপের বাড়ি যায় ।দেখি উঠানে আপনাদের মতই ওইভাবে ইট গুলো পাতা থাকে। না হলে চলাফেরার অসুবিধা হয়।

কার কি ইচ্ছে জানি না তবে আমার গ্রামে থাকতেই বেশি ভালো লাগে। কারন সকাল ও বিকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব কাছ থেকে দেখা যায় গ্রামে। শহরের ঘর বন্দী জীবন আমার ভালো লাগে না। জন্ম নেওয়ার পর থেকেই আমরা মায়ের হাতের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সারাজীবন এই একই স্বাদের খাবার খেয়েও বিরক্ত লাগে না। এটা ঠিক যে বৃষ্টি হলে গ্রামের রাস্তাঘাটে কাদা হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আপ্নাদের ওইদিকে বৃষ্টি হয়েছে, ঢাকায় তো প্রচন্ড তাপদাহ চলছে, গরমে অতিষ্ট জীবন। এই সময়টাতে আকাশ থেকে প্রচুর বাজ পড়ে, তাই এসময় বাহিরে ঘরাঘুরি করাটা একটু অনিরাপদ। ভালো করেছেন ঈট গুলো দিয়ে মানুষের চলাচল সহজ করেছেন,অনেক ভালো উদ্যোগ

সত্যি বর্তমানে যে গরমের তাপমাত্রা যা বলার মত নয়। এই গরমের মাঝে বৃষ্টি হলে অনেকটা স্বস্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
আসলেই মায়ের হাতের রান্নার কোন তুলনা হয় না। তবে আপনাদের ওদিকে অনেকদিন পর বৃষ্টি হওয়াতে। হয়তো সবাই গরমের হাত থেকে একটু হলেও রেহাই পেয়েছেন।
আসলে বৃষ্টি হলে যে কোন অনুষ্ঠানের রান্নাবান্না করা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। আপনাদের বাড়ির পাশে এক বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল সেখানে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছে।

সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এত পরিমানে গরম যেটা বলার মতো না। অনেক অপেক্ষার পর আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়েছে তাই সবার সাথে সাথে প্রকৃতও স্বস্তি পেয়েছে। বৃষ্টি হলে কেউ বাইরে বেরোতে পারে না তাই অনুষ্ঠানের মজা থাকে না। আসলেই মায়ের হাতের রান্নার কোনো তুলনা নেই। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামত জানানোর জন্য।