Better Life With Steem || The Diary game || 20th November 2024

in hive-120823 •  8 hours ago 
20241120_000307_0000.jpg

Hello Everyone,,,

পৃথিবীতে একজন মানুষ ক'দিন বা বেঁচে থাকে। আগেকার দিনে মানুষ ১০০ বছরেরও বেশি বয়স পর্যন্ত সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতো। এমন কি আমার দাদু, ঠাকুমাও ১০০ বছরের বেশি বেঁচে ছিলো। আর এখন মানুষ খুব জোর স্বাভাবিকভাবে ৬০/৬৫ বছর বেঁচে থাকে।

দুনিয়া তো উন্নত হয়েছে আগের থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা ক্ষেত্রেও আগেরকার তুলনায় অনেক অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।

তবে মানুষের আয়ু কেন এত কমে গেছে?

দাদুর মুখ থেকে শুনেছি, আগে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব অনুন্নত ছিলো। কেউ অসুস্থ হলে সঠিকভাবে তার চিকিৎসা ও সেবা করা হতো না। অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হলে ভেষজ উদ্ভিদের চিকিৎসার উপর নির্ভর করতো।

একেক রোগের জন্য একেক উদ্ভিদের রস বা পাতা খেয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করা হতো আর আশ্চর্যজনকভাবে মানুষ এসব ভেষজ উদ্ভিদের গুণাগুণে অনেক উপকৃত হতো। আর এখন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়েও সঠিকভাবে সুস্থ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তাছাড়া আগের তুলনায় এখন রোগবালাই এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে হাজার গুণ। তবে আগের তুলনায় এখন যেহেতু আমরা উন্নত দুনিয়ায় জীবনযাপন করছি তাহলে আমাদের আরও বেশি ভালো ভাবে বেঁচে থাকার কথা তবে সেটা না হয়ে উল্টোটা কেন হচ্ছে ?? এটা আমাকে অনেক ভাবায়!

IMG_20241120_222405_867.jpg
আমলকী গাছ

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং বাড়ির উঠানে হাঁটাহাটি করছিলাম। আমলকী খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে আমলকী খাওয়ার কিছু সময় পর জল খেলে বেশ মিষ্টি মিষ্টি লাগে!

আমাদের বাড়িতে আমলকী গাছ নেই, তবে আমার জেটুর বাড়িতে আছে। তাই সেখানে গিয়ে গাছ থেকে কয়েকটা আমলকী পাড়ার চেষ্টা করলাম। তবে গাছ অনেক বড় হওয়ায় পাড়তে খুব সমস্যা হচ্ছিলো। তখন লম্বা লাঠি দিয়ে অনেকগুলো আমলকী পাড়লাম।

IMG_20241120_222405_842.jpg
নতুন বউয়ের সাজে

সকালে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে বসে আছি। তখন শুনতে পেলাম -

- কাকা? কাকা?

প্রথমে আমি ইচ্ছে করে ডাক শুনিনি।

- তখন মায়ের কাছে শুনছে, কাকা কই?

উত্তরে মা বললো : কাকা ঘরে!

আবারও কাকা, কাকা বলে ডাকতে ডাকতে ঘরে আসলো। তারপর বললো -

- আমি বউ সাজিছি! কেমন লাগছে আমাকে?

সারাদিন এর পাকা পাকা কথা শুনতে যে এত ভালো লাগে, কি আর বলবো। তখন ওকে কোলে তুলে নিলাম।

কেমন লাগছে নতুন বউকে সেটা অবশ্যই জানাবেন কিন্তু আপনারা!

আসলে এ হচ্ছে আমার মেজো জেটুর ছেলের মেয়ে। আমাদের বাড়িতে দুইটা মেয়ে। দুই দাদার দুটো মেয়ে। এই দু'জন বাড়ি মাতিয়ে রাখে সব সময়। অন্যজনতো ছোটো তাই তার দুষ্টামিও তুলনামূলক কম।

আমাকে ঠিকমতো ঘুমাইতেও দেয় না। সকালে আমার ঘরে এসে ডাকতেই থাকবে যতক্ষণ না পর্যন্ত না উঠবো। তবে তারপরও আমার বেশ ভালোই লাগে!

IMG_20241120_222406_276.jpg

আজ ওর নুডুলস খেতে ইচ্ছা করছিলো তাই দোকানে গিয়েছিলাম নুডুলস কিনতে। দোকান থেকে নুডুলস কিনে এনে মায়ের কাছে দিলাম। জেটুদের বাড়ি তো আমাদের বাড়ির পাশে তবে ও অধিকাংশ সময় আমাদের বাড়িতেই থাকে।

আমার মা যখন রান্না করে তখন মায়ের কাছে গিয়ে বলে -

ছোটদি, ছোটদি ( আমার মাকে ছোটদি বলে ডাকে) তুমি সরে যাও আমি নান্না ( রান্না) করছি।

যাই হোক, ওর কথা সারাদিন বললেও শেষ হবে না।

IMG_20241120_222406_046.jpg

বিকালে আজও আমি একা একা হাঁটতে গিয়েছিলাম। কিছু সময় হেঁটে রাস্তার পাশে বসে রইলাম। দুপুরের রোদের তেজ কিছুটা কমলেই শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে আর রাতের বেলায় তো অনেক বেশি শীত পড়ছে। এখন এই অবস্থা কয়েকদিন পর কি হবে সেটাই ভাবছি!

সমাপ্ত
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আগের তুলনায় বর্তমান এই যুগে অনেক দিক থেকে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আগে মানুষ তরি তরকারি ধান সব কিছুতে সার দিতো না। নিজেদের বাড়ি গোবরি সার তৈরি করে জমিতে দিতো। এবং মানুষ সেখান থেকে অল্প কিছু ফসল পেলেও যেটা পেতো খাঁটি জিনিস পেতো। কিন্তু বর্তমানে এই যুগে কাটা কাটা জমিতে এক বস্তা করে সার দেওয়া হয় আমরা যে জিনিসটা খাই এটা সম্পূর্ণ ঔষধ এর উপরে তৈরি। যার জন্য বর্তমান এই যুগে এসে আমাদের শরীরে অনেক বেশি রোগ দেখা দেয়। আগে মানুষ জমিতে এতো সার দিতো না যার জন্য তারা ভিটামিন জিনিস খেতে পারতো এবং তাদের দেহের ভেতরে কোন রোগ ছিলো না যার জন্য তারা অনেক বেশি দিন করে বেঁচে থাকতো।