আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আজও ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় আসলাম । দু'দিন আগেও প্রচন্ড শীত পড়ছিলো তবে বিগত দিন বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে শীত কমে গেছে অনেক।
আচ্ছা? পৃথিবীতে আপন বলতে হয়ত কেবল নিজের বাবা - মা রয়েছে তাই না। স্বার্থে আঘাত লাগলে বা কারো মনের মতো না হলে তার লুকিয়ে থাকা আসল চেহারাটা বেরিয়ে আসে আমাদের মাঝে।
কাউকে আপন মনে করে কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করাটাই হয়ত সব থেকে বড় ভুল। বাবা - মায়ের মতো নিঃস্বার্থভাবে কেউ আমাদের ভালোবাসে না এটা পৃথিবীর চরম সত্য।
মিনিট পাঁচ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। প্রতিদিন সকালে বাড়ির গরুগুলোকে খেতে দিতে হয়। মা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকায় আমি ওদের খেতে দিয়েছিলাম। আমাদের খিদে লাগলে তো মুখে বলতে পারি তবে ওদের খিদে লাগলে ওরা বারবার ডাকতে থাকে। আমরা তো ওদের একটাই ভাষা বুঝি সেটা হলো মা। গরুগুলো তাদের সকল মনের কথা শুধুমাত্র মা শব্দটার মাধ্যমেই বুঝিয়ে থাকে। মা ছাড়া ওরা কিচ্ছু বলতে পারে না আর পারলেও সেটা আমরা বুঝি না!
সাদা ও লাল শাক |
---|
ওলকপি |
---|
দুপুরে সময় মতো স্নান করেছিলাম কারন একটু শীতের সময় রোদের তাপ থাকতেই স্নান করা উচিত । তবে যেদিন রোদ বেরোয় না সেদিন গরম জল দিয়েই স্নান করতে হয়। দুপুরে খাওয়ার পর ক্ষেতে গিয়ে দেখি ক'দিন আগে লাগানো গাছের চারাগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে।
ক্ষেতে শাকের বীজ ছড়ানো হয়েছিলো, যত্ন নেওয়ার কারনে সেগুলো দ্রুত বেড়ে উঠেছে। ওলকপির চারা লাগিয়েছিলাম তবে অধিকাংশ চারা এখনো ছোটো। তবে দু'একটায় ওলকপি বড় হয়েছে। আমাদের মাঝে সবাই তো আর একরকম হয় না তেমনই ওদের ভিতরের হয়ত বিভেদ রয়েছে।
সারাদিন বাড়ি থেকে তেমন কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। বাড়ির নানা কাজ করতে করতে সময় চলে যাচ্ছে। বিগত দু'দিন আবার WIFI কানেকশন ঠিক ছিলো না। আর মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা নতুন করে কি আর বলবো। তবে ব্রাডব্যান্ডের লোকের কাছে মোবাইল করার পর তাই ঠিক হয়েছে। যাই হোক, আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন।