Hello Everyone,,,
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আমি বেশ ভালো আছি। বরাবরের মতো আজ সকালেও কিছুটা দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। রাতে ঘুমাতে দেরি হলে সকালে উঠতেই মন চায় না আর শীতকাল হলে তো আলসেমির সীমা থাকে না।
যদিও শীত অনেকটাই কমে গিয়েছে আগের তুলনায়। ক'দিন পর পর শীত বাড়ছে আবার কমে যাচ্ছে আর এভাবেই শীত পুরোপুরি ভাবে শেষ হয়ে যাবে এবং নতুন আবহাওয়ার স্বাদ পাবো সকলে। প্রকৃতি পরিবর্তনের এই পালাক্রম এভাবেই চলতে থাকে। প্রকৃতি বড়ই অদ্ভুত!
আজ রৌদ্রজ্বল সকাল উপভোগ করার সুযোগ পেলাম। বাইরে রোদ থাকায় শীতও কম ছিলো। এটা গ্রামের প্রতিটা বাড়ির চিত্র। বাড়ির চারপাশে সবুজ গাছপালায় ঢাকা। কয়েকদিন আগে আপনাদের ধানের পালা দেখিয়েছিলাম আর মানুষের অব্যবহৃত খড়গুলো সারা বছরের জন্য এভাবে পালা দিয়ে রাখা হয়।
সকালে মায়ের রান্না হয়ে গেলে খাবার খেয়ে নিলাম। তারপর উঠানে হাঁটাহাটি করছিলাম। ততক্ষণে আমাদের বাড়িতে দাদার মেয়ে এসে জিনিসপত্র উলটপালট করছে। দুষ্টামি করতে বারন করলে সে আবার কানে শুনতে পায় না। গাছের ফুলগুলো যখন ছিড়ে ফেলছিলো তখন আমি ওকে বারন দেওয়ার পরও কথা শুনছিলো না। তখন ওকে ধরে নিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দিলে রাগ করে মাটিতে শুয়ে পড়ে। ছোটবেলার এমন স্মৃতি হয়ত সকলেরই কম বেশি রয়েছে। একটু কিছু হলেই রাগ দেখিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দেখে যেন কিছু মুহুর্তের জন্য ছোটবেলা খুব কাছ থেকে অনুভব করলাম।
আমার দিদিমা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে কয়েকদিন আগে। শীতকালে দিদিমার পায়ে সমস্যা হয় এবং পা ফুলে যায়। তাই চালনা তে ডাক্তার দেখাতে এসেছে। সেখান থেকে মাসির বাড়িতে আসছে। আমার মাসির বাড়ি পানখালি, চালনার পাশে তাই দিদিমা মাসির বাড়িতেই থাকবে। আমিও আজ রাতে থাকবো এবং পর দিন বাড়ি চলে আসবো।
দুপুরে স্নান সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে আমি বেরিয়ে পড়লাম। যদিও গাড়ি পেতে খুব সমস্যা হয় তবে আজ রাস্তায় আসার সাথে সাথে গাড়ি পেয়ে গিয়েছিলাম আসলে ভাগ্য ভালো ছিলো হয়ত আজ।
আমার দিদি মানে মাসির মেয়েও আছে ওখানে। দিদির ছোট্ট একটা মেয়ে আছে, ফোনে তো মামা মামা বলে কত কথা বলে তবে সামনে গেলে আর কথা বলে না। যাই হোক, যাওয়ার আগে ওর জন্য কয়েক রকমের খাবার কিনলাম।
মাসির বাড়িতে যেতে হলে নদী পার হতে হয়। তাই খেয়াতে উঠে পড়লাম। বিগত একটা পোস্টে ফেরিতে দুর্ঘটনার ঘটনা শেয়ার করেছিলাম এই সেই ফেরিঘাট। যাই হোক, সাবধানতার সাথে নদী পার হলাম। মানুষের জীবনও অনেকটা নদীর জোয়ার - ভাটার মতো। খারাপ সময় ও ভালো সময় দুটো পালাক্রমে আসতেই থাকে মানুষের জীবনে। যাই হোক, মাসির বাড়িতে পৌঁছাতে বেলা পড়ে গেলো। সেখানে পৌঁছে সকলের সাথে সময় কাটালাম। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন মানুষের জীবন অনেক টা জোয়ার -ভাটার মত! আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি আজকে মাসির বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন, আর আপনার দিদি মায়ের জন্য দোয়া রইল! সৃষ্টিকর্তা যেন অনেকে তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করে. আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো দাদা। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ সবকিছু মিলিয়েই থাকে, যাইহোক আমিও শীতকাল আসলে অনেকটা অলস হয়ে যাই। আমি একটু রাত জাগি তাই সকালে উঠতে আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। ছোট বাবু দুষ্টুমির কথা শুনে তো প্রায় হাসি পাচ্ছে। আপনার ডায়েরি পড়ে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারলাম, আপনার দিদিমার জন্য দোয়া করছি, সৃষ্টিকর্তা তাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো, প্রকৃতির পরিবর্তন যেমন জীবনের অংশ, তেমন ছোটবেলার স্মৃতিও হৃদয়ে গেঁথে থাকে। দিদির অসুস্থতার খবরটা দুঃখজনক, তবে মাসির বাড়ি যাওয়ার সময়টাও আপনাকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। নদী পার হওয়ার মতো জীবনের উত্তরণও অনেকটা এই পালাক্রমের মতো খারাপ সময় যেভাবে চলে যায়, ঠিক তেমন ভালো সময়ও ফিরে আসে। মাসির বাড়িতে সময় কাটানো আপনার জন্য একটি শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির সময় হতে পারে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদম সঠিক বলেছেন, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে আলসেমি লাগে।আর শীতের সকাল হলে এই আলসেমি আরো দ্বিগুন হয় ।
শীতে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় । সবুজ ঘাসের উপর মুক্তোর মত শিশিরবিন্দু দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় ।
দাদা আমিও নদীর দেশের মেয়ে ।আমার দেশের বাড়ি বরিশাল কিন্তু তারপরও লঞ্চ বা খেয়ায় আমার ভীষণ ভয় লাগে । আজকে আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো । আপনার নতুন পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের ওখানে শীত অনেকটা কমে গেছে শুনি একটু ভালো লাগলো কারণ আমাদের এখানে এত বেশি শীত পড়েছে যে মনে হয় উপর থেকে বৃষ্টি পড়ছে।।
আর হ্যাঁ ছোট বাচ্চারা এমনই যেটা বারণ করা হয় সেটাই তারা করে।। আজকে দিদি মাকে দেখতে গিয়েছে আর সেখানে নৌকা পার হয়ে যেতে হয় ।।আমি একটা সময় আমার নানীর বাসায় যেতে নৌকা পার হতাম কিন্তু এখন আর পার হতে হয় না কারণ ব্রিজ হয়ে গেছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit