Better Life With Steem || The Diary game || 24th June 2024

in hive-120823 •  9 days ago 
20240624_011834_0000.jpg

Hello Everyone,,,

নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আজ সকালে ঘুম ভেঙেছে বেশ বিরক্তির সাথে। অনেক সকালে কারেন্ট চলে গেলো এজন্য সাথে সাথে ঘুম ভেঙে গেলো। তবে একটু পরই আবার কারেন্ট চলে আসলো।

যখনই আবার ঘুম ঘুম আসলো তখন আবারও কারেন্ট চলে গেলো। তখন এত বেশি রাগ হচ্ছিলো কি আর বলবো। প্রথমে ভেবেছিলাম লোডশেডিং হয়েছে তবে একটু পর বুঝতে পারলাম যে কারেন্ট যায়নি আমাদের মিটারের টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু দিন আগেও এমন হয়েছিলো আমার সাথে।

কি আর করার, ঘুমের তো বারোটা বেজে গেলো। বিকাশ থেকে মিটারে টাকা রিচার্জ করলাম ততক্ষণে ঘুম ভেঙে গিয়েছে তাই আর আর ঘুমানোর চেষ্টা না করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং পড়তে বসলাম। আজ কোচিং আছে তাই পড়ার একটু চাপ আছে।

বাসায় একটা ভাই এসেছে সে আমার সাথেই থাকে। ভাই বাসায় থাকায় সকালের রান্নাটা ভাই করছে আর এতে করে আমার কষ্টটাও কমছে অনেক। দুই জন দুবার রান্না করলেই হয়ে যায়। এতদিন একা একা থাকতে খুব বিরক্ত লাগতো তবে এখন ভাই থাকায় তেমন অসুবিধা হয় না।

IMG_20240624_235227_521.jpg

আমার এক ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে বললো যে একটা ফোন কিনতে হবে এবং আমাকেও ওর সাথে যেতে হবে। ফ্রেন্ড বলে কথা, তাই না বলতে পারলাম না। যদিও গরমের আমি বাইরে খুব কমই বের হই। সকালে খাওয়া শেষ করে ১১ টার দিকে ওর সাথে ফোন কিনতে গেলাম। আগে থেকেই ওর ফোন পছন্দ করা ছিলো তাই বেশি ঘোরাঘুরি না করে নির্দিষ্ট ফোনের শোরুমে গিয়ে ফেনটা কিনে আনলাম।

আমি মনে করি, ফোন কেনার আগে থেকেই ইন্টারনেট থেকে ফোনটি সম্পর্কে জেনে শুনে তাই কেনা উচিত না হলে ফোনের দোকানে গেলে দোকানদারের কথা শুনলে মনে হয় যে সকল ফোনই ভালো। তাই আগে থেকে পছন্দ করে যাওয়াই ভালো। যাই হোক, আমরা রেডমি ব্রান্ডের মোবাইল কিনেছিলাম এবং সেটার দাম ১৮৫০০ টাকা নিয়েছিলো।

IMG_20240624_235226_581.jpg

বন্ধুর জন্য নতুন ফোন তো কিনলাম এবং ওর পুরানো ফোনটা নাকি পড়ে গিয়ে ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই সেটাকেও সারাতে দিবে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত কারন আপনি যত দাম দিয়েই ফোন কিনুন না কেন সেটা হাত থেকে পড়ে গেলেই শেষ। সাবধানতা অবলম্বন করলেও অনেক সময় সমস্যা হয়েই যায়।

ফোনের ডিসপ্লে ঠিক করার জন্য পরিচিত একটা দোকানে চলে গেলাম এবং সে বললো ১৫০০ টাকা লাগবে ঠিক করতে। ফোনটা ঠিক করতে দিয়ে আমরা ওখানে বসে রইলাম। দ্রুত ফোন কেনা হয়ে গেলেও এবার ফোন ঠিক করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন। হাতে আর কোনো কাজ ছিলো না তাই ওখানে বসে ছিলাম। বসে বসে খুব একঘেয়েমি লাগছিলো।

IMG_20240624_235227_539.jpg

ফোন ঠিক করে বাসায় আসতে আসতে আমার কোচিং এ যাওয়ার সময় হয়ে এলো। তাই দ্রুত বাসায় এসে স্নান শেষ করে না খেয়েই কোচিং এ চলে গেলাম কারন খেতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যেত। আমার যেতে দেরি হলেও তেমন কোনো সমস্যা হয় নি কারন স্যার আজও দেরি করে এসেছে। আর স্যারের দেরি করে আসার কারন হলো তার অসুস্থতা। স্যার বললো তার নাকি জ্বর হয়েছে, তখন আমি শুনলাম যে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপেছে কিনা?

তখন স্যার বললো, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার কারনে হাতে অনেক কাজ এজন্য নাকি জ্বর মাপার সময় পায় নি।

তখন আমি স্যারের কপালে হাত দিয়ে দেখলাম যে কেমন জ্বর আছে। আমি হাত দিতেই বুঝতে পারলাম যে গায়ে অনেক জ্বর। তখন আমি স্যারকে বললাম যে, এত জ্বর নিয়ে পড়াতে আসা ঠিক হয়নি, একদিন ছুটি দিলেই তো পারতেন??

উওরে স্যার মুচকি হেসে বললো, এমনিতেই ঈদের সময় কয়দিন ছুটি দিয়েছি তাই এখন আর ছুটি দেওয়া ঠিক হবে না।

স্যারের একথা শুনে বেশ অবার হলাম আর ভাবলাম যে, নিজের দায়িত্বের প্রতি এতটা সচেষ্ট বলেই স্যার আজ বিসিএস ক্যাডার। জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে, প্রথমে নিজের দায়িত্বগুলোর প্রতি সব সচেতন হতে হবে।

এত বছর যাবত স্যারের কাছে পড়ছি তবে নিজের কোনো কারনে আজ পর্যন্ত একটা দিনও ছুটি নেয় নি স্যার। প্রতিটা স্যারের কাছ থেকে পড়ার বিষয় ছাড়াও অনেক কিছু শিখতে পারি আমরা তবে সেটা কয়জনই বা মেনে চলি!

IMG_20240624_235227_238.jpg

স্যার আজ অসুস্থ বলে আমরা সকলে তাড়াতাড়ি ছুটি দেওয়ার কথা বললাম তবে সেটা হলো না বরং ঈদের ছুটির পর পড়া শুরু হয়েছে বলে বেশি সময় নিয়ে পড়ালো। ছুটির পর আমার একটা বই কেনার প্রয়োজন ছিলো কিন্তু কোনো দোকানেই খুজে পাচ্ছিলাম না। নতুন বই পাচ্ছিলাম তবে আমার দরকার ছিলো পুরানো বই। অনেকক্ষণ খোঁজার পর বইটা পেয়েছিলাম। দুপুরে না খেয়ে এখন খুব খারাপ লাগছিলো তাই বইটা কিনে দ্রুত বাসায় চলে আসলাম। এভাবেই আমি আমার দিনের কার্যক্রম শেষ করলাম।

ভালো থাকবেন, সবাই।

END
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আসলে মাঝে মাঝে ঘুমন্ত মানুষ যখন জেগে ওঠে তখন অনেক রাগ হয় তার ওপরে যদি কারেন্টের সমস্যা হয় তখন রাগ হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম মিটারের টাকা শেষ হওয়ার জন্য কারেন্ট চলে গিয়েছে। আপনি বিকাশ থেকে মিটারে জন্য টাকা রিচার্জ করেছিলেন কিন্তু পরে আর ঘুমানো সম্ভব হয়নি। আপনার কোচিং থাকার জন্য আপনি বই পড়ছিলেন। যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

এখনকার সময় আমাদের বাংলাদেশের যে ধরনের ডিজিটাল মিটার তৈরি করেছে এগুলো মানুষের জন্য অনেকটাই ক্ষতির দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন আজকে আপনার হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেছে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে। যদি কোন বিপদের সময় আপনার এই কারেন্ট চলে যায় তখন আপনার কেমন লাগবে। অবশ্যই ব্যাপক রাগ হবে এটাই স্বাভাবিক। যাই হোক আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ডিজিটাল মিটার আমার কাছে অনেক বেশি বিরক্ত লাগে কারন টাকা শেষ হয়ে গেলে যখন তখন কারেন্ট চলে যায় এটা খুব ঝামেলায়। আমার সাথে বেশ কয়েকবার এমন হয়েছে। কিছু দিন আগে মাঝ রাতে কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।

TEAM 2
: Congratulations! This post has been voted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.

Team 2 curation.png

Curated by : @bossj23

Thank you very much.🙏

বাসায় রান্না করার জন্য যদি আরেকজন মানুষ থাকে তাহলে রান্না করাটা খুব সহজ মনে হয়। কারণ প্রতিদিনই একা একা রান্না করতে একদম বিরক্ত লাগে। আমিও যখন মেডিকেল ইন্টার্নি করেছিলাম এভাবে একা রান্না করে খেয়েছি। বন্ধুর ফোন কেনার জন্য শো রুমে গিয়েছেন। রেডমি অবশ্যই একটি ভালো ব্রান্ডের ফোন। কিন্তু আপনি ঠিকই বলেছেন, যত দামি ফোন হোক না কেন। সাবধানতা অবলম্বন না করলে একটুতেই ফোন শেষ।
ফোন কিনে এসে কোচিংয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেছিল পরে কোচিংয়ে গিয়েছে।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

একা একা বাসায় থাকতে আর রান্না করতে ভীষণ বিরক্ত লাগে তবে একজন সঙ্গী থাকলে বিরক্তি ভাব থাকে না। একা একা রান্না করা সত্যি অনেক কষ্টের কিন্তু ভাই বাসায় আসার পর থেকে আমার কাজে অনেকটাই সাহায্য হচ্ছে। ফোনের দাম যতই বেশি হোক না কেন এটা সাবধানে ব্যবহার করা উচিত না হলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শখের ফোনটা। ভালো থাকবেন।

একদম ঠিক একা একা রান্না করে খাওয়াটা আসলেই অনেক কষ্টকর। যদি কোন রুমমেট বা অন্য কেউ থাকে তাহলে রান্না করার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। যাক, আপনার বাসায় এক ভাই এসেছে। যার কারণে আপনার রান্নার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে।
ফোন মানুষের খুব শখের একটি জিনিস। যেটা ভেঙে গেলে একদম মন খারাপ হয়ে যায়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করেই ব্যবহার করা উচিত।

আমার কমেন্টের সুন্দর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বর্তমানে কারেন্টের খুবই বাজে অবস্থা আর ঘুমানোর সময় যদি কারেন্ট যায় তাহলে এর থেকে বাজে অবস্থায় কি হতে পারে আমার কাছে খুবই বিরক্ত লাগে।

আজ আপনার বন্ধুর জন্য একটা নতুন ফোন কিনেছেন সাথে আপনিও গিয়েছিলেন।তবে তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছেন কারণ কোচিংয়ে যেতে হবে বলে।

সত্যিই আপনার স্যার কথা শুনে আমিও অবাক হলাম এমন ভাবে নিজেকে তৈরি করা উচিত প্রত্যেকটা মানুষের।

ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

কারেন্ট একটু বেশি সমস্যা দিচ্ছে এখন, বিশেষ করে গরমের সময় সব জায়গায় কম বেশি কারেন্ট এর সমস্যা হয়ে থাকে। হ্যা বন্ধুর ফোনের ডিসপ্লেতে সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই নতুন এজটা কিনেছে এবং সেটাও ঠিক করতে দিয়েছে। শিক্ষকদের প্রতিটা কথা আমাদের কাছে মূল্যবান, আমাদের সকলের সেগুলো মেনে চলা উচিত। ভালো থাকবেন।

ঘুমানোর মুহূর্তে কারেন্ট চলে গেলে সত্যি অনেক বেশি বিরক্তিকর লাগে।। আর হ্যাঁ আপনাদের ওখানে মিটারের টাকা লোড দিতে হয় এটা আমার জানা ছিল না কারণ আমাদের এখানে এখন একটা চালু হয়নি।। আর ফোন একটু সাবধানেই ব্যবহার করতে হয় কারণ এটা পড়ে গেলে ডিসপ্লেটা বেশি সমস্যা করে।। ঈদের ছুটি থাকায় স্যার বেশি সময় পড়ানো এটা বেশ ভালো করেছে।।

আজ ঘুমের সময় বারবার কারেন্ট চলে যাচ্ছিলো এটা অনেক বিরক্তিকর একটা বিষয়। আমার গ্রামের বাড়িতে এখনও প্রিপেইড মিটার চালু হয় নি। তবে শহরের দিকে সব এই মিটার। এই মিটারের অনেক ঝামেলা কারন যখন তখন টাকা শেষ হয়ে যায় আর কারেন্ট চলে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

এটা একদম কারেন্ট চলে গেলে সকলের কাছে বিরক্ত কর লাগে।। আর হ্যাঁ এই মিটার চালু হলে অনেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা কমে দিবে।। অনেকেই আছে তারা কয়েকদিন এমনিতেই থাকবে তারপরে রিচার্জ দেবে।।

বাইরে থেকে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে এটা অনেক সময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তবে নিজের প্রয়োজনে অনেক কিছু করতে এটা ভালো দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য। একটা সময় মা আবার বিয়ের পরে স্ত্রীর রান্না করা খাবার খেতে হয় ছেলেদের।

আমি দেখেছি অনেকেই নারীদের ঘরের কজের মূল্যায়ন করে না। অথচ একটা লোক রেখে করালে বা নিজে করলে সেটা সহজেই বোঝা যায়।

পাশাপাশি মোবাইল ক্রয়ের বিষয়টা ভালো লাগলো ভাই। আপনি সঠিক নচেৎ মোবাইলের শোরুমে গেলে তো মাথা ঘুরতে শুরু করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা যারা মেয়েদের কাজকে কোনো কাই মনে করে না, কিন্তু বাড়ির সকল দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করা যে কতটা কঠিন সেটা বলে বুঝানো যাবে না। যারা এমন বলে তাদের দিয়ে একদিন তিনবেলা রান্না করানো উচিত তাহলে হয়ত তাদের ভুল ধারনা দুর হয়ে যায়।

একদমই তাই মোবাইলে শোরুমে গেলে নানা ফোন দেখে মাথায় কাজ করে না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।