Better Life With Steem || The Diary game || 2nd January 2025

in hive-120823 •  19 days ago 
20250102_214524_0000.jpg

Hello Everyone,,,

IMG_20250102_104009.jpg
শীতের দিনে রৌদ্রজ্বল সকাল

আশা করি, সকলে অনেক বেশি ভালো আছেন এবং প্রিয়জনের সাথে সুন্দর সময় পার করছেন। সবাই হয়ত বছরের শুরুটা হাসি মুখ নিয়ে শুরু করতে পারেন না।

আমাদের আশেপাশের কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের কাছে বছরের শুরু অথবা শেষ তেমন কোনো তফাত নেই তাদের কাছে। তাদের কাছে একমুঠো খাবার জোগাড় করাই মূল লক্ষ্য ।

বছরের শুরুতে আমাদের প্লানিং থাকে, থার্টি-ফাস্ট নাইটে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো, আতশবাজি ফুটাবো, পার্টি করবো আর বিপরীত প্রান্তে থাকা কিছু মানুষ শুধুমাত্র দুর থেকে আতশবাজির আলো আর খাবারের সুঘ্রাণেই নিজের মনকে শান্ত রাখে।

এই পৃথিবীতে যেসকল মানুষের চাহিদা যত কম তাদের সেই সামান্য চাহিদা পূরনের মাধ্যম তত কঠিন! জানি না কে কিভাবে চিন্তা করেন তবে, পথ শিশুদের করুন জীবন চিত্র দেখলে বিলাসী জীবনের কথা চিন্তা করতেও নিজের কাছে লজ্জা লাগে।

IMG_20250102_104032.jpg

আজ সকালে এত বেশি ঠান্ডা পড়ছিলো যে বলে বুঝাতে পারবো না, সহজ ভাবে বলতে গেলে বছরের সব চেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ছে আজ। সকালে ঘুম থেকে দেখি বাইরে ভীষণ বাতাস হচ্ছে তাই শীত বেশি লাগছে। কোনো উপায় না পেয়ে আবারও লেপের ভেতর ঢুকলাম। কিছুক্ষণ পর বাইরে রোদ বেরোলে আবার উঠে বাইরে এলাম। ফ্রেশ হয়ে চেয়ার নিয়ে রোদে বসে রইলাম। রোদের স্বাদ যে এত মিষ্টি লাগে সেটা শীতকাল না এলে বুঝতে পারি না।

IMG_20250102_194516.jpg

সকালে মায়ের রান্না শেষ হলে খেতে ডাকছিলো তবে রোদ থেকে উঠে গিয়ে খাওয়ার ইচ্ছে করছিলো না। আমাদের এত শীত করছে আর দাদার মেয়ে খালি গায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। জোর করেও ওকে কিছু পরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের শীত অনেকটা কম থাকে। দাদার মেয়েকে তো শীতের পোশাক, মাথায় টুপি পড়াতে গেলে এক কথায় যুদ্ধে নামতে হয়। একটা গ্লাসে জল নিয়ে আমাকে ভিজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুষ্টামি কত প্রকার রয়েছে সব গুলোই তার করতে হবে।

IMG_20250102_122142.jpg
ধান মাড়াই করার যন্ত্র

কয়েক দিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম যে, মাঠ থেকে ফসল বাড়িতে আনতে হচ্ছে। তবে এবার সেই ধানগুলো মাড়াই করতে হবে। তবে ধান মাড়াই করার মেশিন পাওয়া যাচ্ছিলো না কারন বর্তমানে সবাই ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে তাই সুযোগ পাচ্ছিলাম না আমরা।

কয়েকদিন আগেই ধান মাড়াই করার যন্ত্রের মালিককে বলে রাখা হয়েছিলো আজকে আসার কথা। আজ সকাল ১১.৩০ টা নাগাদ মাড়াই করার যন্ত্র চলে আসে বাড়িতে।

আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এমন যন্ত্র পাওয়া যেত না ধান মাড়াই করার জন্য। তখন বাড়িতে যতগুলো গরু ছিলো সেগুলোকে ধানের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে ধান মাড়াই করা হতো। এক্ষেত্রে সারাদিন লেগে যেত ধান মাড়াই করতে।

তবে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে এখন খুব অল্প সময়েই ধান মাড়াই করা সম্ভব। এই যন্ত্রের মাধ্যমে ধান মাড়াই করতে খুব বেশি সময় তো লাগে না তবে অনেক পরিশ্রম হয়ে যায় সবার। লোকজন আসার সাথে সাথে তখন থেকেই কাজ শুরু করেছি আর সব কিছু শেষ করতে বিকাল হয়ে গেলো। এক দিনে সকল ধান মাড়াই করতে অনেক কষ্ট হয়ে গেলো।

যাই হোক সব কাজ শেষ করে স্নান সেরে নিলাম। আর এভাবেই আমি আমার কার্যক্রম শেষ করলাম। সকলে ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার কথা পুরোপুরি সত্যি, বছরের শুরুতে সবাই সবার মতো নানা পরিকল্পনা ও আশায় মগ্ন থাকে, তবে অনেকের জীবন বাস্তবে আরও কঠিন। যারা শীতের মধ্যে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের কথা মনে রেখে আমাদের বিলাসিতার চিন্তা করা উচিত। খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন আপনার শীতকালীন অনুভূতিগুলো, রোদের মিষ্টি স্বাদ, এবং গ্রামের জীবনের কাজকর্মের কষ্টগুলো। ধান মাড়াইয়ের কাজের ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা সত্যিই স্মরণীয়, প্রযুক্তির উন্নয়ন যেমন সহজ করেছে অনেক কাজ, তেমনি মানুষের শ্রমও কমে যায়নি। আপনার কথাগুলো আমাদের আরও মানবিক হতে শেখায়।

বছরের শুরুটা সবার জন্য এক রকম হয় না। কেউ পার্টি নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর কেউ বা রাস্তায় রাত কাঁটায়। এসব মানুষের নিরীহ মুখগুলোর দিকে তাকালে সত্যি মায়া লাগে। শীতের দিনে রোদ পোহানোর অনুভূতি সত্যি অসাধারণ। প্রযুক্তির কারনে কৃষিকাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন সময় অনেক কম লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য।


1000341978.png

Curated by : @miftahulrizky

Thank you so much @miftahulrizky

আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা, এত শীতের মধ্যে অসহায় শিশুরা কিভাবে রাস্তাঘাটে তারা থাকে। অথচ আমরা থার্টি ফার্স্ট রাতে, কত আতশবাজি ফুটিয়ে থাকি,কত টাকা নষ্ট করে থাকি। কিন্তু এই পথ শিশুর দিকে তাকাইলে, তাদেরকে নিয়ে চিন্তা করলে,নিজের কাছে অনেক লজ্জা বোধ হয়। আপনার পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারলাম, আপনার ভাতিজি এই শীতের ভিতরে খালি গায়ে থাকে। সত্যিই বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি, এই জন্য ঠান্ডা লাগে না। আপনার ভাতিজি অনেক কিউট একটা মেয়ে,ওর ছবি দেখে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।

হ্যা, দাদা, একদমই তাই, রাস্তায় কত শিশু না খেয়ে রাত পার করছে তার ঠিক নেই। সম্ভব হলে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো উচিত। ছোট বাচ্চাদের শীত অনেক কম তাই ওরা শীতের পোশাক পরতেই চায় না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামত প্রদানের জন্য।

Loading...

আমরা মানুষ যেমন ভিন্ন ভিন্ন আমাদের চিন্তাভাবনা ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।। বছরের প্রথম দিন আমরা একেক দল একেক ভাবে কাটানোর প্ল্যানিং করে থাকি আবার অনেকেই সব বছর একই রকম।। একটা কথা একদম সঠিক যে বছরের প্রথম দিনই অনেক বেশি ঠান্ডা পড়েছিল।।

ব্যক্তি বিশেষে আমরা সবাই ভিন্ন মানসিকতার অধিকারী। কেউ অল্পতে খুশি আবার কেউ কোনো কিছুতেই খুশি হতে পারেন না। বছরের শুরুটা সকলে আনন্দের মাধ্যমেই শুরু করার প্লানিং করে। ২/৩ দিন যাবত এত বেশি ঠান্ডা পড়ছে বলে বুঝাতে পারবো না। ভালো থাকবেন।

বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি এমনটাই হয়ে গেছে আসলে বছরের শেষ হোক কিংবা শুরু হোক এমন কোন মানুষ আছে যাদের এতে কোন কিছু যায় আসে না তাদের চিন্তা থাকে তারা কিভাবে একমুঠো ভাত নিজে অর্জন করতে পারবে পরিবারের মুখে তুলে দিতে পারবে।

আসলে আমরা শীতের কারণে লেপের তল কিংবা কম্বলের তলা থেকে উঠতে পারি না কিন্তু ছোট বাচ্চারা খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় পানি নিয়ে খেলা করতে তারা অনেক বেশি পছন্দ করে ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।