Better Life With Steem || The Diary game || 6th December 2024

in hive-120823 •  last month  (edited)

The Diary game __ 2nd November 2024_20241210_153616_0000.jpg

Hello Everyone,,,

একটু একটু করে শীতের মাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। তবে সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে রাতের বেলায়। দিনের বেলায় ঠান্ডা কম আর রাতের ঠিক ততটাই শীত পড়ছে। এমন আবহাওয়ার সাথে কিছুতেই যেন মানিয়ে নিতে পারছি না।

বিগতদিন থেকে শরীর অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ইদানীং সময়ে শরীর যেন বেশি অসুস্থ হচ্ছে, আগে এতটা শরীর খারাপ করতো না। সময় যখন খারাপ যায় তখন সব দিক থেকেই অন্ধকার ঘনিয়ে আসে।

আমি যে বর্তমানে আমার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানসিকভাবে এতটা ভারাক্রান্ত আছি যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। একটু মুহুর্তের জন্যেও স্বস্তি পাচ্ছি না। তবে তারপরও সবার সামনে হাসি মুখে থাকতে পছন্দ করি। নিজের মনের দুশ্চিন্তাগুলো যেন আমার চেহারায় ফুটে না ওঠে এই চেষ্টাই করি। আশায় আছি, ঈশ্বর কিছু একটা পথ নিশ্চয়ই দেখাবেন।

IMG_20241206_192005_786.jpg
দেশি মুরগির বাচ্চা
IMG_20241206_192005_899.jpg

শরীর খানিকটা অসুস্থ থাকায় ঘুম থেকে উঠতে খানিক দেরি হলো। ঘুম থেকে উঠে উঠানে কিছু সময় হাঁটাহাটি করলাম। আপনারা হয়ত জানেন, আমাদের বাড়িতে মুরগির ফার্মে আছে এবং ওখানে মুরগির পালন করা হয়।

তবে তার পাশাপাশি বাড়িতেও কয়েকটা দেশি মুরগি রয়েছে। দেশি মুরগি ও ফার্মের মুরগীর মধ্যে অনেক তফাত সেটা স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দুই দিক থেকেই। দেশি মুরগির ডিমের স্বাদ ফার্মের মুরগীর থেকে অনেক বেশি। সকালে বাড়ির মুরগীগুলোকে খাবার খেতে দেওয়া হয়। তাই আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

IMG_20241206_192005_746.jpg
সবজি ক্ষেতে জল দেওয়া হচ্ছে
IMG_20241206_192005_857.jpg

আমি বিগত একটা পোস্টে জানিয়েছিলাম যে, আমাদের বাড়ির ক্ষেতে অনেক ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছে। তবে শুধু সবজির চারা রোপণ করলেই হবে না বরং প্রতিদিন সেগুলোর পরিচর্যা করতে হবে। জল ছাড়া শুধু মানুষ কেন কোনো প্রাণীই বাঁচে না। তাই প্রতিদিন বিকালে সবজি ক্ষেতে জল দিতে হয়। এই কাজটা সম্পন্ন করতে বেশ অনেক সময়ের প্রয়োজন।

IMG_20241206_192005_858.jpg
বিড়াল যখন দিনান্ত উপভোগ করে
IMG_20241206_192005_640.jpg
সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে

সবজি ক্ষেতে জল দেওয়ার পর বিলের পাশে এসে দাঁড়ালাম। সূর্য তখন আস্তে আস্তে পশ্চিম আকাশে ঘনিয়ে পড়ছে। সূর্যাস্তের মুহুর্তটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। দিনের একটা সময় সূর্যের রশ্মির দিকে তাকানো যায় না তবে এই মুহুর্তে কত সহজে তাকিয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে সূর্যের তেজ কমে যায় তবে এটা ক্ষনিকের জন্য। প্রকৃত শক্তিমানের শক্তি সাময়িকভাবে আড়ালে গেলেও একটা সময় আবারও প্রকট হয়।

সমাপ্ত
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.

@tanay123 বাড়ীর জমিতে উৎপন্ন যেকোনো জিনিষ যদি ঘরে ব্যবহারের জন্য উৎপাদিত হয়, তাহলে সাধারণত কোনো পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয় না বলেই জানি, যদিও আমার কৃষি সম্পর্কে সল্প অভিজ্ঞতা।
আসলে এখন ফল থেকে সবজি , মাছ , মাংস কোনো কিছুই ভেজাল ছাড়া পাওয়া মুশকিল।

মুরগির ছানাদের পিলে বলে ডাকতে শুনেছি ছেলে বেলায় মাসির বাড়ির পাশে যে মুসলিম পরিবারের কথা বলি, তারাও এইরকম মুরগি হাঁস পালন করতো। তাই আমিও মুরগির বাচ্চাকে পিলে নামেই জানি, জানিনা অন্য কোনো নাম এদের আছে কিনা?

আপনার লেখায় ছবিগুলো দেখে এক ঝলক চোখের সামনে শৈশবের সেই দিনগুলো ভেসে আসলো।

অদ্ভুত প্রকৃতির হয় এই মুরগি, হাঁসের বাচ্চারা, যেদিকে মা যাবে তার পিছু পিছু সারিবদ্ধ ভাবে চলতে দেখেছি এদের, অথচ বুদ্ধিজীবী মানুষ একটু বড়ো হতে না হতেই কত বাক বিতন্ডা করে মা বাবার সাথে!
অথচ এই পশুদের শিশুরা কিন্তু কোনো স্কুলে পড়ে না, অথবা এদের ভাষার প্রয়োজন শাসন দরকার হয় না শৃঙ্খলা শিখতে।

বাড়িতে যেসকল সবজি চাষ হয় সেগুলোতে কোনো কীটনাশক সারের ব্যবহার করা হয় না। শুধুমাত্র সবজি ক্ষেতে প্রতিদিন জল দেওয়া হয় যাতে গাছগুলো সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তবে যারা বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সবজি চাষ করে তারা গাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে যেটা মানব শরীরের জন্য অনেক বড় হুমকি বয়ে আনে।

আমাদের এখানে কাউকে মুরগির ছানাদের পিলে বলে ডাকতে শুনিনি তবে অন্য কিছু বলে ডাকে না সেটা খেয়াল করে শুনিনি আমাদের বাড়িতে ডিম থেকেই এই মুরগির ছানাগুলোর জন্ম হয়েছে।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হলেও সভ্য আচরনের দিক থেকে অন্য প্রাণীর থেকে অনেক পিছিয়ে। হাস, বা মুরগির বাচ্চাগুলো সব সময় তাদের মাকে অনুসরণ করে। মায়ের পিছন পিছন ডাকতে ডাকতে সারিবদ্ধভাবে চলে। মানুষ স্কুলে পড়েও শৃঙ্খলার জ্ঞান অর্জন করতে পারে না। আমার লেখার মাধ্যমে আপনাকে শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে করাতে পেরে আমি অনেক খুশি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন। 🙏

@tanay123 একদম সঠিক কথা বলেছেন, এখন কম সময়ে অধিক উপার্জনের মানসিকতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলস্বরূপ এই সমস্ত কর্মকাণ্ড, আজকাল ওই পরের ছেলে পরমানন্দ যত উচ্ছন্নে যায় ততো আনন্দ এই প্রবাদ মেনে চলে সকলে।

আজকাল ওই পরের ছেলে পরমানন্দ যত উচ্ছন্নে যায় ততো আনন্দ এই প্রবাদ মেনে চলে সকলে।

একদম ঠিক কথা বলেছেন। সকলেই নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য অন্যের ক্ষতি হলো কিনা এটা ভাবার সময় খুব কম মানুষের রয়েছে আর তার ফলস্বরূপ বাংলাদেশের প্রতি ৪ জনের ভিতর ৩ জনই কোনো না কোনো ভাবে কিনডি জনিত সমস্যায় ভুগছে ( বিশেষজ্ঞদের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য) ।

Loading...