Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। তবে কয়েকদিন যাবত শরীরটা কেন জানি সায় দিচ্ছে না। জানি না কি হয়েছে তবে কয়েকদিন যাবত শরীর দুর্বল লাগে কোনো কিছুই ভালো লাগে না।
খাওয়া দাওয়া তো সবই ঠিক মতোই করছি তারপরও জানি না কেন এত খারাপ লাগছে। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো হলে কি হবে, দুঃশ্চিন্তার কারনে মানুষ মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে।
আর এই জিনিসটাই হচ্ছে আমার সাথে। ভিতরে ভিতরে এত দুঃশ্চিন্তা বাঁধা বেঁধেছে যে সেগুলো চাইলেও মন থেকে বের করতে পারছি না। হয়ত সেগুলোর কোনো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দুঃশ্চিতা দুর হবে না। শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই অনেক ভেঙ্গে পড়েছি।
জীবনে এতটা দিশেহারা আগে কখনও হইনি। যদিও করোনার সময় প্রথমবারের মতো জীবনটা থমকে দাঁড়িয়েছিলো এবং জীবনের দিক হারিয়ে ফেলছিলাম। লেখাপড়া সবই বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
তবে সেই বিপদ থেকে উতরে যাওয়ার পর আবারও যে একদিন তেমনই দিশেহারা হয়ে পড়বো সেটা ভাবিনি কখনও। সত্যি দিন দিন জীবনটা অর্থহীন হয়ে যাচ্ছে। নিজের চাহিদাগুলোকে সব সময় সীমিত রেখেছি সব সময়।
ঈশ্বরের কাছে খুব বেশি কিছু কখনওই চাই নি কারন আমি জানি, নিজের চাহিদা যদি কম থাকে তাহলে সে সব কিছুতে সুখি হতে পারে আর চাওয়াটা যদি সীমাহীন থাকে তাহলে অল্পতে খুশি হতে পারে না। তবে নিজের সেই সীমিত চাওয়াগুলো পূরণ করতেও হয়ত সৃষ্টিকর্তা অপারক।
তুলসীপাতা |
---|
সবাই সবার নিজের কষ্টটা বোঝে। অন্যকে নিজের কষ্টগুলো বললে হয়ত নিজে কিছুটা হালকা হওয়া যায় তবে অপরকে কখনও সেই কষ্টের অনুভব করানো যায় না।
এটা হলো তুলসীগাছ, আশা করি, সবাই চেনেন। বিশেষ করে প্রতিটি হিন্দুধর্মের মানুষের বাড়িতে তুলসীগাছ রয়েছে কারন তুলসীপাতা ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাছাড়া তুলসীপাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে। সর্দি কাশি হলে মধুর সাথে তুলসীপাতা খেলে সুস্থ হয়ে যায়। দাদু যখন বেঁচে ছিলো তখন বাড়ির সামনে দিয়ে অনেক অনেক তুলসীগাছ লাগাতো।
ওর হাসিটাই বেশি মিষ্টি |
---|
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে বসে আছি তখন বাবার সাথে আমাদের বাড়িতে আসলো আমার দাদার মেয়ে। বাড়িতে ঢুকতেই কাকা কাকা বলে ডাক শুরু হয়ে গেলো। ঘর থেকেই বুঝতে পারলাম যে এবার আমার জিনিসপত্র এলোমেলো করার লোক চলে এসেছে।
হাতের কাছে যেটা পাবে সেটাই এলোমেলো করে রাখবে। বই, খাতা থেকে শুরু করে ফোনের চার্জার, ইয়ারফোন সব কিছু। আমার একটা ইয়ারফোন টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে সেটা বিগত একটা পোস্টে শেয়ার করেছিলাম।
এখনও ভালো ভাবে কথা বলতে পারে না তবে কিছু কিছু কথা একদম স্পষ্ট বলতে পারে, যেমন - মা, বাবা, কাকা, দাদা, দিদি। এমন সহজ সহজ কয়েকটা শব্দ বলতে পারে। শিশুরা মা শব্দটাই সর্বপ্রথম বলতে শেখে।
একটা সন্তানকে বড় করতে মায়ের কষ্ট ও অবদান সব থেকে বেশি। তাই হয়ত ঈশ্বর সকলকে মায়ের এই ত্যাগ শিকারের কথা মনে করিয়ে দিতেই এই নিয়ম তৈরি করেছেন যেন, প্রতিটা শিশু মা শব্দটাই আগে বলতে পারে। মা বলে ডাকতেই যেন একটা অন্য রকম শান্তি অনুভব হয়।
কাকতাড়ুয়া |
---|
কাকতাড়ুয়ার সাথে তো আপনারা সকলেই পরিচিত। ছোটবেলায় কাকতাড়ুয়া দেখলে ভীষণ ভয় পেতাম। ক্লান্ত ভুলে অন্যের সম্পদ পাহারা দেওয়া তার প্রধান কাজ। তার কাজে না আছে কোনো দায়িত্বশীলতার অভাব আর না আছে অপরের প্রতি কোনো অভিযোগ।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবে।
দাদা প্রথমে বলতে চাই দুঃখ কষ্ট প্রতিটি মানুষেরই থাকবে দুঃখ-কষ্ট ছাড়া মানুষ জীবন চলতে পারবে না। আমার কাছে মনে হয় দুঃখ কষ্ট একে অপরের বন্ধু । একটা কথা হয়তো বা জানেন দুঃখ মানুষের চিরস্থায়ী নয় এমন সুখ চলে আসবে আপনার জীবনে যা এই দুঃখগুলি আবার ভুলে যাবেন দাদা। সত্যিই এই তুলসী গাছের অনেক উপকার আছে আমাদেরও বাসার ছাদে একটা তুলসী গাছ আছে। আমাদের বাসায় একটা বাবু আছে তো ওর জন্য এই তুলসী গাছ লাগানো হয়েছে। আর মানুষের সাথে এই কষ্টের এই হতাশার গল্প গুলো বললে মন হালকা হয় কিন্তু সবার সাথে আবার এইসব হতাশার গল্প কষ্টের গল্প বলা যাবে না সবাই তো আর সত্যিকারের বন্ধু না দাদা। যাইহোক অনেকদিন পর এই কাকতাড়ুয়ার ছবি!আপনার পোস্টে দেখলাম দেখে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit