Contest of May#2 by @sduttaskitchen | Qualities all humans should carry within!

in hive-120823 •  4 months ago 
marketing_20240524_180149_0000.jpg

Hello Friend's,,,

নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালোবাসি। আজ আমি আমাদের সকলের প্রিয় ম্যাম কতৃক আয়োজিত নতুন একটা কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি। @sduttaskitchen ম্যাম কে অনেক ধন্যবাদ জানাই, আমাদের জন্য নিত্য নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।

আমার কয়েকজন বন্ধুকে আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি,
@farhanahossin,
@hafizur46n,
@sairazerin.

per your viewpoint, which three qualities all humans should carry within?

পৃথিবীতে সকল মানুষের দৃষ্টিকোণ একরকম নয়। আমাদের আশেপাশের সকল মানুষের চেহারা ও দৈহিক গঠন যেমন এক নয় তেমনই তাদের চারিত্রিক গুণাবলিতেও ভিন্নতা লক্ষনীয়। তবে সকলের জীবনে লক্ষ্য অর্জন তথা সুন্দরভাবে বাঁচার জন্য প্রত্যের মধ্যে কিছু গুণাবলি থাকা আবশ্যক।

আমরা প্রত্যকে যেসকল গুণাবলি নিজেদের মধ্যে নির্বাহ করি তার অধিকাংশই আমাদের পরিবার তথা আশেপাশের পরিবেশ থেকে প্রাপ্ত করে থাকি।

প্রত্যকের সাথে আলাপ বিনিময়, ব্যবহারের মাধ্যমে তার গুনগুলো আমাদের সামনে ফুটে ওঠে। মানুষ কাউকে মনে রাখে তার চেহারা দেখে অথবা ব্যবহার তথয় গুণাবলির কারনে। মানুষ যেমন তার ভালো গুনের মাধ্যমে অন্যের কাছে ভালোবাসা পাত্র হয়ে ওঠে এবং নেতিবাচক গুনের কারনে ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকে। মানুষের গুন তার পরিচয় বহন করে।

একজন আদর্শ মানুষের যেসব গুন থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি যেগুলো-


১. সততা,
২. ধৈর্য্য ও জেদ,
৩. কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন।

এগুলো সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বললাম।

আগেই বলেছি, প্রত্যকের চিন্তা ভাবনার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে তাই আমার এই চিন্তাধারার সাথে সকলে পুরোপুরি সহমত না হলেও আংশিক মিল খুজে পাবেন।

How do those qualities help to enhance us and others (including family and society)? Describe.

১ম প্রশ্নের উত্তরে আমি যে গুন গুলো বলেছি সেগুলো কোন না কোনো ভাবে আমাদের প্রত্যকের চলার পথকে প্রভাবিত করে। শুধুমাত্র এই তিনটি গুন ধারন করলেই আদর্শ মানুষ হবে এমনটা না সেই সাথে, সময়ানুবর্তিতা, বিশ্বাসের মর্যাদাদান, দৃঢ় মনোবল, দায়িত্বের প্রতি একাগ্রতা, সম্মান এমন আরও গুণাবলি থাকা জরুরি।

তবে প্রশ্নের সঠিক উওর দেওয়ার প্রেক্ষিতে আমি উপরের তিনটি গুন নিয়ে আলোচনা করবো।

সততা,

সততা একটি মহৎ গুন। প্রত্যেক মানুষেরই সততাকে আকড়ে ধরা উচিত, সেটা হোক কর্মজীবনে বা ব্যক্তিগত জীবনে।

সততা এমন একটা গুন যেটা আঁকড়ে ধরলে শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের মানুষই নয় বরং সৃষ্টিকর্তাও আমাদের সহায় হয়, বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলছি না সততা ব্যতিত কেউ জীবনে উপরে উঠতে তথা উন্নতি করতে পারে না তবে সেখান থেকে নিচে পড়তে বা অবনতির চরম সীমায় পৌঁছাতেও খুব বেশি সময় লাগে না।

দুঃখজনক হলেও সত্য, সততা এমন একটা গুন যেটাকে নির্বাহ করলে অনেকসময় আপনার শত্রু বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে আপনার কর্মক্ষেত্রে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো জটিল মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কেউ যদি সততাকে বজায় রেখে সাক্ষ্য দিয়ে থাকে তাহলে অনেক সময় বিপরীত পক্ষ সাক্ষ্য প্রদানকারীকে হুমকি, কখনও কখনও মৃত্যুর হুমকিও দিয়ে থাকে।

সবার মুখেই একটা কথা শোনা যায়, সৎ মানুষের শত্রু বেশি।

তবে যে ব্যক্তি নিজের সততা দিয়ে সেই বাধা অতিক্রম করতে পারে সেই জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।

অসৎ পথ অবলম্বন করে লাখ টাকা ইনকাম করা ক্ষনিকের ব্যপার মাত্র আর সৎ পথে থেকে এক টাকা রোজগার করতে মাথায় ঘাম পায়ে পড়ে যায়। তবে এই এক টাকাতেই মানসিক সুখ ও শান্তি পাওয়া যায়।

ধৈর্য্য ও জেদ,

যেকোনো কাজের প্রতি ধৈর্য থাকাটা জরুরি। একবার না পারিলে দেখ শতবার এই প্রবাদটা সকলের মুখেই শোনা যায়।

তাই প্রত্যেকে বিশ্বাস করেন, সফলতা অর্জনের জন্য ধৈর্য্য থাকাটা অনিবার্য।

আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছে যারা শুধুমাত্র ধৈর্য্যের ধারন করার কারনে জীবনে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির উদাহরণ রয়েছে যারা বার বার অসফল হওয়ার পরও হাল ছেড়ে দেন নি আর একারণেই আজ তারা বিখ্যাত বনে গিয়েছে গোটা পৃথিবীতে।

গন্তব্যে পৌঁছাতে গেলে ধৈর্য্য আর সেই সাথে জেদ বজায় রাখতে হবে।

আমাদের সম্মানিত এডমিন ম্যাম নিজেও বলেন, যেকোনো কাজ করতে হলে জেদ থাকাটা আবশ্যক। জেদ এমন ভাবে ধারন করতে হবে যেন সকল বাঁধা বিপত্তি আমার জেদের কাছে হার মানে। ম্যাম জেদ আর ধৈর্য্য ধরেই কাজ করেছিলো বলেই আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছে।

জ্যাক মা কে আমরা সবাই জানি, তার একটা উক্তি আমার খুব মনে ধরেছে। সেটা হলো-

Today is difficult, Tomorrow is Much more difficult, But the day after tomorrow is beautiful. Most people die tomorrow evening.

--- JACK MA

তাই আমি মনে করি, সকলের মধ্যে ধৈর্য্য ও জেদ থাকাটা জরুরি।

কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন,

একজন আদর্শ মানুষ হতে গেলে তার মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ থাকাটা জরুরি।

সবাই জীবনে উন্নতি করতে চায় আর তার লক্ষ্যের প্রতিটা পদে কেউ না কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তবে অধিকাংশ মানুষই বিপদ কেটে গেলে, বিপদ থেকে উদ্ধারকারীকে ভুলে যাই যেটা মানুষ হিসাবে খুব লজ্জাজনক।

এক মাঘে যেমন শীত যায় না তেমনই, একবার বিপদ কেটে গেছে বলে যে আর বিপদ আসবে না এমন হতে পারে না। যদি আমরা কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করি তাহলে পরবর্তীতে বিপদে পড়লে সে সাহায্য করবে না।

যদি সকলে এমন অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করি তাহলে পৃথিবী থেকে সাহায্য, সহযোগিতা এই শব্দগুলো মুছে যাবে চিরকালের জন্য।

তাই আমি মনে করি একজন আদর্শ মানুষ কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ করে দ্বিতীয়বার ভাবে না।

Do you believe identifying self-mistakes and quality somehow makes us distinct? Justify your view.

হ্যা! আমি বিশ্বাস করি, নিজ ভুল বুঝতে পারা এবং সেটা স্বীকার করলে সেটা আমাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

মানুষ মাত্রই ভুল করে। কেউ জেনে ভুল করে আর কেউ না জেনে। জেনে বুঝে ভুল করাটা অপরাধ। তবে কেউ যদি নিজে থেকে ভুল বুঝতে পারে তাহলে সেটা অবশ্যই মহৎ গুন।

সাধারণত আমরা ভুল করলেও সেটা স্বীকার করতে বা মানতে চাই না বরং সেটা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

মানুষ মাত্রই তো ভুল করে। তবে ভুল স্বীকারে এত কেন সংকোচ?

তাই আমি মনে করি ভুল বুঝতে পারা বা নিজের ভালো খারাপ গুনগুলো চিহ্নিত করাটা সত্যিই ভালো গুন এবং এটা অন্যের থেকে আমাদের আলাদা করে।

END
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...
  • ভুলের ঊর্ধ্বে আমরা কেউ নই তাই ভুল করা মানুষের সহজ জাত স্বভাব। তবে এটি স্থান কাল পাত্র বুঝি করা উচিত সব জায়গায় ভুলের ক্ষমা হয় না সবাই ভুল ক্ষমা করতেও জানে না। খুব সুন্দর করে আপনার বিষয়টিকে উপস্থাপন করেছেন আমিও চেষ্টা করব অতি শীঘ্রই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের অভিমান ব্যক্ত করার জন্য।

মানুষ মাত্রই ভুল করে। তবে সেই ভুল যদি বার বার করা হয় তাহলে সেটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে যায়। আমরা অনেকেই জেনে হোক বা না জেনে হোক ভুল করে থাকি তবে নিজের ভুল বুঝতে পেরেও তার জন্য বিন্দু মাত্র অনুশোচনা করি না বা সেই ভুল স্বীকার করি না, এটা খুব অন্যায় একটা কাজ।

জেনে ভালো লাগলো যে আপনি দ্রুতই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। আপনার চমৎকার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই কন্টেস্টে জয়েন করার জন্য।। আজকের এই কনটেস্টে খুবই চমৎকার একটি বিষয় ছিল যেখানে বলা হয়েছিল আদর্শ মানুষের তিনটি গুণের কথা।। আপনি যেখানে বলেছেন মানুষের মধ্যে সততা, ধৈর্য্য ও জেদ,কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। আর এই তিনটি বিষয় নিয়ে আপনি খুবই চমৎকার আলোচনা করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো।।

এবারের কনটেস্টের বিষয়বস্তু সত্যিই অসাধারণ। এটা আমাদের সকলের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতোভবে জড়িয়ে আছে। আমি চেষ্টা করেছি আমার মতো করে আলোচনা করার। আমি মনে করি সততা, ধৈর্য্য ও কৃতজ্ঞ মনোভাব থাকাটা জরুরি। আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।

কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন সৎ মানুষের কিছু গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। তার মধ্যে আপনি তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। সততা, ধৈর্য ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন।
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন সততস হলো একটি মহৎ গুণ। যে মানুষের মাঝে সততা আছে সেই মানুষ কখনোই কারো ক্ষতি করতে পারে না।
আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দর ছিল। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

আমার মতো আপনিও মনে করেন যে, কাজে সততা থাকাটা অনেক জরুরি এট দেখে ভালো লাগলো। সততার নির্বাহ করলে জীবন হয়ত একটু কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে তবুও আমাদের জীবনের প্রতিটা ধাপে সততা বজায় রাখা উচিত। সততায় একটা অন্য রকম শান্তি কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।