নিজের রক্ষা নিজেকেই করতে হবে!

in hive-120823 •  2 months ago 

যত দিন যাচ্ছে পৃথিবী ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশগুলো এখন আর মানুষের অনুকূলে থাকছে না। যখন বৃষ্টির প্রয়োজন তখন সময় মতো বৃষ্টি হয় না, অসময়ে বৃষ্টি নেমে বন্যার সৃষ্টি করে। গরমের সময় তাপমাত্রা এত পরিমাণে বেড়ে যায় যেটা আর সহনশীল পর্যায়ে থাকে না। আবার শীতের সময় কনকনে ঠান্ডা।

pexels-alena-koval-233944-886521.jpgSource

আচ্ছা কয়েকবছর আগে তো এতটা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতো না তাহলে এখন কেন হচ্ছে। এর পিছনে দোষটা আসলে কার। প্রকৃতি তো নিজের রূপ নিজে বদলাচ্ছে না তাহলে কেন হচ্ছে এমন!

আসলে দোষটা আমাদের মানবসমাজের ই। আমরাই আমাদের কার্যাবলীর মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভারসাম্য দুটোই নষ্ট করছি।

নির্বিচারে বন উজাড় করছি অথচ ভারসাম্য রক্ষায় পুনরায় বৃক্ষ রোপণ করছি না। এর নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি আমাদের উপর পড়ছে, এটাই স্বাভাবিক।

গাছপালা কেটে ইটপাথরের উঁচু উচু বিল্ডিং করছি ঠিকই তবে এই পৃথিবী আর কত দিন আমাদের বাঁচার উপযোগী থাকবে এটা ভাবছি না একবারও। একটা গাছ কাটলে সেখানে দুটো গাছ লাগানোর কথা থাকলেও সেটা করি না আমরা!

আচ্ছা একটা কথা নিজের কাছেই প্রশ্ন করুন তো? কখনও টিউবওয়েল চেপে জল তুলেছেন?

  • হয়ত তুলেছেন!

একবার ভেবে দেখুন তো, কয়েকবছর আগেও যতটা সহজে টিউবওয়েল থেকে জল উঠতো এখন কি ততটা সহজে ওঠে, নাকি অনেক কষ্ট করে তুলতে হয় আমাদের প্রয়োজনীয় জল।

একথা হয়ত সকলে একবাক্যে শিকার করবেন যে টিউবওয়েলে আগের মতো এখন আর জল ওঠে না। বিশেষ করে গরমের দিনে টিউবওয়েল চেপে জল উঠাতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। গ্রামের দিকে তো কষ্ট করে হলেও জল উঠানো যায় তবে শহরের দিকে জলই ওঠে না।

শহরের সবাই হয়ত এখন সাবমারছিবল পাম্পের মাধ্যমে জল উঠায় এজন্য বুঝতে পারছে না তবে আমরা সবাই খুব ভালো ভাবে জানি জলের স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এর পিছনে দায়ী কে?

দোষটা হয়ত আমার - আপনার, আমাদের সকলের কারন আমরা যে পরিমাণ জলের অপচয় করি এভাবে অন্য কিছু অপচয় করি না। জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া আমরা একদিনের বেশি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবো না কিন্তু বেঁচে থাকার এই মূল্যবান বস্তুটি আমরা অবলীলায় অপচয় করছি।

এখন থেকে আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে ভবিষ্যতে এর পরিনাম আমাদেরই ভোগ করতে হবে। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও জল উভয়ই আমরা প্রকৃতি থেকে পেয়ে থাকি তাই প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন হয়ে বেশি বেশি গাছ লাগানো ও জলের অপব্যবহার করা রোধ করতে হবে। সকলে ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যতদিন যাচ্ছে পরিবেশটা তত কঠিন হয়ে যাচ্ছে, সবাই গাছ কেটে পরিবেশকে নষ্ট করছে, এখানে একটা গাছ কাটলে 2 টা গাছ লাগানোর কথা, এখানে গাছ কাটার পরে কোন গাছি লাগানো হচ্ছে না, যেখানে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, সময়মতো বৃষ্টি হচ্ছে না তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর বিষয়ের উপর পোস্ট করার জন্য।

Loading...

যদি আমি বিপদে পড়ি তাহলে আমাকেই বিপদ থেকে উদ্ধার হতে হবে। কেউ এগিয়ে এসে আমাকে সাহায্য করবে না। নিজের জীবন নিজেকেই পরিচালনা করতে হবে। আপনার সুন্দর লেখাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পৃথিবীর ভৌগলিক এই পরিবর্তনের একমাত্র কারণ হতে পারে মানব সৃষ্টি । এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে, দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এবং আধুনিকতার কারণে আমরা কৃষি জমি, গাছপালা কেটে ঘরবাড়ি এবং রাস্তাঘাট তৈরি করছি । আমরা যে পরিমাণে বৃক্ষ ধ্বংস করছি সে পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করছি না, যার জন্য প্রকৃতির এই নির্মম পরিস্থিতি শিকার আমরাই হচ্ছি ।

চিন্তা করে দেখুন রাজধানী ঢাকাতে প্রতিনিয়ত কত যানবাহন চলছে । এই যানবাহন থেকে কালো ধোয়া নির্গত হয়ে বায়ু দূষণ হচ্ছে ,আমরা যে পরিমাণে বায়ু দূষণ করছি সেই পরিমাণে বৃক্ষ না থাকায় আমরা অক্সিজেন ততটা পাচ্ছি না তাই দিন দিন কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির কারণে বর্তমান এই সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে ,যার কারণে অনাবৃষ্টি , তাপমাত্রা বৃদ্ধি এরকম হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।

তাই আমাদের সকলের উচিত গৃহের পাশে যার যতটুকু আঙ্গিনা থাকে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা এবং এই বিশ্বকে সবুজে ভরিয়ে তোলা , তবে যদি এই পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করা যায় ।