Incredible India monthly contest of May#2| Significance of Education!.

in hive-120823 •  8 months ago 
Incredible India monthly contest of May#2_20240531_220845_0000.jpg

Hello Friend's

নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আজ আপনাদের সাথে নতুন একটা কনটেস্টের বিষয় নিয়ে লেখা তুলে ধরতে চলেছি। ইতিমধ্যে অনেকেই নিজস্ব মতামত শেয়ার করেছেন।

আমিও চেষ্টা করবো নিজের জ্ঞানানুযায়ী কিছু লেখার। এডমিন ম্যামকে অনেক ধন্যবাদ, প্রতিনিয়ত আমাদের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।

Why education is significant in our lives?

শিক্ষা আমাদের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত তারা তত বেশি সফল। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড এটা আমরা সবাই জানি। এই প্রবাদটি থেকে এটাতো স্পষ্ট, কোনো জাতির মেরুদণ্ড কত বেশি মজবুত সেটা নির্ভর করে তাদের শিক্ষার উপর।

শিক্ষিত মানুষ যেমন ভালো মন্দের বিচার করতে পারে, নিরক্ষর মানুষ তেমন পারে না। শিক্ষা ছাড়া আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার।

শিক্ষা ছাড়া জীবন হলো হাল বিহীন নৌকার মতো। হাল বা বৈঠা ছাড়া যেমন নৌকাকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না তেমনই শিক্ষা ব্যতিত একজন মানুষ জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে না।

একটা বিখ্যাত প্রবাদ আছে,

এমন ভাবে বাঁচো যেন কাল তুমি মরবে। এমনভাবে শেখো যেন তুমি সর্বদা বাঁচবে।

-মহাত্মা গান্ধী।

একজন শিক্ষিত মানুষের কর্মকাণ্ডগুলোর কারনে সে সমাজ তথা দেশের মানুষের কাছে বেঁচে থাকে অনন্তকাল।

শিক্ষা যে শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতেই কাজে আসে তেমনটা নয়। একজন শিক্ষিত মানুষ দেশের ও দেশের মানুষের উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই শিক্ষিত মানুষ হলো দেশের গর্ব।

বর্তমান সময়ে এত এত উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে এগুলো উন্নত শিক্ষার মাধ্যমেই হচ্ছে। যে জাতি তথা দেশের মানুষ যত বেশি শিক্ষিত তারাই তত বেশি উদ্ভাবনী কাজগুলো করে থাকে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, যে দেশ যত বেশি শিক্ষিত তারা তত বেশি উন্নত ও সফল।

How to classify education? Describe.

শিক্ষা আমাদের জীবনের একটা অপরিহার্য উপাদান। আমি শিক্ষাকে দুই ভাবে শ্রেণীবদ্ধ করবো। যথা -

১) পারিবারিক শিক্ষা। ও
২) প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।

পারিবারিক শিক্ষাঃ

প্রতিটা মানুষের জীবনে শিক্ষা প্রয়োজন এটা আমরা সবাই জানি। আর প্রতিটা মানুষ জীবনে প্রথম শিক্ষা লাভ করে তার পরিবারের কাছ থেকে। মানুষ জন্ম নেওয়ার পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের আগমুহূর্ত পর্যন্ত সবাই তার পরিবারের কাছ থেকেই শিক্ষা অর্জন করে থাকে।

একটা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে-

ব্যবহারে বংশের পরিচয় ।

মানুষ তার পরিবারের কাছ থেকে যেমন শিক্ষা পেয়ে থাকে সে সারাজীবন সেটাই ধারন করে। আর এখানে সবার শিক্ষার হাতে খড়ি বাবা-মায়ের কাছ থেকেই হয়ে থাকে। পরিবারের কাছ থেকে ভালো কিছু শিখলে মানুষ সেভাবেই কাজ করে আর বাজে কোনো অভ্যাস রপ্ত করলে সেটাই করতে থাকে।

কিছু কিছু বিষয় আছে পুঁথিগত ভাবে রপ্ত করা যায় না। একটা শিশু যখন জন্ম নেয় তখন তার কোনো জ্ঞান বুদ্ধি থাকে না তবে সেটা তার পরিবারের কাছ থেকে একটু একটু করে জ্ঞান লাভ করে থাকে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে যেমন মানুষ পুঁথিগতবিদ্যা অর্জন করে তেমনই পারিবার থেকে মানুষ আচার-আচরণ, ব্যবহার, সংস্কৃতি, ভালো-মন্দের বিচার করার শক্তি ইত্যাদি শিক্ষা লাভ করে।

একটা মানুষের জীবনে সফল হতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পরিবার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষারও প্রয়োজন পড়ে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাঃ

পারিবারিক শিক্ষার পরের অবস্থানে আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে রাখবো। এতক্ষণে তো জানলাম পারিবারিক শিক্ষা সম্পর্কে। তবে পারিবারিক শিক্ষাই শেষ কথা নয়। জীবনে সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষ পুঁথিগতবিদ্যা অর্জন করে। প্রথম শ্রেণি থেকে একজন মানুষের পুঁথিগতবিদ্যার পাঠ শুরু হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সে আরও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে থাকে।

Do you believe besides institutional education, we have a lot of other educations that are equally essential? Justify your answer.

হ্যা! আমি বিশ্বাস করি, পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি আরও অনেক শিক্ষা আছে যেগুলো আমাদের প্রয়োজন।

পুঁথিগতবিদ্যার মাধ্যমে যেমন নিজেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা যায় তেমনই পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজের আচরণগত উন্নতি সাধন করা যায়। তাই পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

আচার ব্যবহারকে একজন মানুষের মনের আয়না বলা হয়। কারন মানুষের মনে কি চলছে এবং তার চিন্তাভাবনার সবকিছুই তার ব্যবহারের মাধ্যমে ফুটে ওঠে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের সময় আমাদের হয়ত কোনো জটিল পাঠ বারবার বোঝানো হয় তবে আচরণগত পরিবর্তনগুলো কেবলমাত্র পরিবার থেকেই প্রাপ্ত করে।

কোনো ভুল করলে সেটা পরিবারের লোকজনই বারবার বুঝিয়ে শুধরে দেয়। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ন্যায় পারিবারিক শিক্ষারও প্রয়োজন।

According to you, which education carries more value in life? Describe.

যদিও জীবনে পুঁথিগত শিক্ষার প্রয়োজন অনেক তবে আমি মনে করি পারিবারিক শিক্ষা আমাদের জীবনে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের মাঝে অধিকাংশেরই ধারনা, ভালো ভাবে পড়াশোনা করে শিক্ষা লাভ করে টাকা ইনকাম করতে হবে।

তবে টাকা ইনকাম তো সৎ ও অসৎ দুটি উপায়েই করা যায়। আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছে যারা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থেকেও টাকার লোভে দুর্নীতিযুক্ত কাজ করে।

এমন অনেক শিক্ষিত মানুষ আছে যারা নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য অন্যেকে বিপদের মুখে ফেলতেও একবার ভাবে না। এরা শিক্ষার কলঙ্কস্বরুপ।

আর এখানেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও পারিবারিক শিক্ষার পার্থক্য। পারিবারিক শিক্ষা মানুষকে ন্যায় - অন্যায়, সৎ - অসৎ এসবের মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়।

একজন মানুষ সমাজের চোখে কতটা সম্মানিত হবে সেটা তার কর্ম নির্ধারণ করে দেয়। একজন ব্যক্তি যতই উচ্চ শিক্ষিত হোক না কেন সে যদি মানুষের বিপদে তার পাশে না দাড়ায় অর্থাৎ তার ভিতর যদি মানবিক গুণ না থাকে তাহলে কেউ তাকে মূল্যায়ন করে না।

আর এই মানবিকতার শিক্ষা পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে সবাই। তাই আমার কাছে পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব বেশি।

আমার বন্ধুদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, অংশগ্রহণ করার জন্য।

@rubina203,
@shuhad,
@alamin125

END
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে মহামানবদের মহান উক্তিগুলো অসাধারণ। আর একটা কথা বলেছেন যে ভালো মানুষ দেশ ও দশের কাছে বাচে তাদের কর্মকান্ডে।তাই সকলের ভালো কাজ করা উচিত। এতে করে একালেও শান্তি আমার মৃত্যুর পরেও শান্তি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য। মহান ব্যক্তিদের উক্তিগুলো হলো আমাদের জন্য প্রেরণাসরূপ। এই উক্তিগুলো মন থেকে নিলে সে কেউ তার জীবন পরিচালিত ও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

যারা শুধুমাত্র নিজের জন্য বাঁচে তাদের সমাজ তথা সমাজের মানুষ মনে রাখে না।তবে যারা মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করে তারা মানুষের কাছে বেঁচে থাকে মরার পরেও। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...

দাদাভাই প্রথম আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।

শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না শিক্ষা একটি জাতির মেরুদন্ড বলা হয় যেমনটি আপনি উল্লেখ করলেন হাল বিহীন ‌ যেমন নৌকা চলেনা তেমনি শিক্ষা ছাড়া সুন্দর জীবন যাপন করা সম্ভব নয়।

আধুনিক এই প্রযুক্তি যুগে যদি আপনি শিক্ষাকে বাদ দেন তাহলে পিছিয়ে পড়বেন তাই অবশ্যই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে শিক্ষা গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
দাদাভাই আপনি এই প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর খুব ভালো ভাবে দিয়েছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে তত বেশি উন্নত। বর্তমানে শিক্ষা ছাড়া কোনো উপায় নেই। শিক্ষা ছাড়া পরবর্তী জীবন অন্ধকার। আসলেই শিক্ষা ছাড়া জীবন যেমন ছাল ছাড়া নৌকাও তেমন। আধুনিক যুগে শিক্ষাকে বাদ দিলে মুখ থমকে পড়তে হতে। ভালো থাকবেন।

এমন ভাবে বাঁচো যেন কাল তুমি মরবে। এমনভাবে শেখো যেন তুমি সর্বদা বাঁচবে।
-মহাত্মা গান্ধী।

মহাত্মা গান্ধীর এই বক্তব্যটি সত্যিই অসাধারণ ।

শিক্ষিত হয়ে নিজের উন্নতি করার সাথে সাথে পরিবার ও দেশের উন্নতি করাই হলো একজন সত্যিকারের শিক্ষিত ব্যক্তি । পুঁথিগত বিদ্যার সাথে সাথে আমাদের পারিবারিক শিক্ষারও খুবই প্রয়োজন ।

এই দুই শিক্ষাই পারে আমাদেরকে সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে । শিক্ষিত জনসংখ্যা দেশের বোঝা না হয়ে দেশের শক্তিতে পরিণত হতে পারে ।

এই আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । প্রতিযোগিতার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন । আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।

মহান ব্যক্তিদের প্রতিটা কথাই বাস্তবসম্মত ও মূল্যবান আর এজন্যই তারা মহান খেতাটি পেয়েছেন। আমার মতো আপানিও মনে করেন যে পারিবারিক শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। প্রতিটা মানুষের সকল শিক্ষারই প্রয়োজন আছে তাহলেই সে সুশিক্ষিত হতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত করার জন্য। ভালো থাকবেন।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে একজন মানুষের ছোট থেকে বড় হওয়া এবং এমন কি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিক্ষার কোন শেষ নেই। আমরা সবাই জানি শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। যে যত বেশি শিক্ষা লাভ করবে সমাজে সেই বেশি সুফল পাবে।
আপনার মতামত অনুযায়ী আপনি শিক্ষাকে দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও পারিবারিক শিক্ষা। একজন সদ্য জন্ম নেওয়া শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ এর আগে নিজের মায়ের কাছ থেকে পারিবারিক শিক্ষা পেয়ে থাকে। আর এদিকে বড় হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাদেশিক শিক্ষা লাভ করে।

আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।

শেখার কোন বয়স নেই। মানুষ সারাজীবনই কিছু না কিছু শেখে । শিক্ষা ছাড়া গতি নেই। জীবনে তথা সমাজের কল্যাণের জন্য শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আমি শিক্ষাকে দুই ভাবে ভাগ করেছি। মানুষের শিক্ষা গ্রহণ শুরু হয় পরিবারের কাছ থেকে। পরবর্তীতে সে পুঁথিগত বিদ্যা প্রাপ্ত করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।