মানবদেহে কাঁঠালের উপকারিতা।

in hive-120823 •  last month  (edited)
নমস্কার 🙏

পরম করুনাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আশা রাখি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আর আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা রাখি সবাই সমর্থন করবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

আজকে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কাঁঠাল।
কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নামঃ ( Artocarpus heterophyllus ) কাঁঠাল আর্টোকার্পাস গোত্রের একটি ফল। কাঁঠাল শব্দটি এসেছে পর্তুগিজ জ্যাকা শব্দ থেকে। কাঁঠালের উৎপত্তিস্থল হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের পশ্চিম ঘাট এবং মালয়েশিয়ায় অতিবৃষ্টি অরণ্যের মধ্যবর্তী অঞ্চলে। কাঁঠাল আমাদের বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার জাতীয় ফল।

IMG20240704132015.jpg

কাঁঠাল সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন এক প্রকারের হলুদ রঙের ফল। কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল যা সরকারিভাবে নির্ধারিত। বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলাতেই কাঁঠাল গাছের দেখা মেলে। কাঁঠাল গাছের কাঠ দিয়ে আবার আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। কাঁঠাল গাছের পাতা আবার বিভিন্ন পশুর প্রিয় খাবার।

jackfruit-leaf-325563_1920.jpg
Link:Pixabay

jackfruit-8436356_1280.jpg

Link:Pixabay

কাঁঠাল খাদ্য হিসেবে
কাটাল কাঁচা ও পাকা দু অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত আমরা কাঁচা কাঁঠাল বা ইচোড়' সবজি হিসেবে খেয়ে থাকি। কাঁঠালের বীজ দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের বীজ আবার পুড়িয়ে খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালে বেশ পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে কিন্তু এর গন্ধ এতটা আকর্ষণীয় নয়। তবুও সুমিষ্ট সাধ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করে।

jackfruit-curry-6303119_1920.jpg
Link:Pixabay

কাঠালের পুষ্টি উপকারিতা সম্পর্কে তত্ত্বঃ
কাঁঠালে যে পুষ্টিগুণগুলো রয়েছে তা হল-পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,আইরন,রিবোফ্লাভিন,
থয়ামিন,জিংক,সোডিয়াম এবং নায়াসিন সহ বিভিন্ন প্রকার পুস্টি উপাদান। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ,শর্করা ও ভিটামিন থাকায় আমাদের মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী।

কাঁঠালে ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে আছে বলে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ খুবই কম। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কাঁঠালে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা আমাদের সর্দি কাশি রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

আমাদের নানান রকম টেনশন ও নার্ভাসনেস থেকে ভের করে আনতে সাহায্য করে। কাঁঠাল গাছের শেখর চর্মরোগ,হাঁপানি, জ্বর, ডায়রিয়া রোগের থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঠাল খেতে পারলে গর্বের সন্তানের সব ধরনের পুষ্টির অভাব পূরণ করে তা চিকিৎসা শাস্ত্রে বলা আছে। কাঁঠালে খনিজ উপাদান থাকায় আমাদের দেহের রক্তস্বল্পতা পূরণ করে। আমাদের বদহজন রোধ করতে কাঁঠাল ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করে।

কাঁঠালে আছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের দেহের হাড় গুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। কাঁঠাল আমাদের দেহের ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। কাঁঠাল আঁশালো হওয়ায় আমাদের দেহের কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে। তাজা পাঁকা কাঁঠাল যদি দুম্নদানকারী মা খায় তাহলে মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

jack-fruit-4215710_1920.jpg
Link:Pixabay
ঈশ্বর সৃষ্ট একটি ফলে এত পরিমাণ পুষ্টি গুনাগুন আছে তা ভাবলেই অবাক লাগে। তাই আমাদের কাঁঠাল খাওয়ার অবশ্যকথা আছে। স্বল্প মূল্য কাঁঠাল হওয়াতে সব শ্রেণীর মানুষ এত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলটি খাওয়া দরকার। আমার ক্ষুদ্র পরিসরে এই ছিল কাঁঠাল সম্পর্কে আলোচনা।
সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ফলমূল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি৷ একেক রকম ফলের একেক গুনাগুন রয়েছে। তাই কাঁঠালেও কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো মানব দেহের জন্য অনেক বেশি দরকার। আজ আপনি কাঁঠালের উপকারীতা নিয়ে হাজির হয়েছেন। গর্ভবতী মহিলাদের পুষ্টি সম্মত খাবার খাওয়া উচিত আর এই তালিকায় কাঁঠালও রাখতে পারে।

বর্তমান সময়ে ফল খাওয়া রিস্কি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ফল ফ্রুট কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার লোভে কেমিক্যাল ব্যবহার করছে। প্রত্যেক সিজনেই নানান রকম ফল ফ্রুট বাজারে দেখা যায়। তাই আমাদের প্রত্যেকের মানব দেহ সুস্থ রাখার জন্য কিছু হলেও ভালো মানের কেমিক্যাল মুক্ত ফল ফ্রুট খাওয়া দরকার। কাঁঠাল তো বেশ উপকারী ফল দামেও সস্তা এর গুনাবলিও ভালো। আমরা তো কাঁঠালকে বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। আমাদের দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল খুবই সম্মান সূচক স্থানে অবস্থান করছে এই ফল। এই ফলকে নিয়ে খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
  ·  last month (edited)

ঠিক বলেছেন আমাদের শরীরে কাঁঠালটা অনেক উপকারী কাঁঠালটি মূলত ছোটবেলা থেকেই আমাদের খাওয়া শুরু হয়ে যায় ছোট কাঠাল কেটে ভর্তা তৈরি করে তারপর বড় হলে পাকলে আমরা কি গরমে সময় কাঁঠাল খেলে প্রচন্ড গরম লাগে আমার বৃষ্টি এবং দিনটি ঠান্ডা থাকবে তখনই কাঁঠাল খেতে খুবই ভালো লাগে।

কাঁঠাল দিয়ে পিঠা খেলে আরো সুস্বাদু হয় এবং কাঁঠালে অনেক প্রকারে পুষ্টিকর খেলে শরীরের অনেক উপকারিতা ধন্যবাদ আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন

সত্যি কথা বলতে কাঁঠাল অনেক উপকারী ফল। আর কাঁঠাল ফল আমরা নানানভাবে খেয়ে থাকি। আমি ছোটবেলা থেকেই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে কাঁঠালের সময় আমাদের বাড়িতে পিঠের উৎসব শুরু হয়। পিঠে দিয়ে কাঁঠাল খেতে খুবই ভালো লাগে। আমরা ভাটি অঞ্চলে থাকার কারণে নৌকা ভরে বাজারে কাঁঠাল নিয়ে আসতো। বাজার থেকে কাঠাল কিনে নিয়ে যেত বাড়িতে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়াতে কাঁঠাল খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ থাকায় কাঁঠাল খাবেন।
ধন্যবাদ।

Loading...

কাঁঠাল আপনাদের দেশে জাতীয় ফল এটা জানা ছিল না। আমাদের দেশে জাতীয় ফল আম। তবে আমি কাঁঠাল কাঁচা কিংবা পাকা দুই অবস্থাতেই সেজে খুব ভালোবাসি। কাঁঠালের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লাগলো।

আমাদের জাতীয় ফল সম্পর্কে জানাতে পেরে আপনাকে খুশি হলাম। আর ভারতের জাতীয় ফল সেটা আমি জানি। আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আসলে গরমের সময় কাঁঠাল হয়তো সবাই খেতে পছন্দ করে না কিন্তু যারা এই কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে তারাই এই কাঁঠালের মজাটা বুঝতে পারবে।

আমি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করি না তারপরও যখন বাড়ির দিকে কেউ কাঁঠাল নিয়ে আসে তখন খায় এটা শরীরের অনেক উপকার করে। আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।

আপনাকে স্বাগত জানাই যে আমার পোস্টটিতে এসে আপনি এত সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। আমি কাঁঠাল খেতে খুব ভালোবাসি আর কাঁঠালের এত পুষ্টিগুণ যা আমাদের মানবদেহে প্রণালীকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কমবেশি কাঁঠাল সবাই পছন্দ করে। তবে অনেকে বলে কাঁঠাল খেলে নাকি গরম লাগে। কিন্তু আমি এটা অনুভব করি না। আশা করি কাঁঠালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনি জেনে গেছেন আর কম-বেশি কাঁঠাল খাওয়ার অভ্যাস করবেন। যা আপনার মানব দেহের অবকাঠামোগুলোকে সতেজ রাখবে। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন ঈশ্বরের কাছে এই কামনা করি।
ধন্যবাদ