নমস্কার''
প্রিয় বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভাল আছেন। ঈশ্বর কৃপায় আমি আমার পরিবার পরিজনদের নিয়ে ভালো আছি। আমি আজ আপনাদেরকে জানাতে চলেছি আমার আজকের দিনের সকল কার্যক্রম গুলো।
আজ আমার দিনটি যে সমস্ত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অতিবাহিত করেছি তার কিছু খন্ড অংশবিশেষ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন শুরু করি।
আজকের ভোরে ছয়টার সময় আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়ার কোপা আমেরিকা ফাইনাল ম্যাচটি দেখার জন্য অফিস থেকে ১ দিনের ছুটি নেই। খেলা দেখার জন্য আমি আমার ফোনে গতরাতে ভোর সাড়ে পাঁচটায় এলার্ম সেট করে রাখি।
এলার্ম তার সময়মতে বেজে ওঠে এবং এলার্মের শব্দে আমি ঘুম থেকে উঠি। তারপর খেলা দেখার জন্য প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আজকের খেলা ত্রুটিজনিত কারণে প্রায় ৭৫ মিনিট পর শুরু হয়। এর ফাকে আমি দাঁত ব্রাশ করে নেই। তারপর চা করে নেই, আমি একটু চা বিস্কুট খেয়ে নেই।
কিন্তু খেলা দেখার আগ্রহে পথ চেয়ে বসে থাকি কখন খেলা শুরু হবে। আমার যেন সময় কাটছিল না খেলা দেখার জন্য। তারপর খেলা ০৭ঃ১৫ মিনিট শুরু হয়। তারপর পুরো খেলা আমি এক টিপে বসে শেষ করি।
আর আমার প্রিয় দল আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় করে নেয়। আমার কি যে আনন্দ হচ্ছিল এবং অন্যদিকে কষ্ট পাচ্ছিলাম তার কারণ আর্জেন্টিনা দলের প্রাণ ভোমরা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় বড় ধরনের ইংরেজিতে পড়ে কেঁদে কেঁদে মাঠ ছেড়ে যায়। সব শেষে প্রিয় দল আর্জেন্টিনা কোপার শিরোপা জিতে নেয়াতে আনন্দ উপভোগ করেছি।
এরই মাঝে সকাল সাড়ে নয়টা বেজে যায় আমার বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বাবা ডেকে আমাকে খুঁজে। মেয়ে ডাক শুনে প্রথমে আমি ওকে গিয়ে খুলে নেই তারপর তাকে আমি দাঁত ব্রাশ করিয়ে দেই।
মেয়ে আমার নুডুলস খেতে খুব পছন্দ করে। তাই ওর মা নুডুলস করে দেয় তা আমি ওকে খাইয়ে দেই। তারপর আমরাও সকালের নাস্তা হিসেবে ডিম পোচ, ব্রেড, কলা দিয়ে নাস্তা সেরে নেই। আমার কিছু কাপড়চোপড় দোয়ার ছিল সেগুলি বালতি জলে ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ভিজিয়ে রাখি।
প্রায় আধা ঘন্টা পর কাপড়-চোপড় গুলি কচে ধুয়ে দেই। বড় মেয়েকে নিয়ে আমি একটু পাশার উঠানে হাটাহাটি করি। এই ফাঁকে আমার স্ত্রী ছোট মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দুপুরের খাবারের জন্য রান্না বসায়। দুপুরে খাবারের রান্নার জন্য গনে মাছ টমেটো দিয়ে ভুনা করে নেয় তার সঙ্গে মসুর ডাল পেঁয়াজ সম্পাসে রান্না করে।
প্রথমে আমি আমার বড় মেয়েকে স্নান করিয়ে দিয়ে লোশন শরীরে মাখিয়ে দেই। আমাকে ছোট মেয়েকে তেল মাখিয়ে স্নান করিয়ে নেয়। তারপর আমি আমার বড় মেয়েকে খাইয়ে দেই। তারপর আমি ও আমার স্ত্রী একসঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।
আমার স্ত্রী ছোট মেয়েকে ঘুম পাড়ানোর জন্য ব্যস্ত। আর আমি আমার বড় মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি।
তারপর রোদে শুকানো কাপড়গুলি ঘরে নিয়ে আসি। তারপর শুয়ে একটু রেস্ট করে নেই।
বড় মেয়েকে নিয়ে পাড়ার রাস্তায় ঘুরতে বের হই। মেয়ে আমার এখন দৌড়াতে পারে। রাস্তায় মেয়ে আমার হাঁস দেখতে পায়। ধানের জমিতে হাঁসগুলো খাবার খাচ্ছিল। তা দেখে আমার মেয়ে হাঁস গুলোকে হাত দিয়ে ডাকে।
তারপর আমার আঙ্গুল ধরে হাঁটতে থাকে। কিছুক্ষণ হাঁটার পর সামনে একটি গরু দেখতে পায়। আমার মেয়ে আবার গরুকে আম্বা বলে হাত দিয়ে ডাকতে থাক। মেয়ে আমার বাজারে যাবে, ওর আবার গাড়ি চড়তে খুব পছন্দ। তাই রাস্তার পাশ থেকে টোটো করে ওকে নিয়ে বাজারে যাই। বাজারে গিয়ে ঘরের জন্য কিছু কেনাকাটা করি।
মেয়ে আমার নিজের জন্য নিজেই পছন্দ করে ম্যাংগো জুস হাতে নেই। তারপর ছোট মেয়ের জন্য মেডিসিন নেব বলে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের দোকানে চলে যাই। ডাক্তারের দোকান থেকে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন নিয়ে নেই। এরই মধ্যে আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। তাই মেয়েকে নিয়ে তাড়াতাড়ি বাসার উদ্দেশ্যে টোটো করে চলে আসি।
আমার স্ত্রী সন্ধ্যা পূজা শেষ করে নেয়। তারপর সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে স্ত্রী চিকেন নুডল রেডি করে। তারপর আমি আমার মেয়ে ও স্ত্রী একসঙ্গে বসে সন্ধ্যার নাস্তা সেরে নেই। তারপর দুজন মিলে একটু দুধ চা খেয়ে নেই।
খাবারের জন্য আমার স্ত্রী রুই মাছ মুখি সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করে। ভারতে কিছু রাজ্যে আবার মুখি সবজিকে ঘাটি কচু বলে ডাকে। রান্না শেষ হলে প্রথমে বড় মেয়েকে আমি খাইয়ে দেই। বড় মেয়ে আবার আমার হাতে খেতে পছন্দ করে।
তারপর ওকে ঘুম পাড়িয়ে আমিও আমার স্ত্রী একসঙ্গে বসে খেয়ে নেই। এভাবে আমার সারাদিনে কার্যক্রম শেষ হয়। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
ধন্যবাদ।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়ার মধ্যকার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের শুরু হয় নাই, আমিও অপেক্ষায় ছিলাম কখন ম্যাচটি শুরু হয়, আর্জেন্টিনা জয়লাভ করাতে খুব ভালো লাগছিল, বাচ্চাদের হাত ধরে হাঁটতে অনেক ভালো লাগে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit