আমি আজ আপনাদের জানাব মিশরীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় পিরামিড সম্পর্কে.....
মিশরীয় সভ্যতা এবং রহস্যের সম্পর্ক যেন আদিকাল থেকেই। প্রাচীনকাল থেকে বহু অমীমাংসিত রহস্যের জাল ছড়িয়ে রয়েছে এই মিশর নগরীতে। আর এর শীর্ষে রয়েছে মিশরীয় পিরামিড। ফারাওদের শাসনামলে তাদের সমাধিস্থল হিসেবে এই সুবিশাল আকৃতির পিরামিডগুলো নির্মিত হয়। মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত গিজা নামক স্থানে গেলে দেখা মিলবে বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বড় পিরামিডটির। এই পিরামিডগুলো কীভাবে তৈরি হয়েছে বা গঠনগত শৈলী নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায় না। সে সময় থেকেই একটা কথা প্রচলিত যে, গিজায় অবস্থিত এই পিরামিডের অভ্যন্তরে রয়েছে এক বিশাল গুপ্ত কুঠুরী। আসুন জেনে নেই পিরামিড ও গুপ্ত কুঠুরী সম্পর্কে কিছু তথ্য।
আজ থেকে প্রায় ৪,৫০০ বছর আগের কথা। ফারাও অধিপতি খুফুর নির্দেশে এক বিশাল এবং সুরক্ষিত সমাধিস্থলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেই সময় মিশরীয়দের বিশ্বাস ছিল যে, মৃত্যুর পরেও তাদের আত্মা বেঁচে থাকে। আর তাই মৃত্যু পরবর্তী সময়ে যেন তাদের কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য শবদেহের সাথে তার প্রয়োজনীয় সবকিছু সহ অর্থ-সম্পদও দিয়ে দেয়া হত। কেউ যেন পরবর্তীতে এগুলো চুরি করতে না পারে, সে কারণে ব্যাপক গোপনীয়তা ও সুরক্ষার সাথে পিরামিড নির্মান করা হতো।
()
গিজার এই পিরামিডটিকে অনেকে খুফুর পিরামিডও বলে থাকেন। এখানে মোট তিনটি সমাধি কক্ষ রয়েছে। সম্রাট খুফু, তার স্ত্রী এবং এই দুইটি কক্ষের তলদেশে আরও একটি ফাঁকা কক্ষ রয়েছে, যা গ্র্যান্ড গ্যালারী নামে পরিচিত।
কথিত আছে, এই পিরামিডের অভ্যন্তরে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে প্রায় ৪৫৫ ফুটের এক বিশাল গুপ্ত কক্ষ। এই কক্ষটি কেন তৈরি হয়েছিল বা এতে কী রয়েছে বা আদৌ এমন কোনো গুপ্ত কক্ষ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে আজও প্রমাণিত হয়নি। প্রাচীনকাল অর্থাৎ পিরামিড তৈরির প্রাক্কাল থেকেই চলে আসা গুঞ্জনের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানী এবং পুরাতত্ত্ববিদেরা।
১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম অনুমতিক্রমে গিজার এই পিরামিডে অনুসন্ধান চলে। অনুসন্ধানকালে সম্রাট খুফুর স্ত্রীর সমাধিকক্ষের আশেপাশে মাইক্রোগ্র্যাভিটির বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় এবং এই কক্ষের সংলগ্ন ঘরটিতে ছিদ্র করা হয় গুপ্ত কক্ষ খুঁজে পাওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু সেরকম কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি সেখানে। কার্যক্রম সেখানেই স্থগিত করে দেয়া হয় এবং গুপ্ত কক্ষের আশাও স্তিমিত হয়ে আসে।
বাকি অংশ অন্য আরেকদিন লিখব।আজ আর সময় করতে পারছি না।