Copyright Free Image - Source : Pixabay
প্রথম পর্বের পর
#১০ হেরোইন (Heroin ) : প্রতি গ্রাম হেরোইনের দাম $৫১৫ ডলার
Copyright Free Image - Source : livescience
পৃথিবীর সব চাইতে বেশি addictive আর সব চাইতে ক্ষতিকর ড্রাগের নাম হলো হেরোইন । হেরোইন সমগ্র পৃথিবীতেই ১০০ শতাংশ অবৈধ । কিন্তু, ড্র্যাগ মাফিয়াদের কাছে হেরোইন খুবই দামি একটি ড্র্যাগ । ১৮৭৪ সালে সর্বপ্রথম আফিম থেকে হেরোইন সংশ্লেষ করা হয় । শুরুর দিকে এটিকে ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো । কিন্তু, পরের দিকে মানব দেহে এর মারাত্মক ক্ষতির দিকটি বিবেচনা করে সারা বিশ্ব জুড়ে নিষিদ্ধ করা হয় । মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সব চাইতে দামি বস্তু হলো হেরোইন ।
#০৯ কোকেন (Cocaine) : প্রতি গ্রাম কোকেনের দাম $৫৩০ ডলার
Copyright Free Image - Source : reachout
কোকেনও হেরোইনের মতো সারা পৃথিবী জুড়ে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ একটা ড্র্যাগ । এটি দক্ষিণ আমেরিকার কোকা নামক একধরণের ভেষজ গাছের পাতা থেকে তৈরী করা হয় । কোকেন মানবদেহের সেন্ট্রাল নার্ভ সিস্টেমকে এটাক করে এবং শরীরে তীব্র সুখানুভূতির অনুভূতি তৈরী করে । প্রধানত শরীরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য নেশাখোররা কোকেন সেবন করে থাকে । কালোবাজারে কোকেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।
#০৮ এলএসডি (Lysergic Acid Diethylamide) : প্রতি গ্রাম এলএসডি'র দাম $৫৩০ ডলার
Copyright Free Image - Source : emaze
লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড বা এলএসডি হলো দুনিয়ার সব চাইতে দামি ড্র্যাগ । এর চাইতে দামি আর কোনো মাদকদ্রব্য দুনিয়াতে পাওয়া যায় না । হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি করে এই ড্র্যাগ । অর্থাৎ, এলএসডি সেবনে আপনার drawing room কে নন্দন কানন মনে হতে পারে । এটি একমাত্র নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক যা সেবনে মানুষের মনে আসক্তি সৃষ্টি করে না । ফলে এলএসড নেশাদ্রব্য হিসেবে তেমন পপুলার নয়, কিন্তু, দামের দিক থেকে অতি উচ্চ মূল্যের । মাত্রাধিক সেবনে মৃত্যু ঘটায় এই ড্র্যাগ ।
#০৭ প্লুটোনিয়াম (Plutonium) : প্রতি গ্রাম প্লুটোনিয়ামের দাম $৪,০০০ ডলার
Copyright Free Image - Source : উইকিপিডিয়া কমনস
প্লুটোনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় মৌল । এর পারমাণবিক সংখ্যা ৯৪ । এই ধাতু রুপোলি ধূসর রঙের । প্লুটোনিয়াম খুবই দামি একটি তেজস্ক্রিয় ধাতু । পারমাণবিক চুল্লিতে, পারমাণবিক বোমা তৈরিতে, পারমাণবিক ব্যাটারি ও বিদ্যুৎ উদ্পাদনে, মহাকাশ যান ও কৃত্রিম উপগ্রহের বৈদ্যুতিক ও তাপশক্তি উদ্পাদনে এবং হার্ট রোগীদের বুকের পেসমেকার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ।
#০৬ পেনাইট (Painite) : প্রতি গ্রাম পেনাইটের দাম $৩,০০,০০০ ডলার
Copyright Free Image - Source : gemsociety
পেনাইট একটি খুবই রেয়ার বোরেট খনিজ । এটি একটি খুবই মূল্যবান জেমস্টোন । পেনাইট বিভিন্ন কালারের হতে পারে । গোলাপি, লাল অথবা বাদামি । এই রত্নটি সর্বপ্রথম ১৯৫০ সালে মিয়ানমারের এক খনিজ গুহা থেকে আবিষ্কৃত হয় । সারা পৃথিবীতে মাত্র শ'দুই পেনাইট রত্ন আছে । এই কারণে এর দাম আকাশ ছোঁয়া ।
#০৫ টাফেইট (Taaffeite) : প্রতি গ্রাম টাফেইটের দাম $৩,২০,০০০ ডলার
Copyright Free Image - Source : pinimg
টাফেইট একটি খুবই রেয়ার রত্ন । পৃথিবীতে হীরের চাইতে ১০ লক্ষ গুণ বেশি রেয়ার হলো টাফেইট, অথচ হীরের চাইতে এর দাম অনেক কম । এর কারণ হলো টাফেইট রত্ন হিসেবে মানুষের কাছে হীরের মতো এত বেশি পপুলার নয় । টাফেইট অনেকগুলো কালারের হয়ে থাকে, যেমন ভায়োলেট, পিঙ্ক, রেড অথবা হোয়াইট ।
#০৪ ট্রিটিয়াম (Tritium) : প্রতি গ্রাম ট্রিটিয়ামের দাম $৩,২২,০০০ ডলার
Copyright Free Image - Source : উইকিমিডিয়া কমন্স
ট্রিটিয়াম হাইড্রোজেনের একটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ । এই গ্যাসটি সপ্রতিভ, অর্থাৎ, বাইরের কোনো শক্তিপ্রবাহ ছাড়াই নিজে নিজে জ্বলে । বায়োমেডিকাল এবং একাডেমিক গবেষণায় ট্রিটিয়াম ব্যবহৃত হয় ।
#০৩ হীরে (Diamond) : প্রতি গ্রাম হীরের দাম $৩,২২,০০০ ডলার
Copyright Free Image - Source : mining
হীরের কথা আমরা কে না জানি । সারা দুনিয়ায় অসংখ্য শেপের, অসংখ্য কাটের, অসংখ্য ধরণের হীরে পাওয়া যায় । হীরের কাটিং আর বিশুদ্ধতার ওপর এর দাম নির্ভর করে । এ ছাড়াও কিছু রেয়ার বর্ণের হীরে আছে যেগুলোর দাম কয়েক কোটি ডলার অব্দি হতে পারে । হীরেই দুনিয়ার সবচাইতে দামী রত্ন । হীরক কিন্তু আসলে কার্বনেরই একটা ক্রিস্টাল রূপ । কোটি কোটি বছর ধরে প্রচন্ড চাপ আর তাপে মাটির নিচে কয়লা হীরকে পরিণত হয় ।
#০২ ক্যালিফোর্নিয়াম (Californium) : প্রতি গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়ামের দাম $২৭ মিলিয়ন ডলার
Copyright Free Image - Source : ccdc
পৃথিবীর সব চাইতে দামি রাসায়নিক পদার্থের নাম হলো ক্যালিফোর্নিয়াম । এটি একটি তেজস্ক্রিয় মৌলিক পদার্থ । এর পারমাণবিক সংখ্যা ৯৮ । নিউক্লীয় রিএক্টরে এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় এটির ব্যবহার সর্বাধিক । এছাড়াও সোনা ও রূপার বিশুদ্ধতা পরিমাপে এবং মাটির তলার তেল স্তর খোঁজার কাজে ক্যালিফোর্নিয়াম ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
#০১ প্রতিপদার্থ (Antimatter) : প্রতি গ্রাম প্রতিপদার্থর দাম $১০০ ট্রিলিয়ন ডলার
Copyright Free Image - Source : উইকিমিডিয়া কমন্স
প্রতিপদার্থ হলো পদার্থের নেগেটিভ ফর্ম, পদার্থের বিপরীত রূপ । যে পদার্থের একটি এটম পজিট্রন এবং এন্টিপ্রোটন দ্বারা নির্মিত হয় সেটিই প্রতিপদার্থ বা এন্টিম্যাটার। এন্টিম্যাটার সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে সব চাইতে দামী বস্তু । এক গ্রাম এন্টিম্যাটার উদ্পাদনের ব্যয় ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো । ভাবতে পারছেন কত টাকা ? অদূরভবিষ্যতে আরো শস্তায় যদি এন্টিম্যাটার উদপাদন করা সম্ভবপর হয় তবে স্পেসক্রাফ্টের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভবপর হবে, তখন সেই স্পেসক্রাফ্টের গতিবেগ হবে অকল্পনীয় ।
দামি বস্তুর তালিকায় আজ প্রথমেই ছিল কিছু নেশাদ্রব্য। সত্যি ওগুলো অনেক মূল্যবান। ট্রিটিয়াম টা দেখতে বেশ চমৎকার এবং আকর্ষণীয়। বেশ লাগছে। তবে সবচাইতে দামী পদার্থ যে এই প্রতিপদার্থ এটা ধারণার বাইরে ছিল একেবারে। সত্যি কী অসাধারণ জিনিস। দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। একেবারে তথ্যবহুল এবং উপকারী একটা পোস্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাবাই যাচ্ছে না!আর কোকেন এর যে এতো দাম এটাও জানতাম না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এ পর্বেও দারুন কিছু তথ্য পেলাম। তবে শুরুর দিকে যে নামগুলো বলেছেন, হেরোইন কোকেন কিংবা এলএসডি এ সম্পর্কে কিছু ধারণা ছিল। তবে বাকিগুলো সম্পর্কে খুব একটা বেশি ধারণা ছিল না। বেশ ভালই উপভোগ করলাম এ ব্লগটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশেষে অনেক দামি দামি কিছু জিনিষ জানতে পারলাম। হীরে মুক্তোর পাশাপাশি নেশাদ্রব্যের দাম শুনে চোখ কপালে উঠে গেলো। এত দাম দিয়েও মানুষ নেশা জাতীয় জিনিষ কিনে খায়। দাদা আশা করি এমন অজানা তথ্য নিয়ে এই আইডির ব্লগ গুলো তৈরী করবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit