এবিবি ফান প্রশ্ন- ৪৭৩ | কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ, কিন্তু কেন?

in hive-129948 •  9 days ago 

Fun Cover-2.png

আমার বাংলা ব্লগের নতুন উদ্যোগ- এবিবি-ফান এ সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ, শুধুমাত্র ভিন্নভাবে কিছু বিষয় নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্যই করা হয়েছে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতিদিন পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে অবশ্যই যারা নিয়মগুলো মেনে এই উদ্যোগের সাথে সংযুক্ত হতে হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতিদিন একটি প্রশ্ন শেয়ার করা হবে, বাস্তব বিষয় নিয়ে যা প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের চারপাশে দেখে থাকি। তারপর সে প্রশ্নের উত্তরটি একটু ভিন্নভাবে দিতে হবে। আমরা প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানতে আগ্রহী নই কিংবা সঠিক উত্তরটি জানতে চাই না। বরং প্রশ্নটির ভিন্ন ধরনের এবং মজার কিছু উত্তর জানতে চাই। সুতরাং যে প্রশ্ন করা হবে, সেই প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার নিজের ক্রিয়েটিভিটি, সৃজনশীলতা এবং মজার চিন্তা ভাবনা জানাতে হবে, যার ক্রিয়েটিভিটি যত বেশী আকর্ষণীয় ও মজার হবে, সে বিজয়ী হওয়ার ততো বেশী সম্ভাবনা তৈরী করতে পারবে। যেমন, প্রশ্ন করা হলো আকাশের রং কেন নীল? উত্তরগুলো এই রকম হতে পারে, আকাশের বউয়ের মন খারাপ, আকাশের বান্ধবীর পছন্দের রং নীল, এই রকম মজার মজার নানা ধরনের উত্তর দিতে পারবেন আপনারা। আশা করছি সকলের অংশগ্রহণে উদ্যোগটি সফলতা পাবে।

আজকের প্রশ্নঃ

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

প্রশ্নকারীঃ

@shuvo35

প্রশ্নকারীর অভিমতঃ

অভিজ্ঞদের মতামত চাই।

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • উত্তরটি সর্বোচ্চ ৫০ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একবারই উত্তর দিতে পারবে।
  • অন্যের উত্তর কপি করা যাবে না।
  • উত্তর/কমেন্টটি অবশ্যই উপরের কবিতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে।
  • এডাল্ট উত্তর/কমেন্ট দেয়া যাবে না।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner_3_years.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাঙালি বলে কথা।😃 কারো ভালো কিছু হলে অন্যজন ভাবে তার বুঝি সর্বনাশ হলো। কারণ বাঙালি কারো ভালো কিছু দেখতে পারে না।

এর যথাযোগ্য কারণ হচ্ছে প্রকৃতির টিকে থাকা। কারো পৌষ মাসে যদি কারো সর্বনাশ না হতো তাহলে হয়তো কোন কিছুই টিকতো না। ভারসাম্যহীন হয়ে যেত। যেমন ধরুনঃ কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলো, সেখানে যারা আহত বা নিহত হয়েছে তাদের সর্বনাশ হয়েছে। কিন্তু ভাঙ্গারি মাল বিক্রেতার জন্য এটা পৌষ মাস হয়ে গেছে। আবার হসপিটালের মালিকের জন্য এটা পৌষ মাস হয়ে গেছে। ফার্মেসি মালিক, এমনকি ঔষধ কোম্পানির জন্যও এটা পৌষ মাস হয়ে গেছে। এমনটা না হয়ে যদি সবারই সর্বনাশ কিংবা সবারই পৌষ মাস হতো তাহলে হয়তো এই প্রকৃতি ভেঙে যেত। টিকত না।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

এটার কারণ পৃথিবীতে একটা অর্জনের জন্য বেশ কয়েকজন চেষ্টা চালিয়ে যায় । আপনি জিতেছেন এর অর্থ পৃথিবীতে কেউ না কেউ হেরেছে। এইজন্যই বলা হয় কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ। যে পায় তার পৌষ মাস আর যে হারায় তার সর্বনাশ।

হ্যাঁ ভাইয়া যে কোন অর্জনের জন্য বেশ কয়েকজন চেষ্টা চালিয়ে যায়। যারা সফল হয় তারাই পৌষ মাস।

সহজ কথায় যারা অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে পারে তাদের জন্য পৌষ মাস। আর যে কাঁঠালটি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার সর্বনাশ। আর যারা প্রেম করে বিয়ে করেছে তাদের পৌষ মাস। আর যারা ছ্যাকা খেয়ে ধোঁকা খেয়ে সিগারেট খাচ্ছে তাদের সর্বনাশ হাহা।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

এটি একটি বাংলা প্রবাদ, যার মানে হচ্ছে একজনের আনন্দের বিষয় অন্যজনের কাছে কষ্টের কারণ হতে পারে। যেমন অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকদের থাকে নতুন ধানের আনন্দ, আর গরিবদের থাকে শীতের কষ্ট কিংবা ছোটরা ফড়িং ধরে ধরে আনন্দ করে কিন্তু তাদের এই আনন্দ ফড়িং এর জন্য সর্বনাশের কারণ, ফড়িং মারাও যায় অনেকসময়।

চমৎকার যুক্তি দিয়েছেন তো ভালই লাগলো আপনার কথাগুলো।

দুনিয়াটাই এমন ভাই।কারো পৌষ মাস হয় আর কারো সর্বনাশ হয়।যেমন এইবার বন্যায় অনেকগুলো মাছের খামার ভেসে গিয়েছে এবং সবগুলো মাছ রাস্তা ঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে যারা মাছ ধরেছে তাদের পৌষ মাস হয়ে গেল। আর যারা কষ্ট করে মাছ চাষ করেছিল তাদের সর্বনাশ হলো।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

যে বিপদে পরে সেই বোঝে কত ধানে কত চাল। আর যে বিপদে ফেলে আনন্দ পায় তার তো পৌষ মাস হবেই।
তবে আবার এক মাঘে শীত যায় না, হয়তো খুব তাড়াতাড়ি তার সর্বোনাশ হবেই।

আসলেই ভাই । আমিও এটাই মনে করি।

এই শীতের পৌষ মাসে যারা বিয়ে করবে তাদের জন্য পৌষ মাস। আর যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা তাদের জন্য সর্বনাশ হাহাহা।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

একটি ছেলে পাঁচ বছর একটি মেয়ের সাথে প্রেম করার পর,যখন টম ইমাম কিংবা মুশতাকের মতো বুইড়া বেটা টাকার জোরে সেই ছেলের গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করে ফেলে,তখন তো সেই ছেলের সর্বনাশ হবেই,আর সেই বুইড়া বেটার পৌষ মাস হবে 🤣🤣।

এই দুইজনকে দেখলেই তো মেজাজ গরম হয়ে যায়। টম ইমামকে দেখলে তো মনে হয় মাথাটা ফাটিয়ে দেই। আর মোস্তাককে দেখলে তো মনে হয় চুলগুলো টেনে ছিড়ি।

ভাইয়া আপনার যুক্তিটা ভাল লাগলো। সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন।

ধরে নিন আপনি আপনার বউয়ের সাথে শপিং করতে গিয়েছেন। আপনার বউ তার পছন্দের জিনিসগুলো পর্যায়ক্রমে কিনছে আর আপনাকে দিয়ে সেগুলোর পেমেন্ট করাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনার সর্বনাশ আর আপনার বউয়ের জন্য পৌষ মাস।

বাপরে বাপ দারুন উদাহরণ দিয়েছেন। শপিং যে করছে তার তো পৌষ মাস। আর যার পকেট ফাঁকা হচ্ছে তার পুরাই সর্বনাশ।

উদাহরণ কিন্তু অসাধারণ। এই ক্ষেত্রে পুরুষ লোকটি একটু পিছে থাকা দরকার ছিল। তাহলে তাকে দিয়ে আর পেমেন্ট করানো যেত না।

কারো পৌষ মাস মানে বউয়ের খুশি—পিঠা, পুলি, খেজুরের রস! আর কারো সর্বনাশ, কারণ বউয়ের আদেশ, "পিঠা বানানোর উপকরণ আনো! খেজুরের রস কিনো!" এরপর বাজারে দাম শুনে স্বামী বেহুঁশ। আর বউ রেগে বললো, "তোমার মতো শখহীন মানুষ দিয়ে জীবনটাই বরবাদ!" 😆

এখানে তো উল্টোটা হওয়ার কথা ছিল। ছেলেরাই তো মেয়েদেরকে পাগল করিয়ে দেয় বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য।

এইটা বউয়ের আঁচলের নিচে পড়ে থাকা জামাই আরকি😆😆

বাজারের লিস্ট হাতে ধরিয়ে দিলে তো বিপদ। আর একদিকে বাজারের চড়া দাম অন্যদিকে জিনিসপত্র কিনতে কিনতে হয়রান।

আর ঠিক এই জন্যই বউয়ের পৌষ মাস আর জামাই এর সর্বনাশ। 😆😆

অভিজ্ঞতা মনে হয় ভালই আছে। আসলে গরম হয়ে কথা বললে রাগ করে হয়তো বা পিঠাগুলো রেখে যেতেন। এই কারণে অন্যজন মজা করে খেতে পারতো।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

কারো জীবন নতুন করে শুরু, আবার কারো জীবন চিরতরে শেষ। আর এটা দেখলেই বোঝা যায় কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ।

কেউ জীবন নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত কেউবা ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কায় সব সময় চিন্তিত। এভাবেই হয়তো জীবনের সমীকরণ পাল্টে যায় আপু।

হ্যাঁ আপু নতুন জীবন যারা শুরু করেন তাদের তো পৌষ মাসে হবে। আর যাদের জীবন শেষ তারা সর্বনাশ। আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো।

এ তো দেখছি বিয়ে বাড়ির বরের মত অবস্থা। একদিকে বিয়ে মানে বরের স্বাধীনতার সর্বনাশ অন্যদিকে বরযাত্রীর পৌষ মাস। 😆

এই শীতে যারা নতুন নতুন বিয়ে করবে তাদের পৌষ মাস। আর যারা আগেই বিয়ে করেছে এই শীতে তাদের সর্বনাশ হবে।কারণ শীতের পোশাক কিনে নিয়ে আর রান্না নিয়ে বউ প্যারা শেষ নাই।

হা হা হা 🤣🤣🤣

তাহলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলেন ভাই। তাহলে তো আপনি পৌষ মাসের মধ্যে পড়বেন।

কেউ প্রেম করে ধোঁকা খাই আবার কেউ সফল হয়। যে ছ্যাঁকা খাই তার তো সর্বনাশ হবেই😀😀। আর যে ব্যক্তি সফল হয় মনের মানুষকে পাই তার তো মনে আনন্দ বা পৌষ মাস হয়। আবার আমাকে কেউ প্রেমের টিচার বলেন না🫣🫣 হা হা হা।

ছ্যাকা খেলেই বরং বেঁচে যায় আপু। না হলে আরও বেশি পকেট ফাঁকা হয়ে যেত। দারুন বলেছেন আপনি।

আপু বর্তমান সময় ধোঁকা বেশি দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে পৌষ মাস এবং সর্বনাশ দেখাই যায় কারো কারো ক্ষেত্রে।

বর্তমান সময় হচ্ছে স্বার্থের যুগ। এই যুগে কারো পৌষ মাস আবার কারো সর্বনাশ। আসলে কিছু মানুষ সুবিধা নেই অন্যের ক্ষতি করে। আর তারাই লাভবান হয়। আর অন্যের ক্ষতি করলে সেই নিঃস্ব হয়ে যায়। ভালোবাসার ক্ষেত্র এইরকম দেখা যায়।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

সরকারি চাকরি ওয়ালা লোকগুলো যেমন অল্প বয়সী মেয়েদেরকে বিয়ে করে, অন্যদিকে টাকার জন্য হারিয়ে ফেলা ভালোবাসার জন্য কেউ কাঁদে। এটাই কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ।

সরকারি চাকরি ওয়ালা লোকের মধ্যে মধু আছে বেশি। তবে অনেক সময় তাদের মাথা চুলও থাকেনা।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কিন্তু কেন?

সহজ হিসাব যারা পুশ কয়েন কিনেছে তাদের পৌষ মাস আর যারা কিনেনি তাদের সর্বনাশ। আমারতো তাই মনে হয়।

কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ, কিন্তু কেন?

যদি কারো ভালো সময় অতিবাহিত হয় সেটা হচ্ছে পৌষ মাস। যদি কারোর খারাপ সময় অতিবাহিত হয় সেটা হচ্ছে সর্বনাশ। সিম্পুল উত্তর দিলাম 🤣🤣🤣

ভালো সময় কিংবা মন্দ সময় মিলেই হচ্ছে জীবন। তবে আমরা পৌষ মাস উপভোগ করি তবে সর্বনাশটা মেনে নিতে পারি না। 😆

ভাইয়া কিছু লোক আছে মানুষের ক্ষতি করে ভালো সুযোগ নেই। তাদের পৌষ মাস।

কারন একদল বসে বসে আরাম-আয়েশে খাবে, আর এক দল বসে বসে হা করে তাকিয়ে দেখবে আর লুচির মতো ফুলবে।☺️☺️

ফুলতে ফুলতে তো ব্লাস্ট হয়ে যাবে।

☺️☺️ ছোট্ট একটা বিস্ফোরণ না হলে কি জমে। হি হি

আমরা সাধারণত জানি পৌষ মাস অনেক শীত হয়, যাদের পাশে বউ ঘুমায় তারা পৌষ মাসকে অনেক সুন্দর ভাবে উপভোগ করে, আর যাদের বউ নেই তারা শীতকে উপভোগ করে এবং অসুস্থ হয়, এজন্য বলা হয়েছে কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ