শব্দের প্রচলিত ব্যবহারের কথা নিশ্চয়ই আর কাউকে আলাদা করে বলতে হবে না, আমরা কথা বলি গান শুনি, ডাক্তাররা হৃৎস্পন্দন শোনেন, ইঞ্জিনিয়াররা যন্ত্রপাতির শব্দ শোনেন ইত্যাদি ইত্যাদি। শব্দের আরো নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে, যার কথা আমরা হয়তো শুনিনি। সন্তানসম্ভবা মায়ের গর্ভে নবজাতক শিশুটি বড় হয়, বাইরে থেকে তাকে দেখার জন্য আগে কোনো উপায় ছিল না, এখন আলট্রাসনোগ্রাফি নামে একটি প্রক্রিয়ায় সেটি দেখা সম্ভব হয়।
মাটির নিচে গ্যাস বা তেল আছে কি না দেখার জন্য সিসমিক সার্ভে করা হয়। এটি করার জন্য মাটির খানিকটা নিচে ছোট বিস্ফোরণ করা হয়, বিস্ফোরণের শব্দ মাটির নিচের বিভিন্ন স্তরে আঘাত করে প্রতিফলিত হয়ে উপরে ফিরে আসে।
জিওফোন নামে বিশেষ এক ধরনের ডিভাইস আছে। মাটির নিচের নিখুঁত ত্রিমাত্রিক ছবি বের করে কোথায় গ্যাস বা কোথায় তেল আছে সেটা বের করে আনে। শব্দের উৎস এবং জিওফোন দুটির দূরুত্ব এবং সময় বের করে তেল বা গ্যাস এর অবস্থান দেখা হয়। প্রায় একই রকম প্রক্রিয়া ব্যবহার করে গভীর সমুদ্রের গভীরতা নির্নয় করা হয়। এক্ষেত্রে সাগরের উপর থেকে তরঙ্গ প্রেরন করে তরঙ্গদৈর্ঘ বের করা হয়। জ্যামিতিতে ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্র দ্বারা তিনটি স্থানাংক প্রকাশ করা হয়। এতে তিনটি অক্ষ নির্ধারণ করা হয়, এবং প্রত্যেকটি অন্য দুটির ওপর লম্ব, এবং তিনটির পরষ্পরকে ছেদ করা স্থানে এই প্রণালীর কেন্দ্র অবস্থিত। এই তিনটি অক্ষ সাপেক্ষে কোনো বিন্দুর অবস্থান তিনটি সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়। প্রত্যেকটি সংখ্যাই কেন্দ্রের উপর নির্দিষ্ট অক্ষের অভিমুখে বিন্দুটির দূরত্ব বোঝায়, সেই দূরত্ব অন্য দুটি দিককে গঠন করা তলের উপর বিন্দুটির সরনের সমান। ত্রিমাত্রিক ব্যবস্থায় একটি বিন্দুর বর্ণনা করার জন্য অন্য প্রণালীগুলি হল চোঙাকৃতির স্থানাংক এবং গোলকীয় স্থানাংক, এভাবে অগণিত প্রণালী পাওয়া যায়। রৈখিক বীজগণিতের তিনমাত্রা বোঝাতে অন্য একটি গাণিতীক নিয়ম আছে, যেখানে মাত্রার উপর
একটি স্বনির্ভরশীলতার ধারণা নেওয়া প্রয়োজনীয়। কোনো স্থানের তিনটি মাত্রা থাকে,কখনো ঘনবস্তুর দৈর্ঘ এর প্রস্থ বা উচ্চতার ওপর নির্ভরশীল নয় এবং এটি একটি স্বাধীন মাত্রা।
রৈখিক বীজগণিতের মতে কোনো এক স্থানে ত্রিমাত্রীক যেহেতু কোনো স্থানের একটা বিন্দুকে আমরা তিনটি স্বাধীন স্থানাংক ভেক্টরএর রৈখিক সংযোগ বলে দেখতে পাই। এই দৃষ্টিকে আমরা স্থান কাল এর চতুর্মাত্রীয় বলতে পারি, যেহেতু কোনো এক সময় অন্য তিনটি মাত্রার ওপর নির্ভরশীল স্বাধীন মাত্রা নয়। পদার্থ বিজ্ঞানে ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে চতুর্মাত্রীক ক্ষেত্রটির ওপর সম্পর্কের ক্ষেত্র বলে ধরে নেওয়া হয়। চতুর্মাত্রীক ক্ষেত্রটিকে বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদ বলে। ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রের অন্য কিছু ধর্ম -বৈশিষ্ঠ আছে যা একে অন্য মাত্রার ক্ষেত্রের থেকে আলাদা বলে প্রমাণ করে, যেমন, একটি সুতোকে বাঁধতে আমাদের কমপক্ষে তিনটি মাত্রা প্রয়োজন হয়।
এত কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
Source সহ কপিরাইট ফ্রি ফটো অথবা নিজের ফটো ছাড়া এই কমিউনিটিতে কোন ধরনের ইমেইজ ফাইল শেয়ার করা নিষেধ। সংশোধন করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি এখন চিন্তা করেছি, গুগল থেকে আর কোনো ছবিই নিবো না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছবি গুলো তো গুগল থেকে নিয়ে ফটোশপ দিয়ে এডিট করেছি, তবুও কি কপিরাইট থাকবে?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit