আমার কবিতা-
চিরন্তনী বাণী
আমি এখনও অসুস্থ,
শুনতে শুনাচ্ছে বিরক্ত,
ভয় নেই আমি অনেক শক্ত,
আজ কাঁদিতেছে বাতাস কাঁদিতেছে ভুবন,
কাঁদিতেছে মনহীনা লোক কাঁদিতছে গগন।
দিনপতির ভালো নেই মন,
হবে কী আর কথোপকথন?
দাঁড়িয়ে আছে সুবিশাল মহীধর,
বসার অপেক্ষায় দিনরাত ভর।
চিরবিদায় হবে মহাপ্রস্থান দারা,
পারিজাতের গায়ে এখন পাপের ছায়া।
অমরাবতী মানুষ কিনতে চায়,
না হয়ে যৌবনে সত্যকার সতী।
পশুরাজ যেমন অন্য পুশু খায়,
অমানুষ মানুষের রক্ত চায়।
ধনীরা চায় সুখ আর গরীবেরা ধন,
এরজন্য আপনহয় পর আর পর আপন,
প্রকৃত সুখী সেই যার আছে ধার্মিক মন।
ইহা আমি বুঝিনা আমি শক্তিশালী,
ধনী হবো দিয়ে পরের চোখে বালি।
ইহাই ঠিক ইহাই গৃহীত সুখেরপাত,
কে হাসবে পেটে না থাকলে ভাত?
হতভাগার কথার করো রাগ,
দাও মনে আছে যত অভিশাপ।
অন্তরীক্ষ কী পুড়ে পাবকে?
প্রেমিক কাঁদে না চাবুকের আঘাতে।
রসিক বাঁচে হাসির কারণে
বন্ধুত্ব থাকবে না বন্ধুহীনা গোপনে!!
সকলে বাঁচুক সথ্যপথে সকলের জন্যে।
নিজেকে ফিরে পাবার অব্যক্ত আহবান নিজের প্রতি
শুরু হয়েছে দিন গণনার, শেষ কবে হবে জানা নেই।
শেষ হোক বা না হোক গুনেই যাবো, তাতে মনে হয় মানা নেই।
দেহ মন বলে দিবে গুনিসনে ভাই, প্রহর গুণার সময় শেষ।
গুনতে গুনতে হয়তো ষাট প্রহর বিলীন, নিস্তব্ধ পরিবেশে,
জনাকীর্ণহীন আকাশ, রৌদ্রে ফাটা চৌচির জমিন,শীতের স্নিগ্ধ বাতাস।
হয়তো জীর্ণ শীর্ণ শরীরে রোগ মহাশয় এসে বাসা বাধবে।
হয়তো হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হবো,
জানি না হয়তো তোমরা সেদিন কাদবে।
সৃষ্টিকর্তার কৃপায় হয়তো ফিরে আসবো,
সেদিন হয়তো তোমরা দেখবে আমি এখনকার আমি নই।