করোনা মহামারীতে সব প্রায় সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে প্রায় আঠারো মাস ধরে বন্ধ ছিল স্কুল,কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ভিত্তিক কিছু ক্লাস চালু রাখলেও সম্পূর্ণ ভাবে পিছিয়ে ছিল স্কুল কলেজ।আবার শহরের শিক্ষার্থীরা বাসায় হোম টিউটর রাখলেও গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বাহিরে ছিল। বছর শেষে এসাইনমেন্ট দিলেও ছিল কপি পেস্ট। বইটা খুলেও দেখেনি শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি আর শিক্ষার বাহিরে থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগছে। আমরা বিভিন্ন গবেষণায়,পত্রিকায়,টিভির খবরে দেখতে পেরেছি করোনার প্রভাবে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যায় ভুগছে, এসময় আত্নহত্যা ও আত্নহত্যার প্রবণতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক চাপ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ভিতরে, ক্ষোভ, হতাশা,বিষন্নতা, জেদ, অতিরাগ,একাকিত্ব মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সামাজিকীকরণের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে শিশুর মানসিক বিকাশ ও শারিরীক বিকাশ ব্যহত হয়েছে।আমরা জানি শিশুর মানসিক বিকাশে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের এই সামাজিকীকরণের দায়িত্ব পুরোটা পরিবারের উপর পরেছে যার ফলে বাবা-মাদের সাংসারিক সমস্যার বলি হতে হচ্ছে এবং বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সত্যি কথা বলতে শিশুর মানসিক বিকাশে কোনো পরিবারই আদর্শের মাপকাঠিতে এক না। এর প্রধান কারণ প্রতিটি পরিবারেই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে যেমন- অর্থনৈতিক সমস্যা,কলহ,আবাসনের ঘাটতি এসবের মাঝে শিশুর সামাজিকীকরণের অতিরিক্ত চাপ পরিবারের সদস্যদের উপর এসে পড়েছে এবং আচার-আচরণ ও কথা বার্তায় তা ফুটে উঠেছে। ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মাঝে হিংসাত্মক মনোভাব দেখে দিয়েছে।আমাদের কেউ কেমন আছি জিজ্ঞাস করলেই বলে ফেলি ভালো লাগছে না,বাড়িতে থেকে থেকে বোর হয়ে গেলাম।
এখন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বলি আমি বলব সব থেকে ভয়ংকর খারাপ অবস্থায় আছে তারা কারণ এমন একটি সময় তাদের জীবনের অধ্যায় থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে যখন কিনা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার সময়,পরিবারকে সাপোর্ট দেবার কথা,জীবন-সঙ্গী নির্বাচন করার কথা, এটি নিজেকে নতুন উদ্যমে আবিষ্কার করার সময়,নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সময়। আমাদের এই বয়সে অর্জিত অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেয় আমরা আগামীতে কি করব,কোন পথে চলব। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরিকল্পনা মাফিক কিছু করতে না পারায় চরম হতাশায়, বিষন্নতায় দিন পার করছে,থমকে গেছে জীবনেত ছন্দ, বদলে গেছে জীবনের স্বাভাবিক গতি। অনেক শিক্ষার্থী বাহিরে বের হতে না পেরে,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে না পেরে একধরনের মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে,অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে,বিষন্নতার পর্দা ছিড়ে আজ আলো ফুটেছে এই এমন এক আলো যার রশ্মিতে অসংখ্য স্বপ্ন বোনা শুরু করবে,স্কুল কলেজ,পথে প্রান্তরে প্রাণের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে,প্রেমিকের মনে ভালবাসার মলিন সুর আজ রঙিন সুরে রুপ নিয়েছে। আজ এমন একটি দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু করেছে নবউদ্দিপনা,নব জাগরণ। আজ তারা গল্প করবে সেই বাস্তব জীবনের গল্প,করুন এক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল তাদের তরুণ হৃদয়। মানুষ গড়ার বিদ্যাপিঠে আজ প্রাণের সঞ্চার হয়েছে,নদীতে যেমন জোয়ার আসলে নদী প্রাণ ফিরে পায় ঠিক তেমনি। শুভ হোক নব্য উদ্যমে পথচলা।আর যেন থমকে দাঁড়াতে না হয় আমাদের জীবন পথে,আজ স্বপ্ন দেখার দিন আজ উৎসবের দিন,আজ প্রেমিকের হাত স্বপ্ন তুলে দেওয়ার দিন।
আপনার সবগুলো পয়েন্ট অনেক ভাল লেগেছে তবে এটা সত্যি যারা বন্ধুবান্ধবের সাথে কথা বলতে পারে না একসাথে একঘেয়েমি হয়ে বসেছিল এতদিন তাদের মধ্যে অনেক কিছুই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাদের মেজাজ আগের চেয়ে অনেক খিটখিটে হয়ে গেছে, কোন কথা বললে তারা শোনে না একদম অনেকটা পাগলের মতোই হয়ে গিয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা টি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে করোনা মহামারীতে শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছে। এখন কেউ ঠিক করে পড়াশুনা করে না, বলতে গেলে টোটালি করে না। আগের মতো অবস্থায় ফিরে আসতে গেলে অনেক সময় লাগবে। আমাদের এদিকেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আলোচনা করছে, আবার না সব করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা দাদা খুব উভয়সংকটে আছে সবাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু, ছেলে মেয়েদের মাঝেও এমন মনভাব দেখা দিয়েছে। কথাই বলা যায় না মন খিট খিটে থাকে। সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি অবশেষে বিশ্বাস করলাম যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। যাই হোক এই প্রত্যাশায় ছিল সকল শিক্ষার্থী।
এটা একদম সত্য কথা বলেছেন আপনি।
আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর হয়েছে।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবনের শ্রেষ্ট সময় ছাত্রজীবন তা এই অতিমারীর জন্য যে ভাবে নষ্ট হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও চিন্তার বিষয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা ভাইয়া আবার নতুন করে গড়ব মোরা নতুন ভবিষ্যৎ। ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন আপু।করোনা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে।কিন্তু স্কুল খোলায় তারা মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারবে।ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit