# আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিন || শিক্ষার্থীদের ঘরে ও মনে করোনার প্রভাব (10% beneficiaries for @shy-fox)

in hive-129948 •  3 years ago 

kids-160168_1280.png

Source pixabay

করোনা মহামারীতে সব প্রায় সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে প্রায় আঠারো মাস ধরে বন্ধ ছিল স্কুল,কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ভিত্তিক কিছু ক্লাস চালু রাখলেও সম্পূর্ণ ভাবে পিছিয়ে ছিল স্কুল কলেজ।আবার শহরের শিক্ষার্থীরা বাসায় হোম টিউটর রাখলেও গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার বাহিরে ছিল। বছর শেষে এসাইনমেন্ট দিলেও ছিল কপি পেস্ট। বইটা খুলেও দেখেনি শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি আর শিক্ষার বাহিরে থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগছে। আমরা বিভিন্ন গবেষণায়,পত্রিকায়,টিভির খবরে দেখতে পেরেছি করোনার প্রভাবে প্রায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যায় ভুগছে, এসময় আত্নহত্যা ও আত্নহত্যার প্রবণতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক চাপ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের ভিতরে, ক্ষোভ, হতাশা,বিষন্নতা, জেদ, অতিরাগ,একাকিত্ব মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সামাজিকীকরণের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে শিশুর মানসিক বিকাশ ও শারিরীক বিকাশ ব্যহত হয়েছে।আমরা জানি শিশুর মানসিক বিকাশে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের এই সামাজিকীকরণের দায়িত্ব পুরোটা পরিবারের উপর পরেছে যার ফলে বাবা-মাদের সাংসারিক সমস্যার বলি হতে হচ্ছে এবং বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সত্যি কথা বলতে শিশুর মানসিক বিকাশে কোনো পরিবারই আদর্শের মাপকাঠিতে এক না। এর প্রধান কারণ প্রতিটি পরিবারেই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে যেমন- অর্থনৈতিক সমস্যা,কলহ,আবাসনের ঘাটতি এসবের মাঝে শিশুর সামাজিকীকরণের অতিরিক্ত চাপ পরিবারের সদস্যদের উপর এসে পড়েছে এবং আচার-আচরণ ও কথা বার্তায় তা ফুটে উঠেছে। ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মাঝে হিংসাত্মক মনোভাব দেখে দিয়েছে।আমাদের কেউ কেমন আছি জিজ্ঞাস করলেই বলে ফেলি ভালো লাগছে না,বাড়িতে থেকে থেকে বোর হয়ে গেলাম।

man-4957154_1920.jpg

Source pixabay

এখন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বলি আমি বলব সব থেকে ভয়ংকর খারাপ অবস্থায় আছে তারা কারণ এমন একটি সময় তাদের জীবনের অধ্যায় থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে যখন কিনা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার সময়,পরিবারকে সাপোর্ট দেবার কথা,জীবন-সঙ্গী নির্বাচন করার কথা, এটি নিজেকে নতুন উদ্যমে আবিষ্কার করার সময়,নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সময়। আমাদের এই বয়সে অর্জিত অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেয় আমরা আগামীতে কি করব,কোন পথে চলব। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরিকল্পনা মাফিক কিছু করতে না পারায় চরম হতাশায়, বিষন্নতায় দিন পার করছে,থমকে গেছে জীবনেত ছন্দ, বদলে গেছে জীবনের স্বাভাবিক গতি। অনেক শিক্ষার্থী বাহিরে বের হতে না পেরে,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে না পেরে একধরনের মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে।

education-3670453_1920.jpg
Source pixabay

কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে,অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে,বিষন্নতার পর্দা ছিড়ে আজ আলো ফুটেছে এই এমন এক আলো যার রশ্মিতে অসংখ্য স্বপ্ন বোনা শুরু করবে,স্কুল কলেজ,পথে প্রান্তরে প্রাণের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে,প্রেমিকের মনে ভালবাসার মলিন সুর আজ রঙিন সুরে রুপ নিয়েছে। আজ এমন একটি দিন শিক্ষার্থীদের মাঝে শুরু করেছে নবউদ্দিপনা,নব জাগরণ। আজ তারা গল্প করবে সেই বাস্তব জীবনের গল্প,করুন এক অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল তাদের তরুণ হৃদয়। মানুষ গড়ার বিদ্যাপিঠে আজ প্রাণের সঞ্চার হয়েছে,নদীতে যেমন জোয়ার আসলে নদী প্রাণ ফিরে পায় ঠিক তেমনি। শুভ হোক নব্য উদ্যমে পথচলা।আর যেন থমকে দাঁড়াতে না হয় আমাদের জীবন পথে,আজ স্বপ্ন দেখার দিন আজ উৎসবের দিন,আজ প্রেমিকের হাত স্বপ্ন তুলে দেওয়ার দিন।

received_1699772656872624.jpeg

আমি @abidatasnim একজন নিয়মিত ব্লগার। আমি বাংলাভাষায় কথা বলতে লিখতে ভালবাসি। আমাকে এই ধরণের প্লাটফর্মে লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন @rme দাদার প্রতি। আমি বই পড়া,মুক্ত চিন্তা,ভ্রমণ করা ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে ভালবাসি। আমার জন্য সবাই দোয়া রাখবেন।

পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার সবগুলো পয়েন্ট অনেক ভাল লেগেছে তবে এটা সত্যি যারা বন্ধুবান্ধবের সাথে কথা বলতে পারে না একসাথে একঘেয়েমি হয়ে বসেছিল এতদিন তাদের মধ্যে অনেক কিছুই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাদের মেজাজ আগের চেয়ে অনেক খিটখিটে হয়ে গেছে, কোন কথা বললে তারা শোনে না একদম অনেকটা পাগলের মতোই হয়ে গিয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা টি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।

  ·  3 years ago (edited)

বর্তমানে করোনা মহামারীতে শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে গিয়েছে। এখন কেউ ঠিক করে পড়াশুনা করে না, বলতে গেলে টোটালি করে না। আগের মতো অবস্থায় ফিরে আসতে গেলে অনেক সময় লাগবে। আমাদের এদিকেও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আলোচনা করছে, আবার না সব করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

হা দাদা খুব উভয়সংকটে আছে সবাই।

কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে,অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে,বিষন্নতার পর্দা ছিড়ে আজ আলো ফুটেছে এই এমন এক আলো যার রশ্মিতে অসংখ্য স্বপ্ন বোনা শুরু করবে,স্কুল কলেজ,পথে প্রান্তরে প্রাণের জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে,প্রেমিকের মনে ভালবাসার মলিন সুর আজ রঙিন সুরে রুপ নিয়েছে।

ঠিক বলেছেন আপু, ছেলে মেয়েদের মাঝেও এমন মনভাব দেখা দিয়েছে। কথাই বলা যায় না মন খিট খিটে থাকে। সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।

আমি অবশেষে বিশ্বাস করলাম যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। যাই হোক এই প্রত্যাশায় ছিল সকল শিক্ষার্থী।

অনেক শিক্ষার্থী বাহিরে বের হতে না পেরে,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে না পেরে একধরনের মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে।

এটা একদম সত্য কথা বলেছেন আপনি।
আপনার উপস্থাপনা খুবই সুন্দর হয়েছে।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া

জীবনের শ্রেষ্ট সময় ছাত্রজীবন তা এই অতিমারীর জন্য যে ভাবে নষ্ট হয়েছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও চিন্তার বিষয়।

হা ভাইয়া আবার নতুন করে গড়ব মোরা নতুন ভবিষ্যৎ। ধন্যবাদ ভাইয়া

খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন আপু।করোনা শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে।কিন্তু স্কুল খোলায় তারা মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারবে।ধন্যবাদ আপু।

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু