# শতবর্ষী বৃক্ষ সংরক্ষণ ( 10% beneficiaries for @shy-fox)

in hive-129948 •  3 years ago 
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। @amarbanglablog এর দীর্ঘস্থায়ী কামনা করছি। আমি যেন আজীবন এই কমিউনিটির সাথে সংযুক্ত থেকে মেধা,মনন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিটিকে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারি এই প্রচেষ্টাই থাকবে। @amarbanglablog এর মাধ্যমে আমি প্রতিদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি, জ্ঞানের পরিধিকে সমৃদ্ধি করছি। আমি বরাবর বিভিন্ন সময় সম্পর্কে আমার চিন্তা ভাবনা তুলে ধরতেই পছন্দ করি। আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে লেখব তা হচ্ছে আমাদের শতবর্ষী বৃক্ষরাজি নিয়ে।

received_329362098763100.jpeg
এই ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্তরে ঐতিহাসিক গাছের ছবি। যে গাছের ছায়াতলে হাজারো কাব্য,কবিতা,গান, সাহিত্য রচনা হয়েছে। যুগ যুগ ধরেএই গাছটি তার ছায়াতলে প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়ে আসছে। তবে আজ আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনক করব এই বিশাল গাছ গুলোর গুরুত্ব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কি ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে সেসব নিয়ে।
received_826780694638342.jpeg
মানুষের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন যে দুইটি উৎস থেকে পাই তাহলো একটি গাছ অপরটি পানি।পৃথিবীতে নগরায়ন, শিল্পায়ন, ও আবাসস্থল তৈরি ক্ষেত্রে আমরা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে বিশাল শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলছি। এখানে শতবর্ষী বলতে আমি পুরাতন গাছগুলো বুঝিয়েছি। কেননা একটি পরিনত গাছ যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারবে এবং ক্ষতিকর কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহন করে তা একটি ছোট বৃক্ষ পারেনা। আবহাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের একমাত্র কারণ হচ্ছে ভূপৃষ্ঠের উষ্ণতা। আর এই উষ্ণতা বাড়ছে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধণ এর ফলে যে বিষয় গুলো ঘটছে যেমন

  • কম পরিমাণ অক্সিজেন উউৎপাদন হচ্ছে
  • কার্বনডাই-অক্সাইড কম গ্রহণ করছে
  • পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে
  • জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে
  • ঋতু চক্রের পরিবর্তন হচ্ছে।
    এই কারণগুলোর প্রভাব দিনশেষে মানব জাতির উপর পড়ছে। একটি বিশাল বৃক্ষ যে পরিমান মেঘ ধরে রাখতে পারে ছোট বৃক্ষ তা পারেনা।

received_382368586555667.jpeg
ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরের। এই যে বিশাল বৃক্ষ গুলো পুরো এলাকা তার শীতল চাদরে দুই হাত প্রসারিত করে ছায়া দিয়ে রেখেছে। নির্মল বাতাস যে কোনো ক্লান্ত পথিকে প্রশান্তি দিতে পারে। আসলে গাছের গুরুত্ব আমরা লিখে শেষ করতে পার। আমরা বলি গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। গাছ আমাদের শিক্ষা দেয় বিশালতা ও ধৈর্য ধরার এবং নিজের ছায়া তলে সবাইকে একসাথে থাকার নীতি। আমাদের উচিত এই শতবর্ষীগাছ গুলোকে সংরক্ষণ করা।
বছর দুই এক আগে একটা নিউজে দেখেছিলো যশোর রোডের শতবর্ষীসেই বিশাল গাছ নিধন এর বিরুদ্ধে জনগণ সোচ্চার হয়েছিল । আমাদের সবার বৃক্ষপ্রেমী হওয়া উচিত। বন্ধুর সেবায় নিয়োজিত থাকা উচিত। পৃথিবীতে সুস্থ ভাবে থাকতে হলে গাছ লাগানোর কোনো বিকল্প নাই।

received_1243125856102410.jpeg

আসুন আমরা বৃক্ষ নিধন রোধ করে পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণকরি। গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক সুন্দর একটি বিষয় সম্বন্ধে লিখেছেন।গাছ লাগান,পরিবেশ বাঁচান এই মতবাদ এ আমাদের বিশ্বাসী হতে হবে।

বেশি বেশি গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই

বৃক্ষ সংরক্ষণ এবং এর পরিচর্যা করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।

বেশি বেশি গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই।

বৃক্ষরা আমাদের বিপদ আপদের সাথী। এদের অবদান অনস্বীকার্য। এদের সংরক্ষণ করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব।খুব সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে

আমাদের উচিত বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপণ করা এবং বৃক্ষনিধন রোধ করা। ঢাবি র ছবিটি সুন্দর হয়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে

বৃক্ষরোপণ আমাদের জন্য খুব প্রয়োজন একটি জিনিস। আপনি সুন্দর একটি জিনিস আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আমাদের উচিত হবে অধিক পরিমাণে গাছ লাগানো যাতে করে আমরা সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি। অনেক ভাল লিখছেন

ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য

গাছ লাগান,পরিবেশ বাঁচান এই মতবাদ এ আমাদের বিশ্বাসী হতে হবে। অনেক ভালো লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ আপনাকে

আপনি বৃক্ষ সম্পর্কে খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই বৃক্ষ আছে বলেই হয় তো আমরা সুন্দর ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছি। আমাদের সবার উচিত বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করা এবং বৃক্ষ নিধন থেকে দেশের মানুষকে সচেতন করা। বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু কিন্তু আমরা আমাদের এই বন্ধুত্বের মূল দিতে পারি না। আপনার উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনি বৃক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু

ধন্যবাদ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। একসময় আমাদের দেশে এমন প্রাচীন অনেক গাছ দেখা যেতো। যে গাছগুলি বেশিরভাগই বিশাল আকার এর ছিলো। তখন এই গাছগুলি কাটার কথা কেউ চিন্তা করত না। কিন্তু এখন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই শতবর্ষী গাছ গুলি কাটা হচ্ছে। এটা থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে যার যার অবস্থান থেকে। নইলে এই অক্সিজেন ফ্যাক্টরিগুলো নিঃশেষ হয়ে যাবে। আপনার পোষ্টের একটা সমস্যা আছে। আপনি w3word লোকেশন কোড ব্যবহার করেননি। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ ধরনের পোস্টের জন্য। আশা করি ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য।