বিড়ালের প্রতি ভালবাসা (১০ ভাগ 🦊🦊🦊)

in hive-129948 •  3 years ago 

কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ভিন্নধর্মী বিষয় আলোচনা করব। আমাদের মাঝে অনেকের ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি পোষার ইচ্ছা থাকে। অনেকেই ছোটবেলা থেকেই বিড়াল পালন করে । আমি কখনোই এসব তেমন পছন্দ করতাম না। অন্যরা এগুলো যখন করত তখন আমি সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করতাম যে কিভাবে বিড়ালের সাথে বা কুকুরছানা সাথে এভাবে থাকে।

20220528_225251.jpg

siam,.png

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে এধরনের কালচার অনেক বেশী। তবে বিদেশে বিড়ালছানা না কুকুরের ছানা বা ভদ্র ভাষায় যেটাকে আমরা বলি ডগি পুষে । অনেক সময় দেখা যায় তারা নিজের থেকেও বেশি যত্ন নেয় এই ডগিগুলোর। উন্নত বিশ্বে ব্যাপক হারে ব বৃদ্ধি পেয়েছে তা লক্ষ্য করা যায়। তবে বাংলাদেশের কালচার কিছুটা হলেও ভিন্ন তবে শহরের সমাজে ধোনির দুলালীদের দেখা যায় বিলাতি ডগি পুষতে । এই ডগিগুলোকে যদি আপনি কখনো কুকুর বলে ডাকেন তাহলে আপনার গুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়বে। 🤪🤪 যাই হোক আমি আজ যে বিষয়ে কথা বলছি তা হচ্ছে বিড়াল। বাংলাদেশের ছোটখাটো পরিবারে বিড়ালছানা থাকে। আসলে বিড়াল দেখতে কিন্তু অনেক কিউট। আমি যখন আমার স্টুডেন্টের বাসায় পড়াতে যেতাম তখন এই বিড়াল ছানা গুলো ছবি তুলেছিলাম। আমি যখন স্টুডেন্টকে পড়াতাম তখন বিড়ালটি এসে আমার কোলে বসতো কখনো আমার সাথে দুষ্টুমি করত।
20220528_173351.jpg

siam,.png

এইভাবে ধীরে ধীরে বিড়ালের প্রতি আমার মায়া বেড়ে যায়। অবশ্য আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন এই বিড়ালটি ছিল না এর পূর্বেও সেখানে আরো তিন চার বিড়াল ছিল অর্থাৎ আমার স্টুডেন্ট এর ছোট বোন বিড়াল যখন জন্ম নেয় তার কয়েকদিন পরেই তাকে ধরে নিয়ে আসে বাসায় আবার সেই বিড়াল যখন বড় হয়ে যায় তার সঙ্গীর খোঁজে সেও চলে যায়। এভাবেই পালাবদলে বিড়াল আসে যায়। বিড়ালকে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করানো ভ্যাকসিন দেওয়া সবকিছুই ভালো ভাবে যত্ন নেয় নিতু। নিতু আমার স্টুডেন্ট এর ছোট বোন।নিতু বিড়ালের মত একজন নিষ্পাপ ছোট্ট একটি মেয়ে।সে অনেক ভালোবাসে তার এই বিড়াল কে ।এর আগে তার একটি বিড়াল ছিল নাম দিয়েছিল বাইডেন।🤭বাইডেন নিয়ে আপনাদের সাথে মনে হয় একদিন লেখালেখি করেছিলাম । তবে এবার সেই বিড়ালের নাম দিয়েছে কিম জং উন। ভাবাগো নাম শুনেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এই বিড়াল আবার কিম এর মতই বদমেজাজি না তো। তাই প্রথম কয়েকদিন ভয় পেয়েছিলাম কিমের থেকে দূরে ছিলাম।

20220528_173416.jpg

siam,.png

যখন আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি এই বিড়ালের নাম কিম জং উন রাখছো কেন? তখন সে কিউট করে বলে আমি প্রায় প্রায় পত্রিকায় দেখে নাম টি। নিতুর আবার পত্রিকা পড়ার অভ্যাস। আমার এই অভ্যাস খুবই ভালো লাগে ওর।এই ছোট বয়সে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছে।নিতু আগের বিড়ালের নাম ঠিক এইভাবে রেখেছিল যখন মার্কিন নির্বাচন হচ্ছিল তখন। সেই সময়কার প্রতিদিনের নিউজে থাকত বাইডেন। যাইহোক নামটা কিন্তু আমার ভীষণ পছন্দ হয়েছে। সেই থেকেই ধীরে ধীরে কিমের প্রতি আমার মায়া জন্মে গেল। এখন যখন আমি ওই বাসাতেই যাই তখনই আগে কিমের খোঁজ করি আমাকে দেখলেই দৌড়ে চলে আসে। আসলেই একটি অবলা প্রাণীর ওপর আমাদের কত সহজে মায়া পড়ে যায়। কত যত্ন করি আমরা। সত্যি কথা বলতে আপনার ভালোবাসা, আপনার যত্ন যদি সত্যিকারে হয় তাহলে বাঘ ও আপনার বন্ধু হতে প্রস্তুত।

20220528_173419.jpg

siam,.png

20220528_173400.jpg

siam,.png

20220528_173348.jpg

siam,.png

ছবিগুলো যে এত সুন্দর হবে আমি নিজেও কখনও কল্পনা করিনি। আমি ক্লিক করতেছিলাম আর বিড়ালটি নিজে নিজেই বিভিন্ন ধরনের ভঙ্গি করতেছিল। আমার যে তখন কি পরিমান হাসি পাচ্ছিলো পারব না। আমার মনে হচ্ছিল সে হয়তো বুঝেছে যে আমি তারপর ফটোগ্রাফি করতেছি।কত কিউট ভাবে তাকিয়ে আছে দেখেই ভালো লাগছে আমার খুব।এতটা মায়াবী ভাবে একটি প্রাণী থাকাতে পারে ভাবা যায় ।তারপরেও বিড়ালের চোখ অনেক সুন্দর হয় ।যায় কারণে অনেক মেয়েদের বলা হয় বিড়ালাক্ষী । মানে বিড়ালের মত চোখ। আশা করছি বিড়ালের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হুম আমাদের দেশের ধনীরদুলালিরা এটাকে বেশী প্রধান্য দিয়ে থাকে,মাঝে মাঝে দেখা যায় প্রাইভেটকারের মধ্য তখন মনে মনে ভাবি যে কুকুরের কি কপাল।আমাদের বাসায় ও বিড়ালের ছানা আছে তবে আমার কাছে এইগুলো ভালো লাগে না।তিন নাম্বার এবং শেষের ছবিটা দেখে খুবই ভাল লাগছে।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন মানুষ যেখানে ভাত পায়না এখানে তারা কুকুর নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে।

  ·  3 years ago (edited)

সত্যিই আপু বিড়ালের প্রতি আপনার অসম্ভব ভালো একটা মায়া রয়েছে। বিড়াল আমার কাছে খুব ভালো লাগে কিন্তু ধরতে ভয় লাগে। আপনার বিড়ালটিকে দেখে খুব মায়াবী লাগছে। অনেক সুন্দর করে আপনি বিড়ালের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বিড়াল এর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

সত্যি এই বিড়াল আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

আমার মনে হচ্ছে আপনার ছবি তোলার সময় বিড়ালটি টের পেয়ে এভাবে তার পোজ দিতেছিল। ধারণ ধারণা প্রখর দেখা যায়।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ।

বিড়াল আমার দূর থেকে ভালো লাগে,কিন্তু কাছাকাছি আমি অনেক ভয় পাই। যাই হোক বিড়ালের নামগুলো কিন্তু ভালোই রেখেছে😉😉।প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভাব আছে হা হা।ধন্যবাদ

আমারও এক সময় খুব ভয় লাগত ।এখন বন্ধু হয়ে গেছি।

এই ডগিগুলোকে যদি আপনি কখনো কুকুর বলে ডাকেন তাহলে আপনার গুষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়বে।

এটা একদম খাটি কথা বলেছেন আপু। বেশ মজা পাচ্ছিলাম আজকের এই লেখাটা পড়তে। বিড়ালের নামটা দারুন দিয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আপনি যখন ছবি তুলছিলেন বিড়ালটা মনে হয় খুশি হয় নানান রকম পোজ দিচ্ছিল 😊🥰। পোষা এই প্রাণীগুলো ভালোবাসার সম্মান দিতে পারে। বেইমানি করে না কখনো। আর ছোট মেয়েটার রোজ পত্রিকা পড়ার অভ্যাস টা সত্যিই অনেক চমৎকার একটা দিক।

এত সুন্দর কবিতা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

বিড়ালটি অনেক ভাল লেগেছে আপু। অনেক কিউট আছে। সেই সাথে ছবি উঠার সময় পোস ও দিয়েছে দেখলাম। হাহা। অনেক ভাল ছিল আপনার আজকেও পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য

ছবি তোলার ভঙ্গি যে লাগছে আমার কি বলব।এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

কোথায় যেন পড়েছিলাম বিড়ালের শরীরে থাকা এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে থাকা নেগেটিভ এনার্জি শোষণ করে। এছাড়া আমাদের নবী নাকি বিড়াল পুষতেন। সেই হিসেবে বিড়াল খুবই উপকারী। ভালো লাগলো আপনার বিড়ালের সাথে সখ্যতা। ধন্যবাদ

আপনি ঠিক বলেছেন বিড়ালের শরীরে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আমাদের শরীরের থাকা নেগেটিভ এনার্জি শোষণ করে। যা আমাদের জন্য বেশি উপকার।

বিড়াল দেখলে আসলে আমার সব সময় ভয় লাগে। ছোটবেলা থেকেই কিন্তু আমার ছেলে বিড়াল দেখলে ভয় পায় কিন্তু গ্রামের বাড়িতে বসে থাকে তাহলে সে লাঠি দিয়ে পেটাতে পারে। তবে বিড়ালের কাছে গেলেই আমার ভয় লাগে। আপনি আপনার বিড়ালের পিকচার গুলো খুবই সুন্দর করে তুলেছেন দেখে তো ভালই লাগছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।

আপু,প্রথমে আমি বলি আপনার লেখাগুলো আমার খুবই ভালো লাগে।আপনার লেখাগুলো পড়লে যেমন কিছু শেখা যায় তেমনি উপভোগ করা যায়।আপু, বিড়াল আমারও খুবই পছন্দের, আমার ছোটভাই বিড়াল পোষে বিড়াল ছোট থাক অবস্থায় বিড়ালের বাচ্চা গুলো ধরে নিয়ে আসে। বড় হয়ে আবার চলে যায় আবার আমার ভাই নিয়ে আসে মাঝে মধ্যে ভিডিও কলে বিড়াল গুলো দেখায় খুবই ভালো লাগে। হ্যাঁ আপু, ঠিক বলেছেন আমরা সৃষ্টির সেরা জীব আমরা চাইলে বাঘের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারি।

তবে এবার সেই বিড়ালের নাম দিয়েছে কিম জং উন। ভাবাগো নাম শুনেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

আপু,এত কিউট একটা বিড়ালের নাম এমন বদমেজাজি মানুষের নাম রাখল দেখে তো প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছি। নামটা বদমেজাজের মানুষের নাম রেখেছে ছবিগুলো দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে বিড়ালটি খুবই শান্ত এবং কিউট।ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

আমার লেখাগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লাগে শুনে খুবই খুশি হলাম। ছোট্ট মেয়েটি অনেক বুদ্ধিমতী।

আপনার কিউট বিড়াল দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগলো। আসলে যে কোন পশু পাখি নিজে দেখাশোনা করলে এর প্রতি খুব একটা মায়া মমতা অনুভূতি কাজ করে। আপনার বিড়ালের প্রতি এত ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হলাম। বিড়াল সম্পর্কে আপনার অনুভূতি সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

আপনার ভাল লেগেছে শুনে আমিও খুশি হলাম। আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। শুভকামনা রইল।

আসলেই বিড়াল অনেক কিউট হয়, আমারো বিড়াল আছে , অদের মুখের দিকে তাকালে আমার মনে অধিক পরিমানে মায়া জন্ম নেয়, আদর না করে থাকতে পারি না । আমার বিড়াল নিয়ে খুব শিগ্রই পোষ্ট করব ইনশাআল্লাহ......