বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে ব্লগটি শেয়ার করবো সেটা হচ্ছে তিন বন্ধু মিলে ফোন কেনার জন্য বগুড়ায় যাওয়া। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার আগের ফোনটা পুরাতন হয়ে গেছে তাই ভাবছিলাম যে আগের ফোনটা বিক্রি করে দিব দিয়ে একটা নতুন ফোন কিনবো। তা আমি তো আর মোবাইল সম্পর্কে অতো কিছু জানিনা। তাই আমি আমার বন্ধুকে বললাম যে বন্ধু আমি তো একটা নতুন ফোন কিনতে চাচ্ছি তা কি ফোন কিনলে ভালো হবে। ও আমাক বললো যে মটোরোলা নামে একটা নতুন ফোন মার্কেটে লঞ্চ হইছে ঐ ফোনটা নিতে পারিস। তা আমি ওকে বললাম যে, আচ্ছা ঠিক আছে ঐ ফোন এ তাহলে নিব যেহেতু নতুন ব্র্যান্ডের তাহলে মনে হয় ভালো হবে। তার কারণ যে কোন কোম্পানি প্রথমে যে কোন কিছুই মার্কেটে আনুক না কেন অবশ্যই ভালো আনার চেষ্টা করবে। আমাদের বাসা রংপুরের পদাগঞ্জে। যেহেতু এই ফোন রংপুরে নাই।এই ফোন নিতে গেলে বগুড়ায় যেতে হবে।তা ছাড়া আশে পাশে আর কোথাও নেই।ঐ জন্যে আমি আর আমার বন্ধু চিন্তা করলাম যে ,আমরা আমার বন্ধুর মেসে একদিন থাকবো।তারপরের দিন সকালে বগুড়ায় যাবো। সকালে না বের হলে আসতে অনেক রাত হবে। তাই আমরা দুই বন্ধু মিলে আমাদের বন্ধুর মেসে গেলাম । রাতে তিন বন্ধু মিলে অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করলাম অনেক দিন পর তিন বন্ধু এক সাথে হইছি তো তাই।
তার পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তিন বন্ধু মিলে হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে। ষ্টেশনে গেলাম ট্রেনে করে বগুড়ায় যাব। ট্রেনে যাওয়ার ও অবশ্য কারণ আছে, আমি আবার বাসে করে কোথাও যাইতে পারি না শুধু বমি করি।আর ট্রেনে ঘোরার কথা আর কি বলবো ট্রেন জার্নিটা আপনাদের কেমন লাগে সেটা আমি জানি না। কিন্তু আমার কাছে ট্রেন জার্নিটা সব থেকে বেশি ভালো লাগে। তারপর আমরা ষ্টেশনে গিয়ে শুনতে পেলাম যে একটু আগে ট্রেন ছেড়ে দিছে। এই কথা শুনে আমার বন্ধুরা আমাক বলতেছে যে কি করবি এখন? আমি বললাম যে কি আর করবো চল এখন বাসেই যেতে হবে তা ছাড়া তো আর কোন উপায় নেই। তারপর আমরা বাস স্ট্যান্ডে গেলাম ওখানে গিয়ে আমি আগে বমির ঔষধ খেলাম তারপর আমরা বাসে উঠলাম। রংপুর থেকে আমাদের বগুড়ায় যেতে প্রায় ৪ ঘন্টার মতো সময় লাগছে। আমার একটা বন্ধু বলতেছে যে চল মমোইন এ ঘুরতে যাবো । তা আমি বললাম যে আজকে আসতে এমনি দেরি হইছে আজকে ওখানে ঘুরতে গেলে ওখানেই রাত হবে আর বাসায় যাওয়া হবে না। তারপর আমরা ডিরেক্ট মোবাইল কিনতে গেলাম।
ফোনের দোকানে গিয়ে আমি যেই ফোনে দেখি ঐ ফোন এ আমার পছন্দ হয়। তা আমি তো আগে থেকেই ভেবে নিয়েছি যে এবার ফোন কিনলে মটোরোলা ফোন কিনবো। তা আমার এক বন্ধু আছে ও মোবাইল সম্পর্কে অনেক কিছু জানে অনেক কিছুই বোঝে। ও মটোরোলার সব ফোনের রেম,রোম, প্রসেসর, ক্যামেরা সব কিছু ভালো করে দেখে আমাক বলতেছে যে আমার কাছে সব থেকে ভালো মনে হলো মটোরোলা জি থার্টি ফোর তা আমি বললাম যে ঠিক আছে তাহলে এই টায় নেই। তারপর আমরা ফোন নিয়ে ওখান থেকে বের হলাম। তখন প্রায় চারটা বাজে আমাদের সবাইকে খুব খিদা লাগছিল আমরা ট্রেনের খোঁজ করলাম একটা ট্রেন নাকি চারটা ত্রিশ মিনিটে আছে। তারপর আমরা হালকা করে একটু খাওয়া দাওয়া শেষ করে ষ্টেশনে গেলাম। গিয়ে জানতে পারলাম যে এই ট্রেন ও ছেড়ে দিছে। তারপর আমি আমার বন্ধুকে বললাম যে চল এখন বাসেই যাবো, আজকে ট্রেনে ঘোরার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমাদের ভাগ্য খারাপ তাই আর ট্রেনে ঘোরা হলো না। পরে আমরা বাসে করেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আল্লাহ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |