বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে ব্লগটি শেয়ার করবো সেটা হচ্ছে ভাতিজাকে নিয়ে নাগেরহাট ব্রিজে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি । আশা করছি যে আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার ভাতিজা মূলত তার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ কয় বছর থেকে ঢাকায় থাকে।সে কালকে দেশের বাসায় আসছে কিছুদিন এখানে থাকবে আর আমার সাথে ঘুরতে যাবে এখানে ওখানে।সে ঢাকা থেকে বাসায় আসলে সর্বপ্রথম আমাক ফোন দিবে দিয়ে বলবে যে চাচা কই আছো তুমি, আমি তো বাসায় আসছি। তুমি যদি কালকে ফ্রি থাকো তাহলে চল কালকে কোথাও ঘুরতে যাই। আমি যদি ফ্রী থাকি তাহলে ওকে বলি যে ফ্রি আছি কালকে তোকে নিয়ে ঘুরতে যাবো । ঐ একই রকম ঘটনা ঘটছে কালকে ও আমাক ফোন দিয়ে বলতেছে চাচা আমি তো বাসায় আসছি পরশুদিন কালকে চল নাগেরহাট ব্রিজে ঘুরতে যাবো। আমি বললাম যে ঠিক আছে চল। তারপর আমরা বিকাল বেলা নাগেরহাট ব্রিজে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হলাম। কিছু দুর যাওয়ার পর দেখি রাস্তার পাশে অনেক মানুষ খেলা দেখতেছে তা আমি ভাতিজাকে বললাম যে ভাতিজা গাড়ি একটু দাড় কড়াও তো দেখি ওখানে কেন জানি অনেক মানুষ কি খেলা হইতেছে চল তো একটু দেখি। তারপর গাড়ি দাড় করিয়ে সামনে গিয়ে দেখি হা ডু ডু খেলা হইতেছে। কিছুক্ষণ দেখলাম বেশ ভালোই লাগলো। সেখানে খেলা দেখার জন্যে কত দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসছে তা বলার মতো না। মহিলা মানুষ ও আসছে অনেক।
হা ডু ডু খেলা যদিও আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। কিন্তু এই খেলা আমরা খুবই কম খেলি,না খেলি বললেই চলে।এই ভিন্নধর্মী খেলার আয়োজন করছে শুকুরের হাট জুনিয়র ক্লাবের ছেলেরা।আর ওখানে সম্ভবত সিনিয়র জুনিয়র খেলা হইতেছিল।এই ভিন্নধর্মী খেলা দেখার জন্যে মনে হয় ওখানে ওতো মানুষ হয়েছিল। আমরা কিছুক্ষণ খেলা দেখে ওখান থেকে চলে যাই। আমরা নাগেরহাট ব্রিজে গিয়ে কিছুক্ষণ ওখানে ঘোরাঘুরি করলাম আমি ভাতিজার কিছু ছবি তুলে দিলাম ভাতিজা আমার কিছু ছবি তুলে দিলো আমরা বেশ ভালোই আনন্দ করলাম। তারপর ব্রিজের নিচে দেখতে পেলাম যে কিছু আদি বাসির লোক ওখানে তাবু টেনে রাত্রি যাপন করছে। আমরা ওদের সাথে কথা বললাম তা বুঝতে পেলাম যে ওরা ঐ রকম করে এখানে ওখানে তাবু টেনে থাকে, আবার অন্য জায়গায় যায়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্ধ্যা নেমে আসলো তারপর আমি ভাতিজাকে বললাম যে ভাতিজ নাগেরহাট ব্রিজে যে ঘুরলা কেমন লাগলো সে আমাক বলতেছে যে অনেক ভালো লাগছে। আমি ওকে বললাম যে চল সন্ধ্যা নেমে আসছে আর এখানে বেশি দেরি করা আমাদের জন্যে ঠিক হবে না তারপর আমরা ওখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আল্লাহ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রংপুরের সুন্দর একটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছেন এবং সেখানে হাডুডু খেলার আয়োজন দেখতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো অনেকদিন পর হাডুডু খেলার আয়োজন দেখে। অনেকদিন আগে আমাদের এলাকা থেকে এই খেলা বিলুপ্তি হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে। আশা করব পরবর্তী কারো সুন্দর সুন্দর ব্লগ নিয়ে উপস্থিত হবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া এই হা ডু ডু খেলা আমাদের এলাকায় ও এখন প্রায় বিলুপ্ত। আমরা নাগেরহাট ব্রিজে ঘুরতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে দেখতে পেয়েছিলাম আমাদের জাতীয় হা ডু ডু খেলা। আমরা চাচা ভাতিজা হা ডু ডু খেলা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই এই ব্রিজ এ ঘুরতে নদী দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি ও অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit