নাটক রিভিউ : // চিটার এন্ড জেন্টেলম্যান ৪র্থ পর্ব //

গত পর্বে আমি বলেছিলাম যে পুলিশ তাঁর সোর্স নিয়ে চাদদোকানে যায়, গিয়ে একজনকে হ্যানকাপ পড়ায় ,আর দোকানদারকে ও দোকান থেকে বের হতে বলে। দোকানদার সঙ্গে সঙ্গে দোকান থেকে বের হয়।এই পর্বটি শুরু হয় মেম্বার পুলিশকে ফোন দেয়। দিয়ে বলে যে স্যার আমাদের এলাকায় এত বড় একটা ডাংগা হয়ে গেল। অথচ চেয়ারম্যান সাহেব আসলো না আমি একাই সব কিছু হ্যান্ডেল করলাম।তাঁরপর ওসি সাহেব বললেন যে আমরা চায়ের দোকানে আছি আপনি চায়ের দোকানে আসেন। তখন মেম্বার বলল যে স্যার আমি আসতেছি কিন্তু আপনার কাছে আমার একটাই অনুরোধ আপনি আমার এলাকার কারো গায়ে হাত দিবেন না। ওসি সাহেব বললেন যে ঠিক আছে আপনি আগে আসেন।তাঁরপর কিছুক্ষণের মধ্যে মেম্বার সাহেব ঐ চায়ের দোকানে হাজির হয়।

এরপর ওসি সাহেব কে বলে যে স্যার এদেরকে হ্যানকাপ পড়াইছেন কেন? স্যার এরা নীরিহ মানুষ এদেরকে ছেঁড়ে দেন স্যার। তখন ওসি সাহেব বললেন যে নীরিহ লোকের ছদ্মবেশে এরা মানুষ খুন করে, সন্ত্রাসীরা নানা রকম ছদ্মবেশ ধারণ করে। এরপর ওসি সাহেব বললেন যে আমি এদেরকে ছাড়তে পারি কিন্তু একটা শর্ত আছে, তখন মেম্বার সাহেব বললেন যে কি শর্ত তখন ওসি সাহেব বললেন যে একে ছেড়ে দিব কিন্তু আপনাক গ্ৰেফতার করবো। তাঁর কারণ আপনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে পুলিশকে ভুল ইনফরমেশন দিয়েছেন।তাঁরপর মেম্বারকে গ্ৰেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর মেম্বারের বোনেরা বসে গল্প করতেছিল তখন হঠাৎ ঐ দোকানদার এসে তাঁদেরকে বলে যে মেম্বার সাহেবকে পুলিশ গ্ৰেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে।

আমি থানায় গেলাম এই বলে সে দৌড়ে থানায় যায়। এরপর মেম্বারের বোন চেয়ারম্যান এর মেয়েকে অর্থাৎ মেম্বারের প্রেমিকাকে ফোন দেয়, দিয়ে বলে যে আমার ভাইয়া কে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেছে। তুমি একটু চাঁচাকে বলবা তখন তাঁর প্রেমিকা বলে যে অবশ্যই আমি এক্ষুনি বলতেছি।এই বলে সে তাঁর আব্বুর কাছে যায় গিয়ে বলে যে আব্বা রাজা ভাইকে পুলিশ গ্ৰেফতার করছে তাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা কর। তখন চেয়ারম্যান সাহেব বললেন যে ঠিক আছে। এরপর মেম্বারের বোনেরা বসে গল্প করতেছিল তখন হঠাৎ তার বোন জামাই এসে হাজির হয়। এসে অনেক কথা বলে এক পর্যায়ে সে সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়।

এরপর শিক্ষক এর সাথে রাস্তায় তাঁর ছাত্রীর দেখা হয়, তাঁদের মাঝে অনেক কথা হয়।এক পর্যায়ে ভালোবাসার কথা চলে আসে তখন মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে সেখান থেকে দৌড়ে চলে আসে।তাঁরপর আখম হাসান এর বাসায় ঐ লোক আসে এসে বলে যে আমি আর এই এলাকায় আসবো না।যে এলাকায় আসলে পুলিশ গ্ৰেফতার করে ঐ এলাকায় আর আমি আসবো না।আরো বলে যে রাজা মেম্বার আমাকে ছাড়াই দিয়ে সে নিজে ধরা দিছে তাঁর কাছে তো আমি চির ঋণী হয়ে গেলাম।

এরপর কুসুম আখম হাসান কে ফোন দেয়, দিয়ে বলে যে আমার ভাইকে জেলে দেখে তো খুব মজা পাইতেছো তাই না? তখন আখম হাসান বলে যছ মজা পাবো কেন। তাঁরপর কুসুম বলে যে আমার ভাইকে তাড়াতাড়ি ছাড়ানোর ব্যবস্থা কর।আখম হাসান বলল যে আমি তোমার ভাইকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতেছি এই বলে সে ফোন কেঁটে দেয়।

আমার ব্যক্তিগত মতামত:

আর টিভি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো সুন্দর একটা ধারাবাহিক নাটক উপহার দেওয়ার জন্য।নাটকটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। তাই তো আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে চলে আসলাম। আপনারা যারা এই নাটকটি দেখেন নি তাদেরকে এই নাটকটি দেখার অনুরোধ রইল। আপনারা সময় করে এই নাটকটি দেখে নিয়েন। যেহেতু এই নাটকে আখম হাসান আছেন , আশা করছি আপনাদের ও এই নাটকটি বেশ ভালো লাগবে। এবার যদি রেটিং এর কথায় আসি তাহলে আমি এটিকে ১০/০৮ দিব।

বি:দ্র: উপরের সব কটি ফটোগ্ৰাফি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিংক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে।

🔗নাটকের লিংক🔗: