বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে লাইফস্টাইল শীতের আগমনে মেলার আয়োজন ব্লগ করবো। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার ব্লগটি যদি আপনাদের কাছে একটুও ভালো লাগে তাহলে আপনারা আমাকে লাইক,কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন: প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী। কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ’।
আসলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিকই বলেছেন উপলক্ষ যাই হোক না কেন, বাঙালির সব উৎসবের মধ্যে সার্বজনীন রূপ আছে। এতে ধর্ম, বর্ণ, জাত,পাত, ধনী গরিবের সামাজিক বিভক্তি হয়ে দাঁড়ায় না। সকল শ্রেণীর মানুষের সেতুবন্ধন রচিত হয় এই মেলার মাধ্যমে। মেলা মানেই মহামিলন। মানুষের উল্লাস, উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই মেলার মাধ্যমে। আমি গত কয়েক দিন আগে দিনাজপুরে রাশমেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। অনেক দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এই রাসমেলা দেখার জন্য এসেছিলেন। আসলে এই রাসমেলা হয়েছিল মূলত কান্তজির মন্দিরে।
আমি মূলত ছোটবেলায় বইয়ে পড়েছিলাম কান্তজির মন্দিরের নাম। কিন্তু এই কিছুদিন আগে কান্তজির মন্দির দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই সুযোগটা হয়েছিল মূলত এই রাস মেলাকে ঘিরে এ রাস মেলা যদি না হইতো তাহলে মনে হয় আমার এই কান্তজির মন্দির যাওয়ার সুযোগ হতো না। এই কান্তজীর মন্দিরটা বেশ পুরনো। এই ধরনের মন্দির ভারতে বেশি দেখা যায়। এই মন্দিরটা দূর থেকে অনেক সুন্দর দেখা যায়। কিন্তু কাছ থেকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় পুরো মন্দিরে অনেক ধরনের মূর্তি খুব সুন্দর করে অঙ্কন করা, যা দূর থেকে দেখলে বোঝা যায় না। এই রাশমেলা উপলক্ষে কান্তজির মন্দিরে দীর্ঘ এক মাস মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আমার ইচ্ছা ছিল মেলা থেকে একটা ক্যাপ কেনার সেজন্য আমি বেশ কয়েকটা দোকানে ক্যাপ দেখছিলাম। কিন্তু কেন জানি কোন দোকানেই পছন্দ হয়নি সেজন্য নেওয়া হয়নি। যখন আমি নাগরদোলা দেখতে গেলাম সেখানে অনেক মানুষ দেখতে পেলাম যারা নাগর দোলায় দোল খাচ্ছিল দেখে বেশ ভালো লাগছিল আমার। আসলে মেলায় ঘুরলে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায়। আর সেজন্যই মনে হয় বলা হয় ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
কবে, কোথায়, কখন প্রথম মেলার প্রচলন হয়েছিল তা জানা না গেলেও এটি যে আবহমান বাংলার এক প্রাচীণ ঐতিহ্য এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ধারণা করা হয়, গ্রামীণ হাট থেকেই আসে মেলার ধারণা। প্রাচীন কালে রাজারা এই ধরনের বড় বড় মেলার আয়োজন করতো।এক সময় পীর, ফকির ও সাধু সন্ন্যাসীদের আস্তানাগুলো মেলার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।
X-promotion (https://x.com/MdAbuBakarR1/status/1865262373914972410?t=41-mUOlD02Y92vpRryzgUg&s=19)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit