আখের গুড় এবং খেজুরের গুড়ের সাহায্যে তিলের তৈরী জিলাপির রেসিপি

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করি উপরওয়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে শেয়ার করব। বাঙালিরা মোটামুটি সবাই মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে। বাঙালির মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো জিলাপি। আর সচরাচর আমরা সবাই ময়দার তৈরি চিনি অথবা গুড়ের জিলাপি খাই। আজ আমি একটু ভিন্নধর্মী তিলের তৈরি জিলাপির রেসিপি শেয়ার করব।

তীলের তৈরি জিলাপির রেসিপি:

IMG_20211021_183631.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণপরিমাণ
ময়দা১.৫ কেজি
চালের গুঁড়া১০০গ্রাম
তিল৫০ গ্রাম
লবণপরিমাণমত
সয়াবিন তেল১.৫ লিটার
পানিপরিমাণমত
খেজুরের গুড়১কেজি
আখের গুড়১কেজি

প্রথম ধাপ:

IMG_20211021_183623.jpg

ময়দা, চালের গুঁড়া, তিল এবং পরিমাণমতো লবণ একত্রে নিয়ে কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে পেস্ট করি।

দ্বিতীয় ধাপঃ

IMG_20211021_183638.jpg

IMG_20211021_183652.jpg

এ পর্যায়ে দুটি চুলায় খেজুর এবং আখের গুড়ের সাথে পানি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে রস করি। সেই সাথে অন্য একটি চুলায় সয়াবিন তেল নিয়ে গরম করি।

তৃতীয় ধাপ:

IMG_20211021_184028.jpg

এগুলো গরম হওয়া কালীন সময়ে প্রথম ধাপে সবকিছুর মিশ্রণে প্রাপ্ত পেস্ট এ আরো কিছু পরিমাণ পানি মিশিয়ে আরেকটু তরল করি।

চতুর্থ ধাপঃ

IMG_20211021_183914.jpg

IMG_20211021_183750.jpg

তেল, আখের গুড় এবং খেজুরের গুড়ের কড়াই গুলো উপযুক্ত পরিমাণ গরম করার পর তেলের কড়াইতে জিলাপি তৈরির জন্য তরল মিশ্রণটি জিলিপির আকারে কড়াইতে ছেড়ে দেই।

পঞ্চম ধাপঃ

IMG_20211021_184038.jpg

IMG_20211021_184232.jpg

কড়াইয়ের তেলের মধ্যে রাখা জিলাপি গুলো বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দেই। খুব বেশি জাল দিলে এগুলো পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কারণ কড়াইয়ের তেল আগে থেকে গরম করা হয়েছিল।

ষষ্ঠ ধাপ:

IMG_20211021_184454.jpg

IMG_20211021_184308.jpg

এ ধাপে তেলে গরম করা জিলাপি গুলো উঠিয়ে নিয়ে সেগুলো আখের গুড় এবং খেজুরের গুড়ের রসের মধ্যে ভিজিয়ে রাখি। বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার ফলে জিলাপির মধ্যে রস প্রবেশ করবে।

চূড়ান্ত ধাপ:

IMG_20211021_184458.jpg

এ ধাপে রস গুলো থেকে জিলাপি উঠিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট পাত্রে রাখতে হবে। খেজুরের গুড় এবং আখের গুড়ের পাত্র থেকে তুলে নেয়া জিলাপি আলাদা আলাদা পাত্রে রাখতে হবে।এ ধাপের মধ্যে দিয়ে আমার জিলাপি তৈরির রেসিপির পরিপূর্ণতা পাবে।

দোকানদার আখের গুড়ের জিলাপি কেজি প্রতি ১৬০ টাকা এবং খেজুরের গুড়ের জিলাপি কেজি প্রতি ১৪০ টাকা করে রাখেন।আমার আজকের রেসিপি নিজের তৈরি করা নয়। একটি হোটেলে গিয়ে প্রত্যক্ষ দর্শন এর অভিজ্ঞতায় রেসিপি সম্পর্কে নিজে নিজে লিখলাম। সাধারণ জিলাপি অপেক্ষা এই জিলাপি অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। জিলাপি গুলোর সঙ্গে তিল মিশানোর ফলে এর পুষ্টিগুণ বেশি হয় এবং খেতেও সুস্বাদু হয়। আর এই ইউনিক রেসিপির কারিগর হলেন স্বপন বাবু। কারিগর এর কাছ থেকেই মূলত রেসিপি সম্পর্কে শুনে নেওয়া। যার বয়স ১০৫ এ পড়েছে। রেসিপির শেষের ছবিতে উনাকে দেখা যাচ্ছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি আমার জীবনের প্রথম এই তিলের বানানো জিলাপি দেখলাম।দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে খেতে নিশ্চয় দারুন ছিলো এটি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার পোস্টকৃত রেসিপিটা অসাধারণ। এর আগে কখনো এমন রেসিপি দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছে আখের গুড়ের জিলাপি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

এর আগে চিনি বা গুড়ের জিলেপি খেয়েছি। কিন্তু এই জিলেপিতে আবার তিল ব‍্যবহার করা হয়েছে। এটা প্রথম দেখলাম। রেসিপি টা খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আখের গুড় খুব একটা খায় না তবে খেজুরের গুড় এবং তিল খুব ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো লাগবে।

জি ভাই,এই রেসিপি খেতে খুব সুস্বাদু।ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। কেননা আমরা বরাবরই আখের গুড় ও ময়দার বানানো জিলিপি খেয়ে আসছি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বাহ ভাইয়া আপনি একটা ভালো জিনিসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তা অবশ্য সবাইরেই ভালো লাগবে। তাই আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনাকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আপনার রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে এরকম রেসিপি কোনদিন খেয়ে দেখা হয়নি তবে শুধু আখের গুড় দিয়ে তৈরি জিলাপি খেয়েছি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহ্! কি সুন্দর রেসিপি দেখতে পেলাম। প্রতিটি বাজারে এই ধরনের রেসিপির দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপি তৈরি। এতো সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

তিলের জিলাপি কখনো খাওয়া হয়নি ভাই। যদিও সাধারণ জিলাপি অনেক খেয়েছি। খুব সুন্দর ভাবে ধাপ আকারে রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আখের গুড় এবং খেজুরের গুড়ের সাহায্যে তিলের তৈরী জিলাপির রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি উপকরণ এবং রান্নার ধরন অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছে। এই রেসিপিটা আগে কখনো দেখি নাই। অনেক সুন্দর লাগছে। এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। নতুন কিছু শিখতে পারলাম। আপনি নিজের দক্ষতা খাঁটিয়ে এত সুন্দর একটি জিনিস তৈরি করেছেন এবং এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন। যা দেখে খুবই ভালো লাগলো

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আজকে ভিন্ন এক ধরণের জিলাপি দেখলাম।গুড় এবং চিনির জিলাপি খেয়েছি তবে তিলের জিলাপি কোনদিন খেয়ে দেখা হয় নি।আশা করি ভালোই লাগবে।আপনার পোস্টের জিলাপির ছবিটি কিন্তু খুব লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ ভাইয়া ইউনিক একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আজ অনেক সুন্দর একটা জিলাপি রেসিপি দেখলাম। আমার এই রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। অনেক ভিন্ন ধরনের এই জিলাপি রেসিপি টা ছিল। এত সুন্দর একটা জিলাপি রেসিপি আমাদের সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

অনেক সুন্দর এবং ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।জিলাপি সচরাচর সবাই খেলেও তিলের জিলাপি তেমন একটা খাওয়া হয় নি।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

আপনি অনেক সুন্দর ভাবে জিলাপির রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে। জেলাপি আমার অনেক প্রিয়। বিশেষ করে গুড়ের জিলাপি গুলো অনেক প্রিয়। গ্রাম বাংলার মানুষের এই জেলাপি বেশি প্রিয় হয়ে থাকে। আপনার জন্য শুভকামনা।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

বরাবরই গরম জিলাপি আমার কাছে খুব প্রিয়। আপনার পোস্ট দেখে আমার খুব জিলাপি খেতে ইচ্ছে করছে, জিলাপির স্বাদ মনে পড়ে গেল। আহ্ মচমচে গরম জিলাপির যে কি মজা 😋

ধন্যবাদ আপনাকে।

আহ কি দেখালেন ভাই। যদিও কখনো এমন রেসিপি খাই নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। আগের গুড় দিয়ে জিলাপি ভাজা আহ শুনলেই জীভে পানি চলে আসলো।

ধন্যবাদ আপনাকে।