পরিসংখ্যান বিভাগের পিকনিক(পর্ব১) "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

FB_IMG_1650224744148.jpg


পিকনিক মানেই আনন্দঘন মুহূর্ত, পিকনিক মানে সবাই মিলে সুন্দর একটি দিন কাটানো। আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের একজন ছাত্র।এ বিষয়টি আমি বহুবার উল্লেখ করেছি। আজকে আবারো উল্লেখ করলাম কারণ গত মাসে আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে দিনাজপুরে পিকনিকে গিয়েছিলাম। পিকনিকে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। আজকে আমি ওই পিকনিকে আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।


FB_IMG_1650224789562.jpgFB_IMG_1650224750317.jpg

FB_IMG_1650224758761.jpg

Realme 7i

লোকেশন 🧭


AA647677-C1CA-4981-AA9D-DB9A8B7F2705.png


গত মাসের ২৫ তারিখ আমি সহ আমার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র এবং সিনিয়রসহ সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা মিলে পিকনিকে গিয়েছিলাম। নানা কারণে হয়তো ওই সময় আমি আপনাদের সঙ্গে পিকনিকে কাটানোর সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করতে পারিনি।পিকনিকের স্থান ছিল দিনাজপুর এ। দিনাজপুরে বেশকিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে যেখানে দর্শনার্থীরা পিকনিকের মৌসুমে ঘুরতে যান। এরমধ্যে কান্তজির মন্দির এবং রামসাগর বেশি বিখ্যাত। আমরা এ দুটি স্পটই পিকনিকের জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছিলাম। এর সঙ্গে পিকনিকের স্পট হিসেবে আরো একটি বনও ছিল। পিকনিকের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়েছে। পিকনিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে বড় ব্যাচের ভাইয়েরা। আমাদের রংপুর শহর থেকে দিনাজপুর খুব একটা বেশি দূরে নয়। রংপুর বিভাগের মধ্যে অন্য একটি জেলা দিনাজপুর।


FB_IMG_1650224783318.jpg

FB_IMG_1650224801578.jpgFB_IMG_1650224807108.jpg

Realme 7i

লোকেশন 🧭

AA647677-C1CA-4981-AA9D-DB9A8B7F2705.png


সকালবেলা ঠিক ৯ টায় আমাদের ক্যাম্পাস থেকে পিকনিকে যাওয়ার জন্য বাসা ছাড়া হয়। বাস ছাড়ার কথা সকাল আটটায় হলেও, অনেক শিক্ষার্থী দেরিতে আসায় এক ঘণ্টা বিলম্ব করতে হয়েছিল। আমি এবং আমার কিছু বন্ধু বান্ধব ঠিক সময়ে উপস্থিত ছিলাম। এই এক ঘন্টায় আমরা বন্ধুরা মিলে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঘুরলাম এবং ছবি উঠালাম।রংপুর থেকে দিনাজপুরের দূরত্ব ৫৫-৬০ কিলোমিটারের মতো। বাসে চড়ে যেতে সময় লাগে ১:৩০ ঘন্টা। পিকনিকের বাস মানে ভিন্ন ধরনের আমেজ। বাসের মধ্যে বক্স নিয়েছিলাম।পথিমধ্যে বক্সে নানান ধরনের গান পরিবেশন করা হচ্ছিল। রংপুর এবং দিনাজপুরের মাঝে মাঝে একটি স্থানে আমাদের সকাল বেলার নাস্তা দেয়া হলো। সকালের নাস্তায় ছিল একটি করে রুটি,কলা, ছামুচা এবং লাড্ডু। নাস্তা খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর বাস আবার ছাড়া হল। বাসের মধ্যে বন্ধুবান্ধব এবং বড় ভাইয়েরা মিলে একত্রে গান করলাম এবং নাচানাচিও করলাম। পিকনিকের বাসে যা হয় আরকি। আনন্দে মাতামাতি এবং হই-হল্লোড় করতে করতে আমরা পিকনিকে গিয়ে পৌঁছালাম এগারোটার একটু পরে।


.........




Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ড্রাইভার সাহেব রংপুর যাবেন নাকি, ঐযে বেগম রোকেয়ায় হাহা😁। আর এটা ঠিক পিকনিকের বাস মানে অন্য একটা অনুভুতি, তারউপর আপনারা বক্স নিয়েছেন খালি উরাধুরা ড্যান্স হবে😃

বাহ আপনার মন্তব্যটি বেশ মজার ছিল ভাই। বাসের মধ্যে সত্যিই উড়াধুরা ড্যান্স হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

ডাইভারের চেয়ারে বসে তোলা ফটোটা খুব সুন্দর হয়েছে ভালো লাগলো আপনাদের পিকনিকের ঘটনাটা পড়ে। আশা করি এই মুহূর্তে খুব আনন্দে কাটিয়েছেন। অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে ও শিখতে পেরেছেন,নতুন স্থান দেখে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

পিকনিকের কিংবা যেকোন আনন্দঘন মুহূর্তের ঘটনা গুলো পড়লে মনটা ভালো হয়ে যায়। মুহূর্তটা আনন্দতেই কেটেছিল ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

পিকনিকে যাওয়ার সময় সবচেয়ে মজার সময় হলে গাড়িতেই সবাই মজা করাটা। আমিও এ সময় অনেক উপভোগ করি। আপনারাও দেখি গাড়িতে অনেক মজা করেছেন। এই অনুভূতি গুলো অন্য রকমের।

শুভকামনা রইল ভাইয়া।

আপনি একদম ঠিক বুঝতে পেরেছেন। পিকনিকের আসল মজা হলো বাসের মধ্যে যাওয়া এবং আসার সময়। ধন্যবাদ আপু।

আসলে ভাইয়া স্কুলজীবনে আমিও পিকনিকে গিয়েছিলাম। আসলে আলাদাভাবে পিকনিক
এ যাওয়া এক আনন্দ আরও বন্ধুবান্ধবের সাথে পিকনিকে যাওয়া আরেক আনন্দ। আসলে বেশ ভালো লাগে। সুন্দর একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন।অনেক আনন্দ করার পর তারপর যাইহোক পৌঁছে গেলেন এবং পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

এ পর্বে তো অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো শেয়ার করিনি। পরবর্তী পর্বে কান্তজির মন্দির সম্পর্কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করব। ধন্যবাদ ভাই।

আপনি তো পিকনিকে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। এরকম শিক্ষা সফর হলে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মজা মাস্তি হয়ে থাকে। আপনি কী বাসের ড্রাইভার ছিলেন নাকি ভাই আপনার ছবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি বাস্তিল ড্রাইভ করেছেন হাহা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনারা যাতে পোস্টটি পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে মজা পান তার জন্যই এতসব আয়োজন। ধন্যবাদ ভাই।

ঘোরাঘুরির শ্রেষ্ট সময় হলো ছাএজীবন। কারণ এই সময়ে মোটামুটি হাতে সময় এবং বন্ধুবান্ধব থাকে। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গিয়েছি। দিনাজপুর আমার কখনো যাওয়া হয়নি। নিজের ডিপার্টমেন্টের বন্ধু বড় ভাই শিক্ষকদের সঙ্গে পিকনিক টা দারুণ উপভোগ করেছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে। যাইহোক ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

দিনাজপুরে অনেক কিছু দেখার মত জিনিস রয়েছে। কান্তজীর মন্দির, রামসাগর,বড় মাঠ তার মধ্যে অন্যতম। সময় করে বন্ধু-বান্ধব কিংবা কাছের কারো সঙ্গে একদিন ঘুরতে যাবেন। ধন্যবাদ ভাই।

আমরাও এমন পিকনিকে গিয়েছিলাম। খুব মজা হয়েছিলো। আজ আপনার পোস্ট পরে সেই কথা গুলো মনে পরে গেলো। অনেক বন্ধুর সাথেই যোগাযোগ নাই। ওদের কথা খুব মনে পরছে। আপ্নারা খুব মজা করেছেন। বন্ধুদের সাথে থাকলে লাইফটাই এমন মজাদার হয়ে যায়।

স্কুল কিংবা কলেজ লাইফের অনেক বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আমারও অবশ্য এখন আর তেমন একটা যোগাযোগ নেই। জি ভাই পিকনিকে দিনে ভালই মজা করেছিলাম। সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাইয়া আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে পিকনিকে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। আসলে মাঝে মাঝে পিকনিকে গেলে খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছে আপু আপনার পিকনিক নিয়ে সুন্দর অনুভূতি জানানোর জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

  ·  3 years ago (edited)

ব্যাচমেট দেরকে নিয়ে যদি পিকনিকে যাওয়া হয় সেটি অন্যরকম একটা আনন্দ উদযাপন করা যায়। আপনাদের দেখছি খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন পিকনিক এর মাধ্যমে। অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

পিকনিক অবশ্য শুধু ব্যাচমেটরা মিলে যাওয়া হয়নি ভাই। আমাদের জুনিয়র সিনিয়র এবং শিক্ষকমন্ডলীরাও সেখানে গিয়েছিলেন।সকলে মিলে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাই।

দিনাজপুরে পিকনিকের মুহূর্তটি অনেক সুন্দর ছিল এবং অনেক সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন আপনি। যেখানে আপনার ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র-জুনিয়র এবং সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী ছিল সবমিলিয়ে সুন্দর মুহূর্ত গুলো উপভোগ করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

পিকনিকটা ছিল সমগ্র পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। যার ফলে জুনিয়র এবং সিনিয়র সকলের উপস্থিতিতে পিকনিকটা প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।