হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। করোনাভাইরাস এর মহামারীর পর সবকিছু এখন চালু হয়ে গেছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনারা সবাই নিজেদের খেয়াল রাখবেন এবং পরিবারের জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করবেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার আজকের বিকেলে কাটানো কিছু মুহূর্ত নিয়ে লিখব।
সাধারণত খুব প্রয়োজন ছাড়া আমি বাড়ির বাইরে তেমন একটা বের হই না। বাসায় শুয়ে বসে এবং পড়াশোনার মধ্যে আমার দিন কেটে যায়। অনেকদিন পর আজকে বিকেলে বাড়ির বাইরে থেকে ঘুরে আসলাম। উদ্দেশ্য হল বাইরের পরিবেশটা উপভোগ করা। আমার বাসা রংপুর শহরের মধ্যে হওয়ায় শহুরে পরিবেশেই দিন কেটে যায়। শহরের সবকিছু ইট পাথরে তৈরি এবং চাকচিক্যতায় ভরপুর। সবার মধ্যে আন্তরিকতা খুব কম।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে অটো রিক্সা নিলাম। অটোরিকশাতে করে শহরের দিকে রওনা হলাম। অটোরিকশা থেকে যাওয়ার সময় রিক্সাওয়ালা মামার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম। তার বাসার খোজ-খবর নিলাম। রিক্সাওয়ালা মামার বাসা রংপুর বিভাগের গাইবান্ধায়। সন্তানরা বিয়ে করে উনাকে পর করে দিয়েছেন। যার ফলে পেটের ক্ষুধা নিবারণে বৃদ্ধ হওয়ার পরেও রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। রিক্সা ভাড়া ৩০ টাকা ঠিক করলেও রিক্সা থেকে নেমে মামার হাতে ৫০ টাকা ধরিয়ে দিলাম। যদিও উনি ৫০ টাকা নিতে ইতস্তত বোধ করছিলেন। রিক্সা থেকে নামার সময় মামাকে বললাম দোয়া করবেন আমার জন্য। প্রতিদিন তো কত টাকায় নিজের বিলাসিতার জন্য ব্যয় করছি। আজ না হয় অন্য কারো উপকারে আসুক তাতেই খুশি।
এরপর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় গেলাম। বাসা থেকে বের হলে সাধারণত রেস্তোরাঁগুলোতে সময় কাটানো হয় এবং খাওয়া-দাওয়া করি। যদিও বা বাইরের খাবার তেমন একটা পছন্দ করিনা। তবে খাওয়ার অজুহাত দিয়ে বাবা-মার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বাইরে বের হতে পারি তাতেই খুশি লাগে। বেশিদিন বাড়িতে বসে দিন কাটালে নিজের মধ্যে একঘেয়েমি ভাব চলে আসে। আর এই একঘেয়েমি ভাব দূর করার জন্য বাহিরে বের হওয়া। বাইরে রেস্তোরাঁয় গেলে সচরাচর আমি গ্রিল এবং তন্দুর রুটি খাওয়ার চেষ্টা করি। গ্রিল খেতে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রিলের সঙ্গে যে মিউনিস দেয়া হয় ওটা আমার বেশ পছন্দের।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার বাড়ির দিকে রওনা হলাম। পড়াশোনা শেষ করে এখন চাকরির জন্য প্রিপারেশন দিচ্ছি। এ সময় গুলোতে বন্ধুবান্ধবরা সবাই নিজেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। পারিবারিক চাপ, মানসিক অশান্তি সবকিছুই ভর করে এই সময়। অনেক পরিবারে আবার চাকরির জন্য প্রেসার করা হয়। সে দিক দিয়ে বিবেচনা করলে আমি বেশ ভালোই আছি। বাবা-মা খুব একটা চাপ দেয়নি এখনো। জানিনা ভবিষ্যতে কি হবে। আজ আর নয়। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং পরিবারের লোকজনদের খেয়াল রাখবেন।
বিকাল অনেক সুন্দর কেটেছে ভাই আপনার। দোয়া রইলো আপনার প্রতিটি দিন এমন কাটুক।
অনেক সুন্দর সুন্দর কথা লিখেছেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই খুব আনন্দের সাথে আপনি বিকালের সময়টুকু পার করেছেন এবং আপনি অনেক ঘোরাঘুরি করছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। রিকশায় চড়ে বেড়ানো মজাই আলাদা। রাতে মনে হয় আপনি খাওয়া-দাওয়া করছেন খুবই ভালো ছিল পরিবেশনগুলা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি বিকেলে বেশ দারুন সময় পার করেছেন।খবার দেখে লোভ লেগেছিল ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বিকালটা বেশ ভালো কেটেছে এবং খাবার গুলো দেখতে খুব লোভনীয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল যাতে প্রতিটি বিকালে এভাবেই কাটে আপনার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিকালবেলা সময়টা অনেক সুন্দর কাটিয়েছেন ভাই মনে হচ্ছে।আর অনেক সুন্দর করে বর্ণনা করছেন ।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit