মজাদার এবং সুস্বাদু মসুর ডালের মুচমুচে পেঁয়াজু রেসিপি ।

in hive-129948 •  2 days ago 

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু মসুর ডালের মুচমচে পেঁয়াজু রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

IMG20241231152753.jpg

IMG20241231152723.jpg

মসুর ডালের মুচমচে পেঁয়াজু রেসিপি

প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-

IMG_20250116_084257.jpg

নামপরিমাণ
মসুর ডালএক কাপ
পেঁয়াজ কুচিদুইটি
রসুন বাটাপরিমান মত
জিরা বাটাপরিমাণ মতো
কাঁচা মরিচ কুচিপরিমান মত
ধনিয়া পাতা কুচিপরিমাণ মতো
হলুদ গুঁড়াআধা চামচ
মরিচ গুঁড়াপরিমান মত
আদা বাটাপরিমান মত
সোয়াবিন তেল১০০ গ্রাম ইত্যাদি ‌।

↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️

↘️ধাপ :- ১↙️

  • আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় করি। রান্নার প্রক্রিয়ার কাজ আরম্ভ করছি।

1000060114.jpg

  • প্রথমে আমি তিন কাপ মসুরের ডাল ২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখি। তারপর মসুরের ডাল শিল পাটায় পিষে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1000060119.jpg

  • এই পর্যায়ে আমি পিষে নেওয়া মসুরের ডালের মধ্যে মসলা জাতীয় উপাদান দিচ্ছি। পরিমাণ মতো লবণ, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা, পেঁয়াজ কুচিসহ সকল উপাদান দিচ্ছি । দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

1000060125.jpg

  • মসলা জাতীয় সকল উপাদান ভালো করে মেখে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

IMG_20250116_232514.jpg

  • এখন আমি একটি তেলের কড়াই চুলার উপরে বসাই।

↘️ধাপ :- ৫↙️

1000060622.jpg

  • এই ধাপে আমি হাত দিয়ে গোল গোল করে পেয়াজু তৈরি করে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৬↙️

1000060626.jpg

  • তেলের কড়াই এর মধ্যে পেয়াজু ছেড়ে দিলাম।

↘️ধাপ :- ৭↙️

IMG_20250116_233129.jpg

  • এখন আমি কিছুক্ষণ পর পর পেয়াজু নাড়িয়ে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৮↙️

1000060628.jpg

  • পেয়াজুর নিচের অংশ হয়ে গেলে আমি পেয়াজুর উলটিয়ে নিচ্ছি। তারপর কিছুক্ষণ পর পেয়াজু নাড়িয়ে নিচ্ছি।

↘️ সর্বশেষ ধাপ :- ↙️

IMG_20250116_233654.jpg

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পেয়াজু ভালো করে ভাজি হয়ে গেছে। এখন আমি পেয়াজু তেল থেকে উঠিয়ে নিলাম।

IMG_20250116_233826.jpg

আমার কাঙ্খিত পেঁয়াজু রেসিপি তৈরি করা শেষ হয়েছে। এই ভাবে আমি এই রেসিপি টি সম্পূর্ণ করি। যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান। আমি রেসিপির কিছু আলোকচিত্র করে নিলাম।

IMG20241231152805.jpg

IMG20241231152704.jpg

IMG20241231152714.jpg

IMG20241231152723.jpg

IMG20241231152753.jpg

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

পোস্ট বিবরণ :-

শ্রেণীরেসিপি
ক্যামেরাrealme C55
পোস্ট তৈরি@ah-agim
লোকেশনফেনী, বাংলাদেশ

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আরো বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

G0mIPwfurEJVlbirXIKFAUZVIuK.jpg

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

puss_mini_banner4.png

Banner PUSS.png

♥️ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ 🖤

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মসুর ডালের পেঁয়াজু খেতে অসাধারণ সুন্দর মচমচে ও সুস্বাদু হয়।আমার তো ভীষণ পছন্দের। মসুর ডালের বড়া বিকেলের নাস্তায় আমার ভালো লাগে খেতে।ধাপে ধাপে পেঁয়াজু তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লভনীয় মুচমুচে রেসিপটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

IMG_20250116_235702.jpg

IMG_20250116_235733.jpg

IMG_20250116_235750.jpg

Screenshot_2025-01-16-23-52-41-13_23bb9e0ea952186c441897efdc323bdd.jpg

অনেক মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপনি। বিশেষ করে বিকেল বেলায় এই ধরনের খাবারগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি মসুরের ডাল দিয়ে পেঁয়াজু তৈরি করলেন খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। আর মুচমুচে হলে তো দারুন হয় খেতে। রেসিপি তৈরি করার প্রসেস গুলো সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আসলে পেয়াজু আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। আপনি মজাদার এবং সুস্বাদু মসুর ডালের মুচমুচে পেঁয়াজু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।

গরম গরম এবং মুচমুচে পেঁয়াজু খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি মসুর ডালের পেঁয়াজু তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। যদিও রমজান মাসেই বেশিরভাগ পেঁয়াজু খাওয়া হয়। তবে মাঝেমধ্যে এভাবে তৈরি করে খেতে দারুন লাগে। নিশ্চয়ই গরম গরম পেঁয়াজু গুলো খেতে খুব ভালো লেগেছিল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

মজার মজার খাবার গুলো খেতে আমি একটু বেশি ভালোবাসি। আর যদি এরকম খাবার হয় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগে। অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে আপনার মসুর ডালের মুচমুচে পেঁয়াজু রেসিপিটা। এরকম লোভনীয় খাবারগুলো দেখলে আমার অনেক লোভ লাগে। মাঝেমধ্যে এই খাবারগুলো আমার খাওয়া হয়ে থাকে। এত মজাদার মসুর ডালের মুচমুচে পেঁয়াজু রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

আপনার রেসিপিটা দেখেই জিভে জল চলে আসলো। মসুরির ডালের পিয়াজি খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

মজাদার এবং সুস্বাদু মসুর ডালের মুচমুচে পেঁয়াজু রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে ভাই। আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার প্রতিটি রেসিপি অনেক লোভনীয় হয় খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ

এই ধরনের পিয়াজু আমার খুবই পছন্দের। তবে এখন অনেক মিস করি এই পেয়াজু গুলো। আহ দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। দেখে বেশ চমৎকার লাগছে। পাশাপাশি খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন প্রতিটা ধাপ। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

যে কোন পেয়াজু খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে মসুর ডালের মজার পেঁয়াজু রেসিপি করেছেন। তবে বাজারের চেয়ে বাড়িতে তৈরি করে এসব মচমচে জিনিস গুলো খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। এবং আপনার পেঁয়াজু রেসিপি দেখে আমার নিজেরও খেতে মন চাইছে। এবং রেসিপিটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শেয়ার করেছেন।

সন্ধ্যায় মুড়ির সাথে এমন মুচমুচে পিঁয়াজু থাকলে সন্ধ্যাটা একদম জমে যাবে। সাথে দেখছি কামরাঙাও নিয়েছেন। সব মিলিয়ে লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।