চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত / প্রথম পর্ব।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

অনেক দিন যাবত ঘুরতে যাওয়া হয় না। পরিবার এবং ব্যক্তিগত কাজে বেশ ব্যস্ত আছি। ব্যস্ততা যখন বেশি বেড়ে যায় তখন কোথায় দূর থেকে ঘুরে আসা খুবই প্রয়োজন হয়। কারণ লাগাতার কাজ করতে থাকলে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কোথায় গিয়ে এক দুই দিন ঘুরে আসতে পারলে মন মানসিকতা খুব ভালো থাকে । এবং পরবর্তীতে কাজ করতে আগ্রহ বেশ বাড়ে। আসলে ব্যস্ততার মাঝে সময় বের করে কোথাও যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তারপরে প্রকৃতির মাঝে তো ঘুরতে যেতে হবে হাতে যতো কাজ থাকুক। আজ প্রায় অনেক দিন ভাবছি কোথায় ঘুরতে যাবো কিন্তু ঐ রকম সারাদিন ঘুরার মতো সময় বের করা হয় না।

তাই কিছু দিন আগে আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মিলে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাবো সিদ্ধান্ত করেছি। সবাই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা সকালে রওনা দিলাম একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে। আমরা সকাল ৬:০০ টা বাজে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ি। আমরা সবাই সকালে নাস্তা না করে গাড়িতে উঠে পড়ি। আমরা যখন চট্টগ্রাম মিরসরাই পোঁছলাম তখন একটি হোটেলে সকালের নাস্তা করলাম। আমরা চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সাড়ে দশটার গিয়ে পোঁছলাম। আমরা আরো আগে ঐ জায়গায় গিয়ে পৌঁছতাম । আমাদের এক বন্ধু চট্টগ্রাম শহরে তার এক আত্মীয়র বাসায় গিয়েছে।

তাদের বাসায় আমরাও গিয়েছি । তাদের বাসায় কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দিকে রওনা হলাম। এই কারণে আমাদের কিছুটা সময় দেরি হয়ে গেলো। আমাদের আসতে তেমন কোন সমস্যা হয় নাই। শুধু চট্টগ্রাম শহরে কিছুক্ষণ জ্যামে পড়েছি। আর বাকি রাস্তা একবারে সুন্দর ভাবে যানজট ছাড়া আসতে পেরেছি। আমরা যখন সৈকতে আসলাম তখন খুবই রোদ পড়ছে। আমরা এসে সমুদ্র সৈকতে চলে গেলাম। আমি চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র প্রায় ছয়বার এসেছি আজ সাত বার হলো। আসলে দর্শনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থানে যতো বার যাই ততো বারই খুব ভালো লাগে। প্রতিবারই অন্যরকম অনুভূতি এবং আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।

আমার এক বন্ধুর তার ভাগিনা ভাগ্নিকে নিয়ে এসেছে । তারা সমুদ্রের পানি দেখে পানিতে নেমে গেলো গোসল করতে। পানিতে তারা দুই ভাই বোন বেশ আনন্দ উপভোগ করেছে। আসলে সত্যি কথা বলতে তাদের গোসল করা দেখে আমারও গোসল করতে খুব ইচ্ছে হলো। কিন্তু গোসল করার মতোন ঐ রকম প্রস্তুতি ছিলো না। তাই আর গোসল করা হলো না। আমরা রোদের কারণে বেশিক্ষণ সময় সমুদ্র সৈকতে ছিলাম না। আমরা সিদ্ধান্ত করলাম দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত মার্কেটে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর পড়ন্ত বিকেলে সমুদ্র সৈকতে এসে পড়বো। তখন বেশ সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করবো। আমরা সবাই দুপুরের খাবার খেতে রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম।

রেস্টুরেন্টে আমরা সবাই মিলে বেশ সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত উপভোগ করেছি। রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়া বেশ ভালোই হলো। রেস্টুরেন্টে আমাদের প্রতি জনের বিল এসেছে ২২৫ টাকা করে। আমরা শুটকি ভর্তা, সমুদ্রের মাছ এবং মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ সময় বসে সবাই মিলে গল্প করলাম। গল্প করা শেষে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের হকার্স মার্কেটের দিকে রওনা হলাম। আজ আর নয়। আগামী পর্বে সমুদ্র সৈকতে কাটানো অনুভূতি শেয়ার করবো ।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।