আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৫১ , শীতকালীন সবজির দশ পদের ভর্তা রেসিপি ।

in hive-129948 •  10 months ago 

IMG20240118002206.jpg

IMG20240117234050.jpg

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের শীতকালীন সবজির দশ পদের ভর্তা রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্ট টি দেখবেন আশা করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি প্রতিবারের মতো এবারও বেশ দুর্দান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় হচ্ছে শীতকালীন সবজির ভর্তা রেসিপি। এবারের প্রতিযোগিতার এই বিষয়টা সত্যি বেশ দুর্দান্ত ছিলো।

IMG20240118002216.jpg

প্রথমেই আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদা এবং প্রিয় আরিফ ভাইয়াকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। শীতকাল অন্য ঋতু থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। শীতের সকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন খুব দুর্দান্ত তেমনি শীতকালে সবচেয়ে বেশি শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। যদিও শীতকালে হিম শীতল বাতাসের কারণে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর । তবে শীতের সকালে কাঁচা খেজুরের রস, গরম গরম বিভিন্ন রকম পিঠা খাওয়ার অনুভূতি সত্যি বেশ অসাধারণ। কুয়াশা ভেজা শীতের সকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

শরৎকাল শেষ হলেই শীতের আগমন। গ্রাম বাংলার কৃষকেরা শীতের শুরুতে বিভিন্ন রকম শাকসবজি উৎপাদন করে থাকে। গ্রীষ্ম কালকে যেমন মধু মাস বা, ফলের মাস বলা হয়ে থাকে ঠিক তেমনি শীতকাল কে শাকসবজির মাস বলা হয়ে থাকে। শাকসবজি দিয়ে বিভিন্ন হরেক রকমের ভর্তা তৈরি করা হয়ে থাকে। ভর্তা হচ্ছে বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য। ঘরোয়া ভাবে বা, যে কোন অনুষ্ঠানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম ভর্তা তৈরি করা হয়ে থাকে । সাধারণত দুপুর বেলায় যতো ভালো মানের খাবার খাওয়া হোক না কেন? ভাতের সাথে ভর্তা না খেলে কেমন যেন পরিপূর্ণ তৃপ্তি হয় না।

IMG20240118002337.jpg

IMG20240117234008.jpg

আমাদের বাঙালি সমাজে সকালবেলা শুধু ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়া হয়ে থাকে। যে কোনো ধরনের ভর্তা ছোট
বড় সকলে নিকট বেশ জনপ্রিয়। তাইতো যেকোন অনুষ্ঠানে গেলে বিভিন্ন রকম ভর্তা দেখতে পাওয়া যায়। ভর্তা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ পাওয়া যায় না। আমি নিজেও বেশ ভর্তা পছন্দ করে থাকি। ছোট কাল থেকে দেখে আসছি আমাদের দাদু, নানু এবং মা-বোনেরা বিভিন্ন রকমের ভর্তা তৈরি করেছে। আসলে মায়ের হাতে তৈরি করা ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই বেশ দারুন। মায়ের হাতে ভর্তা খাওয়ার স্বাদ জিহ্বা সব সময় লেগে থাকে। এবারের প্রতিযোগিতাটা একেবারে সময়োপযোগী একটি প্রতিযোগিতা ছিলো।

প্রতিযোগিতা দেখার পর থেকে ভাবছি কি দিয়ে ভর্তা তৈরি করা যায়? যেহেতু শীতকালীন সবজি দিয়ে ভর্তা তৈরি করা লাগবে। তাই একটি সবজি দিয়ে ভর্তা তৈরি করলে মনে হয় অন্যটি বাদ পড়ে যায়। এখন কোন সবজি রেখে কোন সবজি দিয়ে ভর্তা তৈরি করবো এই ভেবে অস্থির হয়ে গেলাম। পরে ভাবছি ১০ পদের শীতকালীন সবজি ভর্তা তৈরি করবো। যেমন ভাবনা তেমন কাজ আরম্ভ করি। বাজারে গিয়ে অনেক রকমের সবজি ক্রয় করলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো আমাদের দুই তিনটি বাজারে অনেক খোঁজ করার পরেও ব্রকলি পেলাম না। পরে অনেক দূর থেকে ৮০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে ১৪০ টাকা দিয়ে একটি ব্রকলি নিলাম ।

IMG20240118002313.jpg

এতো পদের ভর্তা তৈরি করা সত্যি আমার জন্য খুব কঠিন ছিলো। আম্মু বেশ অসুস্থ তাই আমাকে বারবার বলছে এত রকমের ভর্তা তৈরি না করার জন্য। তারপরও আমি চেষ্টা করছি বিভিন্ন রকম ভর্তা তৈরি করার জন্য। এত রকমের ভর্তা একদিন তৈরি করা আমার জন্য অত্যন্ত কষ্ট করছিলো। আমি সকাল থেকে ভর্তা তৈরি করা আরম্ভ করছি। ভর্তা তৈরি করে করে উপস্থাপন করতে করতে প্রায় রাতের আটটা বেজে গেলো। আসলে রাতের বেলা ফটোগ্রাফি করাটা বেশ কঠিন কারণ আলোর জন্য ফটোগ্রাফি গুলো ঠিকঠাক মতো হয় না।

IMG20240118002234.jpg

যদিও পরিকল্পনা ছিলো দুপুরের পরে ভর্তা তৈরি শেষ হলেই দুপুরের গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে পারবো। কিন্তু ভর্তা তৈরি এবং উপস্থাপন করতে অনেক বেশি সময় লাগার কারণে পরিবারের সকলকে নিয়েই রাতের বেলায় ভর্তা খাওয়া হলো। সত্যি কথা বলতে যে দিন ভর্তা তৈরি করছি ঐ দিন আর কোন তরকারি রান্না করে নাই সবাই ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছে। পরিবারের সকলকে নিয়ে এত রকমের ভর্তা খেতে পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে।

আমি ব্রকলি, শিমের বিচি, শালগম, মুলা,আলু, বেগুন, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো , শিম লাউয়ের শাক এই সবজি গুলো দিয়ে ভর্তা রেসিপি তৈরি করলাম। ভর্তার মধ্যে স্বাদের ভিন্নতা জন্য মাছ, বিভিন্ন রকমের শুটকি এবং নারিকেল ব্যবহার করি।
রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো? এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম? তা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-

IMG_20240118_022652.jpg

IMG_20240118_023833.jpg

1705524626093.jpg

উপকরণপরিমাণ
শিমের বিচি২৫০গ্ৰাম
ব্রকলিএকটি
নারিকেল কোরানিএক কাপ
শালগম৪ টা
গাজর২ টা
মুলাএকটি
আলুবড় একটি
লাউ পাতাপরিমাণ মতো
ফুলকপি১ টা
বাঁধাকপি১ টা
টমেটো৬ টা
শিম৩০০ গ্ৰাম
বেগুনদুটি
লেবুএকটি
পেঁয়াজ কুচি৪ কাপ
রসুন বাটাএক টেবিল চামচ
কাঁচামরিচ৬০০ গ্ৰাম
শুকনা মরিচ২০০ গ্ৰাম
ধনিয়া পাতা কুচি৩ কাপ
হলুদের গুঁড়া২ টেবিল চামচ
মরিচের গুঁড়া৩ টেবিল চামচ
সরিষার তেলপরিমাণ মতো
চিংড়ি শুটকি, বাটা মাছের শুটকিপরিমাণ মতো
লইট্টা শুটকি, পাতা শুটকিদুটি করে।
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো

↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️

১- শিমের বিচি দিয়ে নারিকেল ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG_20240118_032320.jpg

  • প্রথমে আমি নারিকেল কোরাই নিলাম। তারপর ধনিয়া পাতা কুঁচি করে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705526873603.jpg

  • এখন একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমান অনুযায়ী পানি দিলাম। পানি গরম হয়ে গেলে লবণ দিয়ে শিমের বিচি সিদ্ধ করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

IMG_20240118_033332.jpg

  • শিমের বিচি সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলার থেকে নামিয়ে শিমের বিচি থেকে খোসা আলাদা করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705527447771.jpg

  • এখন আমি তেলের কড়াই এর মধ্যে শুকনা মরিচ গুলো দিয়ে ভেজে নিলাম।

1705527744854.jpg

  • এই ধাপে আমি কাঁচা মরিচ তেলের কড়াই এর মধ্যে ভেজে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৫↙️

IMG_20240118_034504.jpg

  • এখন আমি রসুন ভেজে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৬↙️

IMG20240117125309.jpg

  • এই পর্যায়ে ভর্তা তৈরি করার জন্য সব কিছু রেড়ি করে নিলাম।

IMG_20240118_035100.jpg

  • এখন আমি শিল পাটার মধ্যে শিমের বিচি, নারিকেল, কাঁচা মরিচ ভাজি, শুকনো মরিচ ভাজি বেটে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৭↙️

IMG_20240118_045951.jpg

  • পরিমাণ মতো লবণ,ধনিয়া পাতা কুচি,সরিষার তেল এবং রসুন ভাজা দিয়ে ভালো করে বেটে ভর্তা তৈরি করে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৮↙️

IMG20240117130209.jpg
IMG20240118002815.jpg

  • পরিশেষে সকল উপকরণ বেটে ভর্তা তৈরি করে নিলাম।

২-ব্রকলি দিয়ে কার্ফু মাছের ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

  • আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG_20240118_051734.jpg

  • প্রথমে আমি ব্রকলি কেটে পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। তারপর কার্ফু মাছের এক টুকরো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705533749162.jpg

  • এখন একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমান অনুযায়ী পানি দিলাম। পানি গরম হয়ে গেলে লবণ দিয়ে ব্রকলি সিদ্ধ করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

IMG20240116204722.jpg

  • ব্রকলি সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ব্রকলি বাটিতে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

IMG_20240118_052605.jpg

  • মাছ পাতলা করে কেটে দুই টুকরা করে লবণ, মরিচ, হলুদ লাগিয়ে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৫↙️

1705534262302.jpg

  • এখন আমি তেলের কড়াই এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মাছ দুই টুকরা ভাজি করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৬↙️

1705534734912.jpg

  • এই ধাপে আমি পেঁয়াজ ভাজি করে নিলাম। পেঁয়াজ লাল বর্ণ হয়ে গেলে ব্রকলি এবং মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়িয়ে ভাজি করে নিলাম। মাছ ভেঙ্গে ছোট ছোট করে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৭↙️

IMG_20240118_054247.jpg

  • ব্রকলি এবং মাছ ভাজি করার পর একটি বাটিতে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৮↙️

1705535183118.jpg

  • এখন আমি ভর্তা তৈরি করে নিবো। তাই প্রথমে বাটির মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ ভাজি, শুকনো মরিচ ভাজি, রসুন ভাজা দিলাম।

↘️ধাপ :- ৮↙️

1705535517290.jpg

  • সকল উপাদান দেওয়ার পর সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে ভর্তা তৈরি করে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৮↙️

IMG_20240118_055329.jpg

  • ভর্তা মাখা শেষ হলে লেবুর রস দিয়ে দিলাম।

IMG20240117132035.jpg

IMG20240118002433.jpg

  • পরিশেষে ব্রকলি দিয়ে কার্ফু মাছের ভর্তা মাখা হয়ে গেল।

৩- শালগম দিয়ে বাটা মাছের শুঁটকি ভর্তা

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG_20240118_060455.jpg

  • প্রথমে আমি শালগম পাতলা পাতলা করে কেটে নিলাম। তারপর বাটা মাছের শুটকি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705536510975.jpg

  • এই পর্যায়ে একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমান অনুযায়ী পানি দিলাম। পানি গরম হয়ে গেলে লবণ দিয়ে শালগম সিদ্ধ করে নিলাম। শালগম সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে শালগম বাটিতে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

1705536703678.jpg

  • একটি তেলের কড়াই এর মধ্যে পরিমান অনুযায়ী তেল দিয়ে বাটা মাছের শুঁটকি ভাজি করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705536784563.jpg

  • এই ধাপে আমি পেঁয়াজ ভাজি করে নিলাম। পেঁয়াজ লাল বর্ণ হয়ে গেলে শালগম এবং বাটা মাছের শুঁটকি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়িয়ে ভাজি করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৫↙️

IMG_20240118_061644.jpg

  • শালগম এবং বাটা মাছের শুঁটকি ভাজি হয়ে গেলে একটি বাটিতে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৬↙️

1705537144748.jpg

  • এই পর্যায়ে বাটির মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ ভাজি, শুকনো মরিচ ভাজি, রসুন ভাজা দিয়ে মেখে নিলাম ।

1705537423481.jpg

  • তারপর সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে অনেকক্ষণ পর্যন্ত মেখে ভর্তা তৈরি করে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৭↙️

IMG_20240118_062455.jpg

IMG20240117131305.jpg

  • পরিশেষে ভর্তার মধ্যে লেবুর রস দিলাম।

IMG20240118002531.jpg

৪- মুলা দিয়ে আলু ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

  • আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG_20240118_063316.jpg

IMG_20240118_063532.jpg

  • প্রথমে আমি আলু এবং মুলা পাতলা পাতলা করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705538244281.jpg

  • তারপর আলু এবং মুলা সিদ্ধ করে নিলাম। সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে বাটির মধ্যে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৩↙️

1705538506660.jpg

  • এখন ভর্তা তৈরি করবো তাই প্রথমে একটি বাটিতে পেঁয়াজ কুচি নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705538682341.jpg

  • পেঁয়াজ কুচির মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা কুচি, শুকনো মরিচ ভাজা দিয়ে মেখে নিলাম। তারপর আলু এবং মুলা দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৫↙️

IMG_20240118_064704.jpg

  • তারপর আমি সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৬↙️

IMG20240117210921.jpg

IMG20240118002654.jpg

  • পরিশেষে মুলা দিয়ে আলু ভর্তা হয়ে গেলো।

৫-বেগুন দিয়ে পাতা শুটকি ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG20240117150900.jpg

IMG20240117151402.jpg

*প্রথমে আমি বেগুন পাতলা পাতলা করে কেটে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705539542072.jpg

IMG_20240118_070019.jpg

বেগুন তাবার উপর দিয়ে হালকা পুড়িয়ে নিলাম। বেগুন ভর্তা তৈরির উপযোগী হয়ে গেলো।

↘️ধাপ :- ৩↙️

1705539856008.jpg

1705540020727.jpg

  • তাবার উপর মরিচ এবং পাতা শুটকি পুড়িয়ে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

IMG_20240118_071130.jpg

*এখন পেঁয়াজ ভাজি করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৫↙️

1705540390254.jpg

1705540732698.jpg

ভর্তা তৈরি করার প্রক্রিয়া আরম্ভ করছি। প্রথমে পাতা শুটকি ব্লেন্ড করে নিলাম। তারপর বেগুন ব্লেন্ড করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৬↙️

1705540907122.jpg

তারপর পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা কুচি, শুকনো মরিচ ভাজা, সরিষার তেল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম।

IMG20240118002756.jpg

*পরিশেষে বেগুন দিয়ে পাতা শুটকি ভর্তা তৈরি হয়ে গেলো।

৬-গাজর দিয়ে ফুলকপি ভর্তা :

↘️ধাপ :- ১↙️

  • আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

1705541500552.jpg

  • প্রথমে আমি গাজর এবং ফুলকপি টুকরো টুকরো করে কেটে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705541789605.jpg

  • ফুলকপি এবং গাজর সিদ্ধ করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

1705542019799.jpg

  • ফুলকপি এবং গাজর সিদ্ধ করার পর‌ একসাথে ব্লেন্ড করে নিবো।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705542138537.jpg

  • ফুলকপি গাজর পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচামরিচ ভাজা , সরিষার তেল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৫↙️

IMG_20240118_074459.jpg

*সকল কিছু ব্লেন্ড করা হয়েছে।

IMG_20240118_074459.jpg

*পরিশেষে গাজর দিয়ে ফুলকপি ভর্তা তৈরি হয়ে গেলো।

৭-শিম দিয়ে লইট্টা শুটকি ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

1705542742509.jpg

  • প্রথম আমি শিম কেটে টুকরো করে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিলাম

↘️ধাপ :- ২↙️

1705542977346.jpg

এই ধাপে আমি লইট্টা শুটকি তাবার উপর দিয়ে পুড়িয়ে নিলাম। তারপর শিল পাটা দিয়ে বেটে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৩↙️

IMG_20240118_080008.jpg

  • এখন আমি শিম ব্লেন্ড করে নিবো।ব্লেন্ড এর মধ্যে শিম এবং লইট্টা শুটকি দিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705543254792.jpg

আমি এই পর্যায়ে ব্লেন্ড এর মধ্যে সকল উপাদান দিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৫↙️

1705543404349.jpg

  • আমি শিমের মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচামরিচ ভাজা , শুকনো মরিচ ভাজা, রসুন ভাজা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৬↙️

IMG_20240118_080742.jpg

  • সকল উপাদান দিয়ে ভর্তা ব্লেন্ড করে নিয়েছি।

IMG20240118002722.jpg

পরিশেষে শিম দিয়ে লইট্টা শুটকি ভর্তা তৈরি হয়ে গেল।

৮- বাঁধাকপির ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

1705543966753.jpg

  • প্রথমে আমি বাঁধাকপি কেটে ধুয়ে সিদ্ধ করে নিলাম। বাঁধাকপি সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি বাটির মধ্যে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705544168242.jpg

  • এই পর্যায়ে বাঁধাকপি ব্লেন্ড করে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৩↙️

1705544320732.jpg

  • এখন আমি পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচামরিচ ভাজা দিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705544437104.jpg

  • তারপর শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ ভাজা দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৫↙️

IMG_20240118_082434.jpg

  • সকল কিছু ব্লেন্ড করার পর একটি তেলের কড়াই এর মধ্যে পরিমান অনুযায়ী তেল দিয়ে ভাজি করে নিলাম।

IMG20240118002632.jpg

পরিশেষে বাঁধাকপি ভর্তা তৈরি হয়ে গেল।

৯- লাউ পাতা দিয়ে চিংড়ি শুটকি ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG20240117164016.jpg

IMG_20240118_083259.jpg

প্রথমে আমি ছোট চিংড়ি শুটকি তাবার উপর দিয়ে গরম করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

IMG_20240118_083524.jpg

  • এই পর্যায়ে আমি লাউ পাতা ভাজি করে নিয়েছি।

↘️ধাপ :- ৩↙️

IMG_20240118_083818.jpg

এই পর্যায়ে লাউ পাতা ব্লেন্ড করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৪↙️

1705545295970.jpg

  • লাউ পাতা ব্লেন্ড করার ভর্তা তৈরির জন্য সকল উপাদান দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ৫↙️

1705545666406.jpg

আমি পরিমাণ মতো লবণ, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচামরিচ ভাজা, চিংড়ি শুটকি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিলাম।

IMG_20240118_084337.jpg

  • সকল উপাদান ব্লেন্ড করে নিলাম।

IMG20240118002418.jpg

১০- টমেটোর ভর্তা:

↘️ধাপ :- ১↙️

আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।

IMG_20240118_084909.jpg

টমেটো ধুয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে সামান্য সিদ্ধ করে নিলাম।

↘️ধাপ :- ২↙️

1705546297571.jpg

  • টমেটো সিদ্ধ করে নেওয়ার পর আমি একটি প্লেটের মধ্যে কাঁচা মরিচ কুচি, শুকনো মরিচ ভাজি, পরিমাণ মত লবণ, ধনিয়া পাতা দিয়ে ভালো করে মেখে নিচ্ছি।

↘️ধাপ :- ৩↙️

IMG_20240118_085554.jpg

তারপর সরিষার তেল দিয়ে টমেটো হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিলাম।

IMG_20240118_085554.jpg

টমেটো ভর্তা তৈরি হয়ে গেছে।

তারপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG20240118002234.jpg

IMG20240118002313.jpg

IMG20240117234050.jpg

IMG20240118002337.jpg

IMG20240117234008.jpg

IMG20240118002216.jpg

IMG20240117124326.jpg

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

পোস্ট বিবরণ :-

শ্রেণীরেসিপি
ক্যামেরাrealme C55
পোস্ট তৈরি@ah-agim
লোকেশনফেনী, বাংলাদেশ

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আরো বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ সকাল
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

G0mIPwfurEJVlbirXIKFAUZVIuK.jpg

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

♥️ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ 🖤

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

১০ পথের ভর্তা রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। প্রত্যেকটা ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। সকাল বেলায় গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন সব রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনি ঠিক বলেছেন, গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

এত্তো এত্তো ভর্তা দেখে তো লোভ সামলানো মুসকিল। সব গুলো ভর্তাই ভীষণ লোভনীয়। জিভে জল আসার মতো সব গুলো ভর্তা।আমি তো এতো ভর্তা দেখে অবাক।ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে ভর্তা তৈরি পদ্ধতি ভীষণ চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর ভর্তা রেসিপি গুলো শেয়ার করার জন্য। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুশি হলাম। তবে এতগুলো রেসিপি কাকে খাওয়ালেন ভাই? চমৎকার ভাবে আপনি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেস্ট একটি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করা পোস্ট দেখতে পারলাম আপনার মধ্য দিয়ে।

ভর্তা রেসিপি দেখে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই। যেকোনো ধরনের ভর্তাই গরম ভাতের সাথে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর আপনার দশ রকমের ভর্তা দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। পরিবেশনটাও বেশ লোভনীয় ছিল। সবগুলো রেসিপি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সব গুলো ভর্তা রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

ভাইয়া আপনার মা যেহেতু অসুস্থ ছিল তাহলে কি আপনি একাই এতগুলো ভর্তা তৈরি করেছেন। যদি করে থাকেন তাহলে তো আপনাকে পুরস্কৃত করা উচিত কারণ ছেলেরা যে এত পদের ভর্তা বানাতে পারে জানা ছিল না আর এত সুন্দর ডেকোরেশন করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি অনেক কষ্ট করেছেন বুঝতে পারছি। এতগুলো ভর্তা তৈরি করতে সারাদিন লাগারই কথা। আপনার এত সুস্বাদু ভর্তা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। ভাইয়া একবার দাওয়াত দিতেন চলে আসতাম। ধন্যবাদ এত মজাদার ও ইউনিক ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু, আম্মু শুধু এক পদের ভর্তা শিল পাটায় বেটে দিয়েছে। আর সবগুলো আমি নিজেই তৈরি করেছি। সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।