হ্যালো বন্ধুরা🥰
আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত আমার বাংলা ব্লগ সকল ভাই ও বোনদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। সবার জন্য রইল অন্তর থেকে আন্তরিক ভালোবাসা।
বরাবরের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন ও ভিন্ন ধরনের পোস্ট তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। জানিনা কতটা ভালো হবে তবে যথেষ্ট পরিমাণ ভালোভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আমার আজকের পোস্ট হচ্ছে ফুড রিভিউ। হালকা নাস্তা করার জন্য আমরা তিনজন বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। অর্থাৎ @munna101 ও @md-ashik । বাসার সামনে প্রতিদিন দেখি দোকানটিতে প্রচন্ড ভিড়।এবং সেখানে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ডিম চিতই এগুলো সব গরম গরম তৈরি করছে। আর আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল। বলতে গেলে মোটামুটি ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম গরম গরম পিঠা খাব। আর শীতের দিন গরম গরম পিঠা বেশ ভালোই মজা লাগে তাও যদি ভাপা আর চিতই পিঠা। মজাটাই অন্যরকম হয়ে যায়।
তো চলুন শুরু করা যাক আজকের ফুড রিভিউ
আজ আমি আপনাদের মাঝে তিনটি পিঠা তুলে ধরব যেটি শীতকালে খুব চলমান ও অনেকেরই অনেক পছন্দ। তবে আমার এই পিঠাগুলো খুবই পছন্দ শীতকালে এগুলো গরম গরম খেতে আমার প্রচন্ড ভালো লাগে। এক এক করে সবগুলো পিঠা রিভিউ ও আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
পিঠাটি দেখেই যেন জিবে জল চলে আসছে 😁। ভাপা পিঠাটি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও ঠিক তেমনি সুন্দর হয়েছে এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ। দোকান মালিক মামাটির হাতে ম্যাজিক রয়েছে। ম্যাজিক না থাকলে এত সুন্দর পিঠা কখনোই মনে হয় হয় না।
চিতই পিঠা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার সবথেকে ভালো লেগেছে চিতই পিঠার সাথে যে সস্ টা দিয়েছে সেটা দিয়ে চিতই পিঠা মনে হয় অমৃত লাগছে। আমার কাছে চিতই পিঠা তাও খুব ভালো লেগেছে।
সবথেকে মূল আকর্ষণ ও সবথেকে ভালো হয়েছে এই ডিম চিতই পিঠাটা। এত সুন্দর ভাবে ডিম চিতই পিঠা তৈরি করেছে দেখেই যেন অর্ধেক শান্তি চলে আসছে। খেতেও ঠিক তেমনই খুব সুস্বাদু ও অসাধারণ। এই পিঠা গুলোর মধ্যে সবথেকে মূল আকর্ষণ ছিল এই ডিম চিতই পিঠা। এবং এই পিঠা খাওয়ার জন্য অনেক মানুষ অনেক দূর দূর থেকে এনার কাছে ছুটে আসে। ডিম চিতই পিঠার সাথে যে সসটি দেয় সেটি দিয়ে খেতে পিঠাতে আরো অনেক সুন্দর লাগে।
শীতের পিঠা গুলো তো খেলাম ও আপনাদের সামনে সব তুলে ধরলাম তো চলুন এবার বানানোর প্রসেসিং গুলো তুলে ধরা যাক |
---|
অনেক সুন্দর ভাবে মামাটি এই পিঠাগুলো তৈরি করছেন ও করার পদ্ধতি টা অনেক সুন্দর। বেশি কথা না বলে আপনাদের মাঝে ভিডিও তুলে ধরলাম। ভিডিও ও ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন কি সুন্দর ভাবে মামাটি পিঠা গুলো তৈরি করেছেন।
দোকানটির লোকেশন নাম ঠিকানা |
---|
দোকানটির নাম জনতা টেস্টি ফুসকা ও চটপটি। দোকানটিতে অনেক সুন্দর ভাবে ফুচকা চটপটি ও অনেক ধরনের নিত্য নতুন খাবার তৈরি করে থাকে। কিন্তু এইবার এই সমস্ত আইটেম তারা তৈরি করা বন্ধ করেছেন। তবে ভাপা পিঠা চিতই পিঠা ও ডিম চিতই পিঠা তৈরি করছেন। জনতা দোকানটি খুব জনপ্রিয়। এখানে অনেক মানুষের ভিড় লেগে থাকে সিরিয়াল পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে যায়। আমরা ২১ নম্বর সিরিয়ালে ওয়েট করতে ছিলাম। তবে মামাটি যথেষ্ট ভালো আমরা একটু ভালোভাবে বললাম তো মামাটি বললো একটুখানি দাড়াও তোমাদের কে দিচ্ছে। তো বাকি সিরিয়াল গুলাকে পেরিয়ে আমাদেরকে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিল।দোকানটির লোকেশন দিনাজপুর ফুলবাড়ি বাস স্ট্যান্ড এর অপজিটে। পাশে একটি শোরুম রয়েছে সিঙ্গারের। ওখান থেকে রোডটা ক্রস করলেই এই পাশে মামার দোকান আর ওখানে গেলেই বোঝা যাবে মামাটির দোকানের সামনে প্রচন্ড ভিড় দেখেই। চলুন ক্রমাগত ছবিগুলো আপনাদের সামনে দিয়ে দিচ্ছি।
দোকানদার মামার নাম সৈয়েদ আলী। দোকানদার মামাটার সাথে অনেক কথাবার্তা হল। কথা বলে অনেক ভালো লাগলো দোকানদার মামাটি সত্যিই অনেক মিশুক টাইপের। তারপর মামাটির সাথে আমরা একটি সেলফি তুললাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পর আমরা শখ করে তিনজন একটি করে পান খেলাম।
শীতের এই পিঠাগুলো সত্যিই খুব অসাধারণ ছিল। আমার মতে আপনারা যদি দিনাজপুরের কেউ আশেপাশে থাকেন তাহলে একবার এসে ট্রাই করবেন সত্যি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তবে আমার কাছে সব থেকে বেশি ইউনিকো মজাদার লেগেছে ভাপা পিঠা ও ডিম চিতই পিঠা। ভাপা পিঠা এটা আমরা একটা করে খাওয়ার পর আবার আরেকটি করে নিয়েছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথা:-
আমি মোঃ আবু সাঈদ আকাশ। আমায় ভালবেসে সবাই আকাশ বলে ডাকে।আমি নতুন কিছু জানা,শেখা,দেখা ও পড়তে অত্যন্ত ভালবাসি। টেকনোলজি সম্পর্কে জানার আগ্রহটা আমার সব সময় অত্যন্ত বেশি। ভ্রমণ করতে অত্যন্ত পছন্দ করি ও ভালোবাসি। এবং নতুন মানুষদের সাথে মেলামেশা করতে ভালো লাগে।
এখন প্রায় পুরোপুরি শীত চলে এসেছে আর এই শীতকালে আমরা নানা ধরনের পিঠা পুলির উৎসব করে থাকি আর এই পিঠা-পুলির উৎসব এর মধ্যে সবথেকে যে পিঠাটি আমরা বেশি খেয়ে থাকে সেটি হচ্ছে ভাপা পিঠা এবং চিতই পিঠা। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কয়েকটি পিঠার চিত্র আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার এই পিঠার পোস্ট দেখে এখন আমার সত্যিই ভাপা পিঠা খেতে ইচ্ছে করছে মন হচ্ছে এখনই বাহিরে যাই এবং দোকান থেকে ভাপা পিঠা কিনে খায় কিন্তু সামনে পরীক্ষা থাকার কারণে এখন আর যেতে পারব না যাই হোক পরবর্তীতে খাওয়ার চেষ্টা করব আপনার পোস্টটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে শীতকালে আসলে এই ধরনের পোস্ট দেখতে কার না ভালো লাগে বলেন....?? শুভকামনা রইল আপনার জন্য💓💓
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধরনের শীতের পিঠা দেখা হল আপনার পোস্টের মাধ্যমে। শীতের এই মৌসুমে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। শীতকালের প্রতিটি পিঠাই আমার খুব পছন্দের। সুন্দর সুন্দর পিঠাগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতকালে সাধারণত আমাদের দেশে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে অনেকগুলো শীতের পিঠা সাথে পরিচিত হলাম। যদিও এই পিঠাগুলো অনেকবার খাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন বেশি খাওয়া হয়না যখন গ্রামে থাকতাম তখন শীতকাল নিয়ে পিঠাগুলো খাওয়া হতো। কিন্তু এখন মাঝে মাঝে খাওয়া হয় তবে শীতকালের পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই শীতে উল্লেখিত সবগুলো পিঠায় খুবই জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী। পিঠা গুলো আমার খুবই পছন্দের এবং পিঠা খেতে আমি খুবই ভালোবাসি। প্রতিটি পিঠার দারুন হয় বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন আপনি এবং পিঠাগুলো ফটোগ্রাফি গুলো অতি চমৎকার হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অত্যন্ত ধন্যবাদ ভাইয়া আমাকে এবং আমার পিঠাগুলো কে নিয়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit