আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে "ক্রস কানেকশন" নাটকের রিভিউ শেয়ার করবো।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী:
নাটকের নাম | ক্রস কানেকশন |
---|---|
পরিচালক | জাকারিয়া সৌখিন |
অভিনয় | আফরান নিশো ও সাবিলা নূর |
দৈর্ঘ্য | ৪৪ মিনিট |
ধরন | রোমান্টিক |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ |
নাটকের সারসংক্ষেপ
নাটকের প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয় আফরান নিশো ফেসবুক লাইভে রয়েছে। আফরান নিশো ফেসবুক লাইভে বলছে সে এখন সুইসাইড করবে এটাই তার শেষ লাইভে আসা। তার সুইসাইড করার কারণ তার ভালোবাসার মানুষ তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এরপর আফরান নিশোর প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ এবং তাদের ভালোবাসার গল্প বলতে বলতে ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যায়। এখানে তাদের ভালোবাসার সম্পূর্ণ গল্পটা দেখানো হয়।
ফ্ল্যাশব্যাকের প্রথম দৃশ্যে দেখানো হয় আফরান নিশোর আজ জন্মদিন কিন্তু তার মনটা খুবই খারাপ । তার মন ভালো করার জন্য তার বাবা তাকে জোকার সেজে হাসানোর চেষ্টা করছেন। বিভিন্নভাবে তাকে এন্টারটেইন করার চেষ্টা করছেন তবে আফরান নিশোর কিছুতেই মন ভালো হচ্ছে না। এরপর আফরান নিশোর বাবা তার ছেলের মন ভালো করার জন্য তাকে একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়েও তার মন খারাপ। আফরান নিশোর মন খারাপ হওয়ার মূল কারণ হলো তার জন্মদিনের দিনে তার মা মারা যান। অর্থাৎ তাকে জন্ম দিতে গিয়েই তার মায়ের মৃত্যু হয়। এজন্য এই দিনটিতে তার মন খুব খারাপ থাকে। এরপর রেস্টুরেন্টে আফরান নিশো ও তার বাবা যখন বসে আছেন তখন রেস্টুরেন্টে আশা একটি মেয়েকে দেখে আফরান নিশোর খুব ভালো লেগে যায়। এরপর আফরান নিশো মেয়েটির কথা তার বাবাকে জানাই। এরপর আফরান নিশোর বাবা মেয়েটির সাথে কথা বলতে যাই। মেয়েটির কাছে আফরান নিশোর বাবা মেয়েটির নাম্বার চাইলে মেয়েটি বলে আমি অপরিচিত কাউকে নাম্বার দেই না। এই বলে মেয়েটি চলে যায়। যেহেতু আফরান নিশো মেয়েটির নাম জানে না বা তার ফোন নাম্বার ও নেই, মেয়েটি কোথায় থাকে তাও জানে না, সে কারণে সে প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে এসে বসে থাকে যদি কখনো মেয়েটার সাথে দেখা হয়ে যায় এই ভেবে। এভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর সেই একই রেস্টুরেন্টে মেয়েটির সাথে আফরান নিশোর আবার দেখা হয়।
কিন্তু তার মেয়েটির সাথে সামনাসামনি কথা বলার সাহস হচ্ছিল না। সে ভাবছিল কিভাবে কথা বলা যায়। কিন্তু হঠাৎ একটি ওয়েটার এসে মেয়েটিকে বলে আমরা নতুন রেস্টুরেন্ট খুলেছি তাই আপনি যদি এই কাগজে আমাদের রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে একটি রিভিউ লিখে দিতেন এবং আপনার ফোন নাম্বার এবং নাম লিখতেন তাহলে ভালো হতো। কারণ আমাদের রেস্টুরেন্ট থেকে মাঝে মাঝেই কাস্টমারদের অফার দেওয়া হয় সেজন্য নাম্বারটা প্রয়োজন। একথা শুনে আরফার নিশো খুবই খুশি হয়। সেখান থেকে সে মেয়েটির নাম্বার পেয়ে যায়।
এরপর আফরান নিশো বাড়িতে এসে মেয়েটির ফোনে ফোন দেয়। কিন্তু মেয়েটি ফোন ধরে না। এর কিছুক্ষণ পর মেয়েটি কল ব্যাক করে। এখানে বলে রাখি আফরান নিশো রেস্টুরেন্টে যেই মেয়েটির প্রেমে পড়েছিল সেই মেয়েটিকে ফোন না দিয়ে ফোনটা এই গল্পের নায়িকা সাবিলা নূরের কাছে চলে গেছে। কিন্তু আফরান নিশো সাবিলা নূর কে তার রেস্টুরেন্ট দেখা মেয়েটি ভেবে কথা বলা শুরু করে। আফরান নিশো মেয়েটিকে ফোনে বলে আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনাকে প্রথম আমি রেস্টুরেন্টে দেখেছি এবং প্রথম দেখাতেই আপনার প্রেমে পড়ে গেছি। আমি সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে পছন্দ করি তাই আপনাকে কোনরকম ভনিতা ছাড়া সরাসরি বলে দিলাম। একথা শুনে সাবিলা নূর বলে আপনি আমার সাথে মজা করছেন তাই না। তখন আফরান নিশো বলে না একদমই না। আমি সত্যি বলছি আমি আপনাকে সত্যিই ভালোবাসি। এভাবে তাদের মধ্যে ফোনালাপের মাধ্যমে প্রেমের শুরু হয়। কেউ কারো সাথে দেখা করে না শুধু ফোনেই কথা বলে। কথা বলতে বলতে দুজনে দুজনার প্রেম পড়ে যায় । আফরান নিশো সাবিলা নূর কে ভালোবেসেছে রেস্টুরেন্টের ওই মেয়েটি ভেবে।
এর পরের দৃশ্যে দেখানো হয় আফরান নিশো যে মেয়েটিকে রেস্টুরেন্টে প্রথম দেখে ভালোবেসে ফেলেছিল সেই মেয়েটি রেস্টুরেন্টে তার বয়ফ্রেন্ড কে নিয়ে গল্প করছে। তখন আফরান নিশো সেই একই রেস্টুরেন্টে বসেছিল। যখন সে লক্ষ্য করলো সে যে মেয়েটির সাথে এতদিন কথা বলছে, যেই মেয়েটিকে সে ভালোবাসে, সে অন্য একজনের সাথে বসে গল্প করছে। এই ভেবে সে ভীষণ রেগে যায় এবং তাদের টেবিলে গিয়ে সিনক্রিয়েট করে। মেয়েটিকে বলে তুমিতো খুব খারাপ মেয়ে তুমি ফোনে সারাদিন আমার সাথে কথা বলো, আমার সাথে রিলেশনে আছো তারপর আবার এখানে আরেকটা ছেলেকে নিয়ে তুমি প্রেম করছো। তোমার চরিত্র তো খুবই খারাপ। এরপর সেই মেয়েটার বয়ফ্রেন্ড মেয়েটিকে ভুল বুঝে চলে যায়। এরপর আফরান নিশো সেখান থেকে মন খারাপ করে চলে আসে। মাঝখান থেকে সেই মেয়েটির কিছুই বুঝতে পারেনা। এরপর আফরান নিশো তার ফোন বন্ধ করে দেয়। আর এদিকে সাবিলা নূর বারবার আফরান নিশো কে ফোন দিতে থাকে কিন্তু প্রতিবার তার ফোন বন্ধ পাই।
এরপর আফরান নিশো যখন ফোন খুলে তখন সাথে সাথে সাবিলা নূরের ফোন আসে। আফরান নিশো ফোন রিসিভ করে সাবিলা নূর কে গালাগালি করে। এবং বলে তুমি আমাকে আর কোনদিন ফোন দেবে না। তোমার মতো খারাপ মেয়ের সাথে আমি কথা বলতে চাই না, দেখাও করতে চাই না। কিন্তু এদিকে সাবিলা নূর কিছুই বুঝতে পারেনা। এরপর সাবিলা নূর আফরান নিশোকে দেখা করার কথা বলে। এরপর তারা সেই একই রেস্টুরেন্টে আবার দেখা করে। এখানে আফরান নিশো সাবিলা নূর কে প্রথম দেখে এবং সাবিলা নূর আফরান নিশো কে প্রথম দেখে। এখানেই তারা সমস্ত কনফিউশন বুঝতে পারে। তখন আফরান নিশো বলে, আমি আপনাকে যে মেয়েটি ভেবেছিলাম যে মেয়েটি ভেবে আপনার সাথে কথা বলতাম আপনি সেই মেয়েটি না। এরপর আফরান নিশো তার ফোন থেকে নাম্বারটা বের করে বলে কিভাবে ওই মেয়েটির জায়গায় আপনার কাছে ফোন চলে গেল আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। এরপর ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হয় আফরান নিশো সেদিন যখন নাম্বারটা নিয়েছিল তখন সে সবার লাস্টের নাম্বারটা তুলে ছিল, সেই লাস্টের নাম্বারটা ছিলো সাবিলা নূরের এবং আফরান নিশো যেই মেয়েটিকে পছন্দ করে নাম্বার নিতে গিয়েছিল তার নাম্বারটা ছিলো সাবিলা নূরের নাম্বারের একটু উপরে। এভাবেই ভুল করে আফরান নিশো সাবিলা নূরকে ফোন দিয়েছিলো ওই মেয়েটি ভেবে । এরপর আফরান নিশো সাবিলা নূর এর কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে যায়। কিন্তু সাবিলা নূর ভীষণ কষ্ট পায়। কারণ সাবিলা নূর তো তাকে সে ভেবেই ভালোবেসেছে, তার সাথে ফোনে কথা বলেছে।
এর পরের দৃশ্যে দেখানো হয় আফরান নিশো তার বাবার সাথে বসে আছে। তার বাবাকে বলছে, আমি ওকে খুব মিস করছি অর্থাৎ সাবিলা নূর কে। ফোনে কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে একটি মনের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরপর আফরান নিশোর বাবা বলে তুই ওকে ফোন দিয়ে কথা বল, ওকে বল তুই ওর কাছে আবার ফিরতে চাইছিস। এরপর আফরান নিশো সাবিলা নূর কে ফোন দিলে সাবিলা নূর তার ফোন কেটে দেয়। তার সাথে কোন কথা বলতে চাই না। কারণ আফরান নিশো তাকে অন্য মেয়ে ভেবে ভালোবেসেছিল, এই ভেবে সাবিলা নুরের ভীষন অভিমান হয়েছে। তাই সে লন্ডনে চলে যেতে চাই। অনেকবার ফোন দেওয়ার পর সাবিলা নূর ফোন ধরে আফরান নিশো কে বলে সে লন্ডনে চলে যাচ্ছে তাই যেন তাকে আর বিরক্ত করা না হয়। এরপর নাটকের কাহিনী আবার বর্তমানে আসে অর্থাৎ যখন আফরান নিশো ফেসবুক লাইভে রয়েছে। এরপর দেখানো হয় আফরান নিশোর সেই ফেসবুক লাইভ সাবিলা নূর দেখছে। আরফান নিশোর সুইসাইডের কথা শুনে সে তাড়াতাড়ি করে আফরান নিশোর বাড়িতে চলে যায়। এরপর আফরান নিশো জানাই সে তাকে তার থেকে দূরে যেতে দেবে না এই জন্য এই অভিনয়টা করেছে। সে মোটেও আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে না। এরপর দুজনের খুনসুটি দিয়ে তারা দুজন এক হয়ে যায় এবং দুজন দুজনকে ভালোবাসার কথা জানাই। আর এখানেই গল্পের সমাপ্ত হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আফরান নিশো ও সাবিলা নূরের জুটি আমার কাছে অতটা ভালো না লাগলেও দুজনের অভিনয় আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই নাটকের গল্পটি ভীষণ সিম্পল এবং খুবই সুন্দর। আফরান নিশো ও সাবিলা নূর তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে নাটকটি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
আমি নাটকটি কে ৮/১০ দিচ্ছি।
নাটকের লিংক
ধন্যবাদ সকলকে
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1498988341832085504?t=7mKRwSs8z5PjxKkuEOETzw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আফরান নিশো ও সাবিলা নূর দুজনেই আমার খুবই পছন্দের অভিনেতা ও অভিনেত্রী। তাদের সবগুলো নাটক এই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তবে এই নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি। সময় করে নাটকটি দেখে নেব। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আসলে নাটকের টাইটেল এবং ব্যবহৃত ছবিটিই খুবই হাস্যকর লেগেছে আমার কাছে। আপনি খুবই সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর করে নাটকের একটি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে বাংলাদেশের নাটকে আফরান নিশো অভিনয়ে রাজা। তার অভিনীত কোনো নাটকই আমি দেখতে বাদ দেই না। ধন্যবাদ আপনাকে নাটকের সুন্দর একটি রিভিও দেওয়া জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই নাটক টি আমি দেখেছি। বিশেষ করে আরেফিন নিসোর নাটক আমার কাছে খুবি ভাল লাগে। ওর অভিনয় আমার কাছে খুবি ভাল লাগে। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। যারা দেখেন নি তাদের দেখার জন্য অনুরোধ করছি । খুবি ভাল লাগবে আশাকরি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেয়েছেন এবং আপনিও দেখেছেন জেনে ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকের রিভিউটি পড়লাম বেশ চমৎকার এবং ইন্টারেস্টিং তো। যদিওবা নাটক খুব একটা দেখা হয় না কিন্তু নাটকের রিভিউটি পড়ে এবং গল্পটি বেশ ভালই মনে হলো আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত তথ্যবহুল একটি রিভিউ আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit